ছাই উড়ে আসছে পাশের ধানকল থেকে। তার ফলে বাড়ির উঠোন, ছাদ থেকে গাছের পাতা সর্বত্রই জমছে ছাই। এমনকী জানালা-দরজা খুলে রাখলেও ছাইয়ে ঢাকা পড়ছে ঘর। নোংরা হচ্ছে জামা কাপড়ও। এ সব অভিযোগ করেছেন দুবরাজপুরের হেতমপুর গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের দাবি, ছাই নিয়ে সমস্যা হবে না, এই আশ্বাস দিয়ে কথা রাখেননি ধানকল মালিক। প্রসাশনের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জানিয়েও এখনও পর্যন্ত কোনও ফল হয়নি বলেও তাঁরা অভিযোগ করছেন। এ দিকে বাসিন্দাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত বৃহস্পতিবারই দুবরাজপুরের যুগ্ম বিডিও মানিক সিংহ মহাপাত্রের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ওই গ্রামে পৌঁছেছিলেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ যে মিথ্যা নয় তা ওই প্রতিনিধিদল মেনে নিয়েছেন বলেই শোনা যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু বছর ধরে চলছে হেতমপুর ১ নম্বর প্রাথমিক স্কুল ঘেঁষা ওই ধানকলটি। বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে চললেও মাস আটেক আগে একটি নতুন একটি যন্ত্র ধানকলে লাগানোর পরই থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। আর সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি ওই ধানকলের ৫০০ মিটারের মধ্যে থাকা (প্রতীচী পল্লি ও কায়েস্ত পাড়া) ঘরগুলিতে। স্থানীয় বাসিন্দা পীযূষ দাস, অমল ঠাকুর, দিবাকর মিত্রদের অভিযোগ, “প্রতিদিন রাশি রাশি তুঁষ পোড়া ছাই উড়ে এসে ঘর ভরাচ্ছে। এ ভাবে চললে দূষণে বাড়ির বাচ্চাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিতে বাধ্য। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।” শীতকালে জানলা-দরজা বন্ধ করে কিছুটা রেহাই পেলেও সামনের দিনগুলি কীভাবে কাটাবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না অমলবাবুরা। তাঁদের দাবি, “সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে প্রশাসন সাহায্য করুক।”
এ দিকে দুবরাজপুরের বিডিও কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা থেকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে একটি রিপোর্ট আমাকে জমা দিতে বলা হয়েছিল। সেই ভিত্তিতে তদন্তও করা হয়েছে। রিপোর্ট জমা পড়ার পর জেলার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অভিযোগ প্রসঙ্গে ওই ধানকল মালিকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। |