পঞ্জাবের বিরুদ্ধে সোমবার জিততে পারলেই সন্তোষ ট্রফির সেমিফাইনালে পৌঁছনোর রাস্তা কার্যত পেয়ে যাবে বাংলা। আর লম্বা, বড় চেহারার পঞ্জাব-তনয়দের বিরুদ্ধে সাফল্য পাওয়ার জন্য মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের টোটকা ‘পাসিং ফুটবল’।
রবিবার অনুশীলনে ছেলেদের কাছে বাংলার কোচ মনোরঞ্জনের বার্তা ছিল, “মাটিতে বল রেখে খেলো। বল তুলে খেলতে গেলে ওদের বড় চেহারার ফুটবলাররা সমস্যায় ফেলবে। পাসিং ফুটবল খেলেই পঞ্জাবের সমস্ত স্ট্র্যাটেজি তোমাদের ঘেঁটে দিতে হবে।” তবে পঞ্জাবও ভাল ছন্দে রয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচে মণিপুরকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। স্বভাবতই সতর্ক বাংলা শিবির। ২০০৮ সন্তোষ ট্রফি কোয়ার্টার ফাইনালে পঞ্জাবকে হারিয়েই শেষ চারে পৌঁছেছিল দীপেন্দু বিশ্বাসের বাংলা। সে বার ফ্রি-কিক থেকে গোলটা করেছিলেন দীপেন্দু নিজেই। এ বারও ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে চান বাংলার অধিনায়ক। কুইলন থেকে এ দিন ফোনে দীপেন্দু বললেন, “কাল পঞ্জাবের বিরুদ্ধে গোল করে দলকে জেতানোর জন্য মুখিয়ে রয়েছি।”
তবে মাঠের সমস্যা, ফ্লাডলাইটের সমস্যার পাশাপাশি রয়েছে ফুটবলারদের টানা ম্যাচ খেলার ক্লান্তিও। এমনিতেই রাগবি খেলার মাঠের নিম্নমানের নৈশালোকে জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে হচ্ছে পঞ্জাব, কর্নাটক, মণিপুর, বাংলাকে। তার ওপর ক্রীড়াসূচি অনুযায়ী এক দিন ছাড়া-ছাড়া ম্যাচ পড়েছে। যে জন্য সন্তোষের ক্রীড়াসূচি নিয়ে সব দলেরই একটা ক্ষোভ রয়েছে। মনোরঞ্জন তো সরাসরি বলেই দিলেন, “আসলে ফেডারেশন ফুটবলারদের মানুষ বলে ভাবে না। সন্তোষ ট্রফি কোনও মতে শেষ করার জন্য যে ধরনের সূচি তৈরি করেছে এতে ফুটবলেরই ক্ষতি হচ্ছে। এ ভাবে জোর করে সন্তোষ ট্রফি করার কোনও মানেই নেই।” দীপেন্দুও বলছিলেন, “টানা ম্যাচ খেলতে হলে ক্লান্তি চলে আসে। নিজেদের সেরাটা দেওয়া যায় না। |