• পশ্চিমবঙ্গ বোড়ো সাহিত্য সভার সম্মেলন হল জলপাইগুড়ি জেলার হেমাগুড়ি ফুটবল গ্রাউন্ডে। প্রথম দিন পতাকা উত্তোলন করেন পশ্চিমবঙ্গ বোড়ো সাহিত্য সভার সভাপতি নবীনচন্দ্র মণ্ডল। উপস্থিত ছিলেন মহেশচন্দ্র নার্জিনারি, রমেন সুব্বা, অমরেন্দ্রনাথ সুব্বা প্রমুখ। সন্ধ্যায় বোড়োদের নৃত্যগীতের মাধ্যমে পরিবেশিত হল বাগাড়ুম্বা, খেরাই ইত্যাদি। দ্বিতীয় দিনে ছিলেন ড. সুখবিলাস বর্মা, বিধায়ক দশরথ তিরকি, মঙ্গল সিংহ হাজোয়ারি, আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোহর তিরকি, ড. দীপককুমার রায়, কোকরাঝাড়ের সাংসদ সানসুমা খুংগুর বৈসমতিয়ারি, দেবপ্রসাদ রায়, বোড়ো সাহিত্যসভার সভাপতি কামেশ্বর ব্রহ্ম, নিতাই কার্জি প্রমুখ।
• জলপাইগুড়ি র প্রথম স্বাধীনতা শহিদ বীরেন্দ্র দত্তগুপ্তের ফাঁসি হয়েছিল ১৯১০-এর ২১ ফেব্রুয়ারি। সেই বছরের ২৪ জানুয়ারি তিনি তৎকালীন পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট সামসুল আলমকে গুলি করে হত্যা করেন। বিচারে তাঁর ফাঁসির আদেশ হয়। বীরেন্দ্র দত্তগুপ্ত জলপাইগুড়ি জিলা স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন ১৯০৮-এ। পরবর্তীতে কলকাতায় যান এবং বিপ্লবী দলে যোগ দেন। ১৯৮৬ সালে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদে তাঁর আবক্ষ মূর্তি বসানো হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁর স্মরণে পালন করল বীরেন্দ্রনাথ দত্তগুপ্ত স্মৃতিরক্ষা কমিটি। মূর্তিতে মাল্যদান করলেন কল্যাণী দাশগুপ্ত, দেবাশিস ঘোষ। আবৃত্তি শোনালেন ইন্দিরা দাশগুপ্ত। সঙ্গীত পরিবেশন করলেন সুপর্ণা সেনগুপ্ত, নগেন্দ্রনাথ বর্মন।
• পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘ জলপাইগুড়ি শহর আঞ্চলিক কমিটির আয়োজনে সমাজপাড়ায় ভাষা শহিদ দিবস পালিত হল। সূচনায় বক্তব্য রাখেন উদ্যোক্তা সংগঠনের শহর আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক গৌতম গুহ রায়। উদ্বোধন সঙ্গীত পরিবেশন করেন মণিদীপা নন্দী বিশ্বাস। কল্যাণী চক্রবর্তী, কাকলী অধিকারী ও চয়ন অধিকারী আবৃত্তির মধ্যে দিয়ে দিনটির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। আকাশ পাল চৌধুরী ও নিরুপম ভট্টাচার্য নিবেদন করেন ‘বাংলা’ শীর্ষক আবৃত্তি ও সঙ্গীতের আলেখ্য।
• গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি, মাঘী পঞ্চমীর দিন কলেজ পড়ূয়া একঝাঁক ছেলেমেয়ে গড়া তৈরি হল কিশলয়। জলপাইগুড়ি আনন্দপাড়ায় তারা সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করে। নাট্যব্যক্তিত্ব সমর চৌধুরী ও কল্যাণ চক্রবর্তী কিশলয়ের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। খুদে শিল্পীর নাচ, গান,আবৃত্তিতে জমাট অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন নবনীতা সরকার। সহযোগিতায় ঈশিতা চক্রবর্তী, পারুল রায়, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও দেবাশিস সরকার। মুখপাত্র উৎসব পালচৌধুরী জানান, প্রতিযোগিতা -মূলক নানা অনুষ্ঠান নিয়ে ফিরবেন।
• গত ৯ই ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি কলাকেন্দ্রে হয়ে গেল উদীচী নাট্য দলের ১৭তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান। সদর মহকুমাশাসক সাগর চক্রবর্তী এর সূচনা করেন। অয়ন্ত্রিকা নাগ, রিঙ্কি কর্মকার ও তুষিতা চৌধুরীর দুটি নাচের পর নাটক, জীবন যেমন। নাট্যকার চিররঞ্জন দাস, নির্দেশক রাজা নাগ। অভিনয়ে কল্যাণ সেন, অভিজিৎ নাগ, পল ঘোষ, ধ্রুব ভট্টাচার্য, হীরক চক্রবর্তী, জয়ন্ত ভট্টাচার্য, স্নেহা মাহাতো ও তন্দ্রা চক্রবর্তী। আলো সঞ্জয় মাহাতো, রূপসজ্জায় সন্দীপ বন্দোপাধ্যায়।
• সারস্বত উৎসব, ২১ ফেব্রুয়ারি এক সঙ্গে অনুষ্ঠিত হল ফালাকাটার ভুটনিরঘাট হাই স্কুলে। দিনভর গান নাচ ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে অংশ নেন ছাত্র-ছাত্রীরা। সন্ধ্যায় ভাষা আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করেন সাহিত্যিক মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক যোগেশ বর্মন, কবি পুণ্যশ্লোক দাশ গুপ্ত প্রমুখ। যোগেশ বাবু অবসরের পরে কৃতিদের উৎসাহিত করতে বছরে ৪ জনকে পুরস্কৃত করার জন্য এক লক্ষ টাকা কর্তৃপক্ষের হাতে দেন মন্ত্রী। সেই টাকার সুদ হিসাবে প্রাপ্ত টাকা এ দিন নবম ও দশম শ্রেণীর ৪ কৃতির হাতে দেওয়া হয়। |