দায় নিয়েছে লস্কর, দাবি বিজেপির
বিধ্বস্ত দিলসুখনগর পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী
বৃহস্পতিবারই জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল দিলসুখনগর। আর তার ঠিক তিন দিন পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। দেখা করলেন আহতদের সঙ্গেও। জানালেন, বিস্ফোরণের অভিঘাত সত্ত্বেও যে ভাবে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা, তা সব অর্থেই প্রশংসনীয়।
অন্য দিকে, এ দিন অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছে, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইতিমধ্যেই হাতে এসেছে তাদের। যেমন একটি সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলে লাগানো বিভিন্ন সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ থেকে তিন ব্যক্তিকে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। পুলিশের ধারণা, বিস্ফোরণের মিনিটখানেক আগেই বিস্ফোরক বোঝাই বাইসাইকেলটির আশপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় তাদের। তবে সেই ভিডিওর দৃশ্যমানতা খারাপ হওয়ায় এলাকার বিভিন্ন দোকানপাটে লাগানো সিসিটিভি-র ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করছে পুলিশ। প্রায় ৩০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যদিও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
অন্য দিকে, গত কাল বেআইনি ভাবে নেপালে ঢুকতে চেষ্টা করার অভিযোগে বিহারের মোতিহারি থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে এক জন সোমালিয়ার বাসিন্দা আবদুল্লা উমরান মাকরান এবং অন্য জন হায়দরাবাদের বাসিন্দা মহম্মদ আদম।
আহতকে দেখতে হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী। হায়দরাবাদে। ছবি: পিটিআই
নিরাপত্তা সংস্থা এ দিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখনই জানা যায়, ভুয়ো ঠিকানা দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছিল আদম। এ হেন চেষ্টার সঙ্গে জোড়া বিস্ফোরণের কোনও যোগাযোগ আছে কি না, তা জানতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
কাকতালীয় ভাবে এ দিনই এক সাংবাদিক বৈঠকে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজেপি প্রধান জি কিষাণ রেড্ডি দাবি করেন, সাম্প্রতিক এই জোড়া বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে গত কালই তাঁকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা। তাঁর আরও দাবি, বিস্ফোরণের আগামী লক্ষ্য হিসেবে বেগম বাজার এলাকার নাম করেছে ওই জঙ্গি সংগঠন। যদিও চিঠিটি সাংবাদিক বৈঠকে পেশ করেননি। তিনি জানান, সেটিকে ইতিমধ্যেই আবিদস পুলিশ থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। আবিদস থানা সূত্রে খবর, চিঠিটির সত্যতা পরীক্ষা করা হচ্ছে। যদিও প্রথম থেকেই এই জোড়া বিস্ফোরণে সন্দেহের তির ছিল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের দিকে। সে ক্ষেত্রে লস্করের এই আচমকা দায়স্বীকার প্রশ্ন তুলছে নানা মহলে।
সরকারি সূত্রে খবর, রবিবার সকালে বেগমপেট বিমানবন্দরে নামার পরই খুব দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। দিলসুখনগরের প্রথম বিস্ফোরণটি যেখানে ঘটেছিল, সেই টিফিন সেন্টার এলাকায় দাঁড়িয়ে প্রায় পাঁচ মিনিট তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তদন্তের অগ্রগতি কত দূর হয়েছে, সে নিয়ে তাঁকে বিস্তারিত জানান অফিসাররা। এর পর চলে যান দ্বিতীয় ঘটনাস্থলে।
তবে তিন ঘণ্টার ঝটিকা সফরে তিনি বেশ খানিকটা সময় কাটান দুটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত আহতদের সঙ্গে। সকলকে আশ্বস্ত করেন “আমরা আপনাদের দেখভাল করব।” অন্য দিকে, এ দিন কলকাতায় প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে বলেন, ‘আমরা দু’টো ফাঁসি দিয়েছি। হায়দরাবাদের বিস্ফোরণের এলাকা থেকে কিছু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সে সব ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।”
এ দিন কন্যাকুমারীর কয়েকটি এলাকায় তল্লাশি চালায় আই বি ও পুলিশের যৌথ দল। দ্রুত বিস্ফোরণেক সমাধান করা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তারা।

এনসিটিসি: সাহায্য করছেন মমতা
জাতীয় সন্ত্রাস মোকাবিলা কেন্দ্র (এনসিটিসি) গড়ার ব্যাপারে কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে এ কথা জানান। ২৬/১১-র মুম্বই হামলার পরেই একটি জাতীয় সন্ত্রাস মোকাবিলা কেন্দ্র (এনসিটিসি) গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু আপত্তি করেছিলেন একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি হায়দরাবাদ বিস্ফোরণের পরে শিন্দে বলেন, রাজ্যগুলিকে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ের প্রশ্নটি ফলে নতুন করে উঠে আসে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.