|
|
|
|
জেল পালানোর ছক ফাঁস সাবরমতীতে |
সংবাদসংস্থা • আমদাবাদ |
জেলের ভিতর মাটির নীচে তৈরি হয়েছে আঠারো ফুট লম্বা সুড়ঙ্গ। তবে এত দিন কিচ্ছুটি টের পাননি জেল কর্তৃপক্ষ। কাল রাতে দুই বন্দির আচরণে সন্দেহ হওয়ায় হদিস মিলল জেল পালানোর এই চক্রান্তের। গুজরাতের সাবরমতী জেলের তরফে আজ এই খবর জানানো হয়েছে।
২০০৮-এ আমদাবাদে একের পর এক বিস্ফোরণে নিহত হয়েছিলেন ৫৭ জন। এতে অভিযুক্ত ১৪ জনের ঠিকানা এই সাবরমতী জেলই। নিরাপত্তার খাতিরে যাদের বিচার পর্যন্ত চলছে জেল চত্বরেই। এ রকম গুরুত্বপূর্ণ জেলে এই কাণ্ড ঘটায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পুলিশ প্রশাসন। জেলের সুপার ভি এম পারঘি জানিয়েছেন, চার নম্বর কুঠুরির তলায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছে সুড়ঙ্গটি। ২০০৮-এর বিস্ফোরণে অভিযুক্তরাই থাকত সেখানে। সুপার জানান, ওই ১৪ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে আমদাবাদ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
কাল রাতে চার নম্বর কুঠুরির দুই সদস্যের আচরণ অস্বাভাবিক রকম ঠেকে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে। এর পরই খোঁজাখুজি করে মেলে একটা গর্তের মুখ। নীচে নেমে দেখা যায়, নিকাশি নালার ঠিক গা ঘেঁষে গিয়েছে একটি লম্বা সুড়ঙ্গ। জেলের মূল দরজার সামনে গিয়ে শেষ হয়েছে তা। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এই বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারই গোটা পরিকল্পনাটার পিছনে রয়েছেন।
এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর পটেল। তিনি জানান, জেলে মাটি কাটার যন্ত্রপাতি কিছু মেলেনি। গোয়েন্দাদের অনুমান খাওয়ার বাসনপত্র আর গাছের ডাল দিয়েই মাস দু’-তিনেক ধরে খোঁড়াখুড়ি চালিয়েছে বন্দিরা।
সাবরমতী জেলের আইজি-র কথায়, এই অভিযুক্তেরা নিজেরাই বাগানের কাজ বেছে নিয়েছিল। প্রতিদিন ঘণ্টা তিনেক করে নিজেদের পছন্দের কাজ করার সুযোগ পায় বন্দিরা। সে সময়ই এই কীর্তি ঘটিয়েছে। তবে একই সঙ্গে তাঁর দাবি, খোঁড়াখুড়ি করেও তারা বিশেষ সুবিধে করতে পারত না, কারণ মাটির নীচে প্রায় কুড়ি ফুট পর্যন্ত পাঁচিল দিয়ে ঘেরা রয়েছে গোটা সাবরমতী জেল। |
|
|
|
|
|