রাস্তা জবরদখল করে হকাররা দোকান বসানোয় কান্দি শহরে যানজট সমস্যা। জবরদখল করে দোকানঘর গড়ে তোলায় কান্দি বাস টার্মিনাস থেকে কান্দি মহকুমা হাসপাতাল পর্যন্ত ওই পুরসভার প্রধান রাজপথের কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সমস্যা ভয়াবহ। যানজটের জন্য বিশেষ করে অফিস, বা স্কুল কলেজের সময় শিক্ষার্থী ও অফিস কর্মী থেকে সব ধরণের পথচারীদের নাজেহাল হতে হয়। কয়েক মাস আগে ওই ভয়াবহ যানজট থেকে কান্দি শহরকে মুক্ত করতে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে হকার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছিল। অভিযানের ফলে কয়েক দিনের মধ্যে হকাররা নিজেরাই তাঁদের দোকান তুলে নেন। তার ফলে কান্দির সাধারণ নাগরিকরা ভেবেছিলেন, হকার উচ্ছেদ করায় এ বার হয়তো কাউকে আর যানজটের সম্মুক্ষীন হতে হবে না। কিন্তু কয়েক দিন পর দেখা গেল হকাররা ফের রাস্তা জবরদখল করে পসরা বসিয়ে আগের অবস্থায় ফিরে গিয়েছেন। আরও অবাক কাণ্ড যে পুরসভা ঢাকডোল পিটিয়ে হকার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিল, সেই পুরসভা এ বার নীরব ও নিষ্ক্রীয়। পলিথিনের ক্যারিব্যাগ উচ্ছেদের ক্ষেত্রেও কান্দি পুরসভার ভূমিকা হকার উচ্ছেদ অভিযানের পুনরাবৃত্তি ছাড়া অন্য কিছু নয়। কান্দি শহরকে পলিথিন মুক্ত করা হবে বলে ঘোষণা করে পুরসভার পক্ষ থেকে দোকানে দোকানে কিছু দিন ক্যারিবাগ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। তার পর যে কে সেই। এখন অবাধে চলছে পলিথিনের ক্যারিব্যাগের ব্যবহার। কান্দি শহরে অবাধে চলছে বেআইনি রিকশার দাপট ও যেমন খুশি ভাড়া আদায়। দিনের বেলায় রাস্তার বিদ্যুতের খুঁটিতে আলো জ্বললেও পুরসভা এলাকার ১৭টি ওয়ার্ডের সর্বত্র পর্যাপ্ত পানীয় জন মেলে না। তাই কান্দির পুরপ্রধানের কাছে আবেদন, যানজট থেকে শুরু করে অনান্য অব্যবস্থা গুলি দুর করে নাগরিকদের যথাযথ পুরপরিষেবার দেওয়ার দিকে নজর দিন।
অময় চক্রবর্তী, কান্দি
|
কৃষ্ণনগর স্টেশন থেকে নবদ্বীপঘাট পর্যন্ত রাস্তার মাঝে নির্দিষ্ট কোনও অটো স্টপ নেই। তার ফলে যাত্রীদের চারগেট, রোড স্টেশন, শিমুলতলা, কিংবা হরিরামপুর যেতে হলে নবদ্বীপ পর্যন্ত পুরো রুটের ভাড়ার মাসুল গুনতে হয়। উল্টো দিকে যেতে হলে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত পুরো রুটের ভাড়া গুনতে হয়। ওই রুটে কম বাস চলায় অবাধে ওই ধরণের অটোরাজ চলছে। তার উপরে রয়েছে যাত্রী সংখ্যার উর্ধ সীমার কোনও রকম তোয়াক্কা না করা। গরু ছাগলের মতো গাদাগাদি করে যাত্রী বোঝাই করার ফলে অটোর দুই পাশে ও পিছনে যাত্রীদের প্রাণ হাতে বাদুড় ঝোলা হয়ে যেতে হয়। চারগেট, রোড স্টেশন, বাজার চত্বর ও শ্যামপুরের মতো জনবহুল এলাকাতেও কোনও ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা না থাকায় অটোর ওই অব্যবস্থা অবাধে চলছে।
তন্ময় ঘোষ, কৃষ্ণনগর
|
রঘুনাথগঞ্জ শহররের বালিঘাটা, ফাঁসিতলা ও হরিদাসনগর এলাকায় ইদানিং কালে বেশি রাতে অনেকে মদ খেয়ে মাতলামি করে। সেই সঙ্গে খুব দ্রুত গতিতে মোটরবাইক নিয়ে চক্কর দেয়। তাছাড়া ওই সব এলাকায় সাইকেল চুরি ও টাকা ছিনতাই-এর ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, ওই সব এলাকায় পুলিশি টহল বাড়িয়ে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনুন।
শান্তনু রায়, রঘুনাথগঞ্জ |