খরা দেখতে অভ্যস্ত পুরুলিয়া জেলার মাটিতে জলের পরিমাণ বাড়াতে এ বার ১৩টি জায়গায় বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। সুসংহত জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি প্রকল্পে মূলত জলের অপচয় বন্ধ করে জল সংরক্ষণ করা হবে। তাতেই এই শুখা জেলায় ভূগর্ভস্থ জলভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধ হবে। জেলার বিভিন্ন স্তরের মানুষজনকে এই প্রকল্প সম্পর্কে সচেতন করতে শুক্রবার পুরুলিয়া ১ ব্লকের ডুড়কুতে এই বিষয়ে এক কর্মশালা হয়ে গেল। প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের কৃষি দফতরের প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না।
প্রশাসন সূত্রের খবর, এই প্রকল্পে বৃষ্টির জল সঞ্চয়ের জন্য পুকুর ও জলাশয় খনন করা হবে। এ ছাড়া ছোট জোড়, নালা প্রভৃতি বাঁধ দেওয়া হবে। এমনকী উঁচু জমি থেকে জল যাতে নিচু এলাকায় গড়িয়ে যেতে না পারে, সে জন্য জমির আলপথেও ছোট বাঁধ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সেচখালে চেকড্যাম তৈরি করা হবে। জমানো জলে মাছ চাষ করা হবে। এক আধিকারিক বলেন, “বৃষ্টির জল এত দিন বয়ে চলে যেত। এ বার সেই জলের অপচয় রুখে দিয়ে, তা সংরক্ষণ করা হবে। এর ফলে মাটির নীচে জল ঢুকবে। এতে ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণও বাড়বে। এর সুফল মিলবে ভবিষ্যতে।” এই প্রকল্পের আওতায় বনসৃজন থেকে পশুপালন ও টাঁড় জমিকে চাষযোগ্য করারও পরিকল্পনা রয়েছে।
পুরুলিয়ার উপ কৃষি অধিকর্তা (ভূমি সংরক্ষণ) আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আড়শা, বলরামপুর, মানবাজার ১, মানবাজার ২, জয়পুর, কাশীপুর ও ঝালদা ১ ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় এই প্রকল্পগুলি গড়ে তোলা হবে বলে ঠিক হয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ এই কর্মসূচিতে পাঁচ বছরে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৭৬ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা। তার ছয় শতাংশ টাকা ইতিমধ্যে পাওয়া গিয়েছে।” ১৩টি প্রকল্পের মধ্যে ৯টি প্রকল্প রূপায়িত করবে কৃষি দফতরের ভূমি সংরক্ষণ বিভাগ। ৩টি প্রকল্প গড়বে বন দফতর ও অন্য প্রকল্পটি রূপায়িত করবে জেলায় কৃষির উপর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এরকম একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
কৃষি দফতরের প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, “এই প্রকল্পের মাধ্যমে জলের সমস্যার অনেকটাই সুরাহা হবে। গুজরাট এই প্রকল্প কার্যকর করে আজ অনেক এগিয়ে গিয়েছে। এই প্রকল্পকে সফল করলে তার সুবিধা এলাকার বাসিন্দারাই পাবেন।” ওই কর্মশালায় সাধারণ চাষিদের সঙ্গে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরাও উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেফতারের দাবি। হামলা চালিয়ে বিজেপি-র সভা ভণ্ডুল করায় অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতারের দাবি তুলল বিজেপি। শুক্রবার বিজেপি কর্মীরা বাঁকুড়া পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেন। বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার ঘটকের দাবি, “২৫ জানুয়ারি পাত্রসায়রের বীরসিং গ্রামে তৃণমূলের কর্মীরা মারধর ও ভাঙচুর চালিয়ে আমাদের পথসভা বানচাল করে দেয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জানালেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।” পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। |