কেন্দ্রীয় রেলপ্রতিমন্ত্রী বীরভূমে নির্বাচনী প্রচারে আসার দিনেই ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখালেন মুরারই থানার রাজগ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। বৃহস্পতিবার সকালে রাজগ্রাম স্টেশনে আপ হাওড়া-জয়নগর প্যাসেঞ্জার ও পরে ডাউন বর্ধমান-বারহারুয়া প্যাসেঞ্জার প্রায় ঘণ্টা দুয়েক আটকে রেখে ওই বিক্ষোভ চলে। তাঁদের অভিযোগ, রাজগীর প্যাসেঞ্জার ও জয়নগর প্যাসেঞ্জারের কামরা সংখ্যা কমিয়ে নেওয়া হয়েছে। যার ফলে সাধারণ থেকে নিত্যযাত্রী সবাই দুর্ভোগে পড়ছেন। পরে রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ওই অবরোধ ওঠে। এ প্রসঙ্গে অধীরবাবু বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
এ দিকে নলহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনকে ঘিরে রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে কংগ্রেস। বিগত কয়েকদিন ধরে যে ক’জন কংগ্রেস নেতাই নলহাটিতে সভা করেছেন, প্রত্যেকে রাজ্য সরকারের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুমুল সমালোচনা করেছেন। বৃহস্পতিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। |
নাগালে নায়ক। কুশমোড় গ্রামে তোলা নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন মুরারই থানার কুশমুড় গ্রামে একটি প্রচার সভায় কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়ে বলেন, “উনি দাবি করছেন, ৯০ শতাংশ কাজই নাকি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আপনারাই দেখুন, আমি যে পথ দিয়ে এলাম, সেই রাস্তাটারই কী হাল!” উত্সব নিয়েও মমতাকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি অধীর। তাঁর অভিযোগ, “মুখ্যমন্ত্রীর ঘাড়ে ২ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকার দেনা, সেই দেনা শোধ নিয়ে তাঁর কোনও ভাবনা চিন্তাই নেই। অথচ তিনি শুধু মাত্র উত্সবের জন্যেই খরচা করেছেন ৪০০ কোটি টাকা! ওই টাকা দিয়ে রাজ্যের কৃষকদের জন্য অনেক কিছু করা যেত।”
এ দিন অধীরের সঙ্গে প্রচারে এসেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাজ বব্বরও। “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলা উচিত তা বলছেন না, আর যে কথা বলা উচিত নয়, তা-ই বলছেন! এখানে শুনেছি চাষিদের উপরে গুলি চলেছিল। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, গুলি চলেনি। তা হলে গুলিটা চলল কোথা থেকে?” পরে নলহাটির মধুরা গ্রামেও সভা করেন অধীর চৌধুরী। |