নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁকরাইল |
শেয়ালের হামলায় জখম হলেন কুড়ি জন গ্রামবাসী। পরে অবশ্য শেয়ালটিকে মেরেও ফেলেন তাঁরা।
বুধবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইল ব্লকের মাষাড়-শালবনি গ্রামে বাড়ির কাছে ছাগল চরাচ্ছিলেন বছর পঞ্চাশের ওমেন সিংহ। আচমকা পিছন থেকে একটি শেয়াল তাঁর উপর হামলা চালায়। জন্তুটির হামলায় ক্ষতবিক্ষত হন তিনি। কিন্তু দমে না-গিয়ে রীতিমতো লড়াই করে নিজের প্রাণ বাঁচান ওমেনবাবু। টুঁটি টিপে লাঠির ঘায়ে প্রাণীটিকে মেরে ফেলেন তিনি। এদিন ভোর থেকে ওই প্রাণীটির হামলায় নয়াগ্রাম ও সাঁকরাইল ব্লকের ৮-৯টি গ্রামের কমপক্ষে ২০ জন জখম হন। |
এ দিন ভোরে প্রথমে নয়াগ্রামের কলমাপুকুরিয়া গ্রামে শেয়ালটি এক তরুণীকে কামড়ায়। গ্রামবাসীর তাড়া খেয়ে এরপর প্রাণীটি একে একে চালতাবেড়া, টোটাসাই, রামচন্দ্রপুর ও ভলিয়াঘাঁটি গ্রামের আরও ১৩ জন বাসিন্দাকে জখম করে। গুরুতর জখম তিন মহিলা-সহ চারজনকে নয়াগ্রামের খড়িকামাথানি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। এরপর এলাকাবাসীর তাড়া খেয়ে শেয়ালটি সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে সাঁকরাইল ব্লক এলাকায় ঢুকে পড়ে। সাঁকরাইলের হরেকৃষ্ণপুর, বাহাদুরপুর ও ধিতপুর গ্রামের আরও ৬ জনকে জখম করে প্রাণীটি। সাঁকরাইলের আহতদের মধ্যে চার শিশু ও দুই মহিলাও রয়েছেন। সকাল দশটা নাগাদ মাসাড়-শালবনি গ্রামে হামলা চালানোর সময় মেরে ফেলা হয় শেয়ালটিকে। খবর পেয়ে সাঁকরাইল ব্লকের সহ-প্রকল্প আধিকারিক কল্যাণব্রত ঘোষের নেতৃত্বে প্রশাসনিক দল মাষাড়-শালবনি গ্রামে যায়। বনকর্মীরা মৃত প্রাণীটিকে উদ্ধার করে সাঁকরাইল বিট অফিসে নিয়ে আসেন।
খড়্গপুরের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, “সম্ভবত ঝাড়খণ্ড অথবা ওড়িশার জঙ্গল থেকে ওই প্রাণীটি নয়াগ্রামে ঢুকেছিল। যে ভাবে সারাদিন ছোটাছুটি করেছে, তাতে সে দিকভ্রষ্ট হয়েছিল বলে অনুমান।” বন দফতরের এক কর্তা বলেন, যাঁদের আঁচড়ে-কামড়ে দিয়েছে প্রাণীটি, তাঁদের প্রতিষেধক নেওয়া দরকার।
|
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছয় বছরের একটি পুরুষ হাতি এবং বুধবার সকালে আট বছর বয়সের পুরুষ হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (পূর্ব) বিভাগের উত্তর রায়ডাকের ৬ নম্বর কম্পাটর্মেন্টের জঙ্গলে ঘটনাটি ঘটেছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (পূর্ব) উপক্ষেত্র অধিকর্তা ভাস্কর জেভি জানিয়েছেন, গত দু’দিনে দুটি হাতির দেহ উদ্ধার মিলেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পেলে মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব নয়। |