কথায় বলে পতির পুণ্যে সতীর পুণ্য। কিন্তু এ ক্ষেত্রে উলটপুরাণ। স্বামীর কুকীর্তির জন্য কলঙ্কিত স্ত্রীর ভাবমূর্তি। তবে এই স্ত্রী যে সে কেউ নন, স্বয়ং স্পেনীয় রাজকন্যা ক্রিশ্চিনা।
কলঙ্কের আঁচ লেগেছে স্পেনের রাজ পরিবারের গায়েও। স্পেনের আম জনতা এতটাই ক্ষুব্ধ যে এই মুহূর্তে তাঁদের দাবি, আসন ত্যাগ করুক রাজা। জামাইয়ের কুকর্মের জেরে তাই টালমাটাল রাজ আসন।
রবিবারই ম্যালিরকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিয়েছেন রাজ জামাই ইনাতি উরদাঙ্গারিন। লক্ষ লক্ষ ইউরো তছরুপের মামলা ঝুলছে তাঁর কাঁধে। অভিযোগ, পারিবারিক ব্যবসার স্বার্থে ভ্যালেনসিয়া ও ব্যালিয়েরিকের আঞ্চলিক নেতাদের লক্ষাধিক ইউরো ঘুষ দিয়েছেন তিনি। আয়কর ফাঁকি দিতে বৈদেশিক ব্যাঙ্কগুলিতে বেনামে খুলেছেন একাধিক অ্যাকাউন্ট।
আজ, উরদাঙ্গিন যখন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে একের পর এক অভিযোগের তির সামলাচ্ছিলেন তখনই আদালত চত্বরে জমা হওয়া ক্ষুব্ধ জনতার ভিড় সমালাতে হিমশিম খাচ্ছিল স্পেনের পুলিশ। প্রশাসনের তরফে মোতায়েন করা হয়েছিল ১৭০ পুলিশ কর্মীকে।
বিচারক ও উরদাঙ্গারিনের প্রশ্নোত্তর পালার মাঝেই উঠে এল রাজকন্যা ক্রিশ্চিনার নাম। অভিযোগ, যে সংস্থার মাধ্যমে যাবতীয় ‘অনৈতিক’ ও ‘অবৈধ’ কাজ করতেন উরদাঙ্গারিন, এক কালে সেই সংস্থার বোর্ডেরই সদস্য ছিলেন ক্রিশ্চিনা। অভিযোগ উঠেছে স্পেনের রাজার ভূমিকা নিয়েও। উরদাঙ্গারিনের ব্যবসার অংশীদারের দাবি, জামাইয়ের কুকর্মে সায় ছিল শ্বশুরেরও। নিজের বক্তব্যের সপক্ষে প্রমাণ দিতেও প্রস্তুত তিনি। |