সঙ্কট কাটল মিড-ডে মিল প্রকল্পের। স্বস্তির হাওয়া সরকারি হাসপাতাল, কলেজ, হস্টেল এবং ইন্ডিয়ান সোসাইটিজ রেজিস্ট্রেশন আইনে নথিভুক্ত ধর্মীয় বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিতেও। কারণ, আগামী অর্থবর্ষ থেকে গৃহস্থের মতো তারাও ভর্তুকিতে বছরে ন’টি রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার পাবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। তবে এই অর্থবর্ষে তাদের আর দু’টি সিলিন্ডারই দেওয়া হবে। সম্প্রতি তেল সংস্থাগুলিকে এই মর্মে এক নির্দেশ পাঠিয়েছে তেল মন্ত্রক।
সেপ্টেম্বরে ভর্তুকির গ্যাসের ‘কোটা’ নির্দিষ্ট করে দেওয়ার আগে পর্যন্ত সিলিন্ডার পাওয়ার ক্ষেত্রে গৃহস্থের সঙ্গে পার্থক্য ছিল না ওই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু নয়া নিয়মে সরকারি স্কুল-কলেজ-হস্টেল বা নথিভুক্ত ওই ধর্মীয় ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে গৃহস্থের (ডোমেস্টিক) থেকে আলাদা করে ‘নন ডোমেস্টিক এগ্জেম্পটেড ক্যাটেগরি’ (এনডিইসি)-র গ্রাহক হিসেবে ধরা হয়। সে ক্ষেত্রে সিলিন্ডার কিনতে দাম (এখন ১১৫৪ টাকা) পড়ত ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের চেয়েও (এখন যা প্রায় ৯৭১ টাকা) বেশি। বাণিজ্যিক ব্যবহারের উপযোগী সিলিন্ডারের দাম ও ওজন অবশ্য আরও বেশি হয়।
এর ফলে বিশেষত মিড-ডে মিল প্রকল্প নিয়ে সঙ্কট দেখা দেয় ও সংশ্লিষ্ট মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। রাজ্যে ইন্ডেন-এর অন্যতম কর্তা অভিজিৎ দে এবং অল ইন্ডিয়া এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর্স ফেডারেশন-এর অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক বিজনবিহারী বিশ্বাস জানান, সম্প্রতি সেই নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। এখন থেকে ওই সব সংস্থা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিও সাধারণ গৃহস্থের মতোই বছরে ন’টি ভর্তুকির সিলিন্ডার পাবে। তবে চলতি অর্থবর্ষে তাদের জন্য বরাদ্দ আর দু’টি। ভর্তুকির কোটা শেষ হয়ে গেলে নির্দিষ্ট দামে ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারও পাবে তারা। সে ক্ষেত্রে কোনও বাড়তি কর দিতে হবে না তাদের। |