নলকূপ নিয়ে তদন্তে সরকার
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য গঠিত সুসংহত এলাকা উন্নয়ন নিগম (সিএডিসি)-এর আওতায় থাকা তিন হাজার গভীর নলকূপ পরিচালন কমিটির কাজকর্ম নিয়ে তদন্ত করছে পঞ্চায়েত দফতর। বুধবার পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এই খবর জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, সিএডিসি-র অধীনে তিন হাজার গভীর নলকূপ রয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় চাষ-আবাদের জন্য ওই সব নলকূপ বাম আমলে তৈরি করা হয়েছিল। একটি গভীর নলকূপ থেকে জল নিয়ে ১০০ একর জমি চাষ করা হয়। সরকারের তৈরি করে দেওয়া ওই নলকূপগুলি রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য স্থানীয় স্তরে কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়। এই কমিটিগুলির সিংহভাগ ছিল সিপিএমের নিয়ন্ত্রণে। তারা নলকূপ চালিয়ে চাষের জল দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ খরচ বাবদ একর প্রতি ২০ টাকা করে নিত। কিন্তু সেই টাকা দিয়ে বিদ্যুতের বিল মেটানো হয়নি। ফলে তিন হাজার গভীর নলকূপ ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে রয়েছে ২ কোটি টাকা। পঞ্চায়েত মন্ত্রীর আরও অভিযোগ, দলীয় সদস্য না হলে সেই সব চাষিদের চাষ-আবাদের জন্য জল দিত না কমিটি। এই প্রেক্ষিতে সব ক’টি নলকূপ পরিচালন কমিটির কাজকর্ম খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুব্রতবাবু বলেন, “যে সব কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে সেই সব কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে।” সুব্রতবাবুর অভিযোগ মানতে নারাজ বাম আমলের পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষ। তিনি বলেন, “আসলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে চমক দিতেই এ সব করা হচ্ছে। বছরের পর বছর চাষিরা নলকূপের জল পেয়েছেন। তাঁদের কারও অভিযোগ নেই, অথচ বর্তমান সরকার সব কিছুতেই দুর্নীতির ভূত দেখছেন।”
|
দুষ্কৃতীরা অধরাই
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
অটোরিকশায় এক মহিলার শ্লীলতাহানির ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও দুষ্কৃতীরা অধরা। তবে বুধবার কিছু অটোচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অভিযোগকারিণী জানান, তারা দুষ্কৃতীদের কেউ নয়। আটক হয় কিছু অটো। তদন্ত করছে সিআইডি-ও। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বারাসত-ব্যারাকপুর রোড ধরে ফেরার পথে অটোয় ওঠেন ওই তরুণী। অটোয় তখন ছিলেন অন্য এক যাত্রী। ওই মহিলা আরও যাত্রী নিতে বললে চালক আপত্তি করে। অভিযোগ, পরে আরও এক জন অটোয় ওঠে। দুই যাত্রীই মহিলার শ্লীলতাহানি করে। তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। এ দিকে, বুধবার ধর্মতলায় এক মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার হয় কল্যাণ মাইতি নামে এক ব্যক্তি।
|
বেতনে বঞ্চনা, প্রাক্তন শিক্ষাকর্তার জরিমানা |
রাজ্যের প্রাক্তন স্কুলশিক্ষা অধিকর্তা দিব্যেন মুখোপাধ্যায়ের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের পরেও এক শিক্ষিকাকে প্রায় ১০ বছর উচ্চতর বেতনক্রম দেয়নি স্কুলশিক্ষা দফতর। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ওই শিক্ষিকাকে প্রাপ্য বেতন না-দেওয়ায় বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেন। নির্দেশ দেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সর্বোচ্চ হারে সুদ-সহ গত ১০ বছরের প্রাপ্য বেতন অবিলম্বে মিটিয়ে দিতে হবে ওই শিক্ষিকাকে। দিব্যেনবাবুর জরিমানার ২০ হাজার টাকাও পাবেন তিনি। যদি দিব্যেনবাবু ইতিমধ্যে অবসর নিয়ে থাকেন, তা হলেও আইনি পথে তাঁর কাছ থেকে জরিমানা আদায় করবে সরকার। দমদম বাপুজি কলোনি আদর্শ বুনিয়াদি বিদ্যামন্দিরের শিক্ষিকা শিবানী সর্দার হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁর আইনজীবী এক্রামুল বারি বলেন, ওই শিক্ষিকার ভূগোলে অনার্স ছিল। ২০০৪ সালে তিনি কাজে যোগ দেন। পরে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান। পরিচালন সমিতি তাঁকে স্নাতকোত্তর বেতনক্রম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু স্কুলশিক্ষা পরিদর্শক তা মঞ্জুর করেননি। শিক্ষিকা তখন স্কুুলশিক্ষা অধিকর্তার কাছে আবেদন করেন। তিনিও আবেদন মঞ্জুর করেননি। আদালত প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। স্কুলশিক্ষা দফতর নীরব থাকে।
|
এসএসসি-র নিয়োগ নিয়েও জট |
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সমস্যা ছিল। এ বার জট দেখা দিল মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়াতেও। স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) ওই নিয়োগের জন্য যে ‘টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট’ (টেট) নিয়েছিল, সেই পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরপত্রে ভুল রয়েছে বলে একাধিক মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বুধবার বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত নির্দেশ দেন, ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে হবে কমিশনকে। একই সঙ্গে বিচারপতির নির্দেশ, ডেভিড হেয়ার ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাইকোর্টে তিন বিশেষজ্ঞের নাম জানাবেন। তাঁরা ‘টেট’-এর প্রশ্ন ও উত্তরপত্র খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবেন। আবেদনকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “প্রশ্ন ও উত্তরপত্র থেকে দেখা যাচ্ছে, আবেদনকারীদের উত্তর ঠিক। কিন্তু পরীক্ষক তাদের নম্বর থেকে বঞ্চিত করেছেন। তাই আবেদনকারীরা হয়তো চাকরি পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন।” এসএসসি-র চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল বলেন, “এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানাব।” |