এ বার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের চারপাশে পুলিশের গাড়ি রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রশ্ন উঠল, ভিক্টোরিয়ার ভিতরে সেখানকার আধিকারিকদের গাড়ি ঢোকানো নিয়েও। আধিকারিকেরা ভিক্টোরিয়ার ভিতরে কেন গাড়ি নিয়ে ঢোকেন এবং তাঁরা পরিবেশবান্ধব গাড়ি ব্যবহার করেন না কেন, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষের কৌঁসুলির কাছে তা জানতে চেয়েছে আদালত।
পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের করা মামলার প্রেক্ষিতে এর আগেই কলকাতা হাইকোর্ট ভিক্টোরিয়ার চারপাশে গাড়ি পার্কিং নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও কলকাতা পুলিশের গাড়ি যে অহরহ ভিক্টোরিয়ার চারপাশে পার্ক করা থাকে, তা নজরে পড়ে খোদ বিচারপতির। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে বিষয়টি উল্লেখ করে জানান, তিনি রোজ বিকেলে ভিক্টোরিয়ায় হাঁটতে যাওয়ার সময়ে দেখতে পান অনেক পুলিশের গাড়ি চারপাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে। অথচ তিনি তাঁর গাড়ি ভিক্টোরিয়ার সামনে থেকে ছেড়ে দেন। পরে নির্দিষ্ট সময়ে গাড়ির চালক ফিরে এসে তাঁকে নিয়ে যান। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুক্লা কবীর সিংহের ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, ভিক্টোরিয়ার চারপাশে কী করে কলকাতা পুলিশের এত গাড়ি পার্ক করা থাকে? তবে কি কলকাতা পুলিশের গাড়ি কি দূষণ ছড়ায় না, প্রশ্ন করা হয় তা নিয়ে।
পাশাপাশি আদালত এ দিন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের কৌঁসুলির কাছে জানতে চায়, ওই চত্বরে যেখানে গাড়ি রাখা নিষিদ্ধ, সেখানে আধিকারিকেরা কী করে গাড়ি ভিতরে নিয়ে যান? বাইরে গাড়ি ছেড়ে দেন না কেন? আদালত এ দিন ভিক্টোরিয়ার কৌঁসুলিকে নির্দেশ দেয়, আধিকারিকেরা যাতে পরিবেশবান্ধব গাড়ি বা ব্যাটারি চালিত গাড়ি ব্যবহার করেন, সে দিকে নজর রাখতে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময়েই বা এত গাড়ি কেন ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়, তা-ও জানতে চায় আদালত। এ দিন আদালতে সরকারি কৌঁসুলি হাজির না থাকায় পরিবেশকর্মী সুভাষবাবুর করা ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড ও ট্রাফিক সিগন্যাল সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়নি। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, পরবর্তি শুনানি হবে ১ মার্চ। |