জলপাইগুড়ির ২২ নম্বর পুর ওয়ার্ড কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত সাংস্কৃতিক উৎসব হল ২৫ -২৮ জানুয়ারি। মাসকলাইবাড়ি ১ নম্বর আর আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে উৎসব হয়। কমিটির পক্ষে পিনাকী সেনগুপ্ত জানান, উৎসব ৭ বছরে পড়ল। আয়োজকরা এ বছর অঙ্কের প্রতিযোগিতার মতো নতুন বিভাগের আয়োজন করা হয়। পুর চেয়ারম্যান মোহন বসু উপস্থিত ছিলেন। চারটি বিভাগে দিনের বেলা চলেছে নানা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। সন্ধ্যায় আয়োজন ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। যাতে ছিল সঙ্গীতানুষ্ঠান। পরিবেশনায় গানের তরী, সুজিত সরকার, শিবনাথ ঘোষ, দীপান্বিতা দেবনাথ ও নিরুপম ভট্টাচার্য, নিক্কনের নৃত্যানুষ্ঠান, তপন দাস বাউল ও তাঁর সম্প্রদায়ের বাউল গান, ২২ নম্বর পুর ওয়ার্ড কমিটির নাটক ‘অসুখ’, শিলালীর ‘আরও আলো’, রূপায়ণের ‘নিরস্ত্র’ ও সৃষ্টির মূক নাটক ‘নক্সি কাঁথার মাঠ’ শহরের সংস্কৃতি জগতে এক মহতী অনুষ্ঠানের আয়োজন যথেষ্ট চাঞ্চল্য জাগিয়েছে।
|
শহরে নাট্যমেলা, উদ্বোধনে মনোজ মিত্র |
নটি বিনোদিনীর ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন
মনোজ মিত্র এবং গৌতম দেব। শিলিগুড়িতে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক। |
পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমির উদ্যোগে ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন বিভাগের সহযোগিতায় শুক্রবার শিলিগুড়িতে শুরু হয়েছে নাট্যমেলা। এ দিন দীনবন্ধু মঞ্চে মেলার উদ্বোধন করেন মনোজ মিত্র। উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। মেলা চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। যে সমস্ত নাটক মঞ্চস্থ হবে সেগুলি হল অচলায়তন, শ্রী শম্ভু মিত্র, পিঙ্কি বুলি, অনাগত এবং সে।
|
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হল ‘মঞ্চ একুশে’ সংস্থার ১৩৭তম অধিবেশন। সঙ্গীত পরিবেশন করেন অমিতাভ লালা। শিল্পীকে তবলায় সহযোগিতা করেন শান্তনু চক্রবর্তী। স্বরচিত ছোট গল্প পাঠ করেন অর্পিতা মুন্সি, ইন্দ্রনীল কুণ্ডু, চন্দনা চাকী, মণীষ বৈদ্য, অরূপনারায়ণ বসাক, সন্দীপ কাঞ্জিলাল ও স্বপ্ন রায়। গল্পের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন শান্তনু বিশ্বাস, মমতা কুন্ডু, সুভাষ চক্রবর্তী।
|
জলপাইগুড়ি শহরের এক ঐতিহ্যপূর্ণ কলা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে চলেছেন আর্য নাট্য সমাজ। সত্যেন্দ্র প্রসাদ রায় স্মরণে এ বছরের কলা প্রতিযোগিতা হয়ে গেল ২২-২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। রবীন্দ্র ভবন মঞ্চে উত্তরবঙ্গের সব কটি জেলা থেকে শতাধিক প্রতিযোগী এসেছিলেন। ২৬ সন্ধ্যায় হল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। বিভিন্ন বিভাগে বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগীরা হলেন ত্রিস্রোতা ধর চৌধুরী, শতরূপা গুহ রায় ও সঞ্চারী গুহ রায়। সব বিভাগ মিলিয়ে সেরার সেরা প্রতিযোগী নির্বাচিত হয়েছেন শতরূপা গুহ রায় এবং ২য় শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী নির্বাচিত হয়েছেন ত্রিস্রোতা ধর চৌধুরী। একই সঙ্গে আগেই অনুষ্ঠিত সারা বাংলা পূর্ণাঙ্গ নাট্য প্রতিযোগিতারও পুরস্কার দেওয়া হয়। শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা সহ ৪টি পুরস্কার পোয় কোচবিহার-এর ‘কম্পাস’, আবর্ত নাটকের জন্য।
|
জলপাইগুড়িতে ‘ইচ্ছেডানা’র অনুষ্ঠান। ছবি: সুদীপ দত্ত। |
জলপাইগুড়ির মহিলা নাট্যদল ‘ইচ্ছেডানা’ তার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান আয়োজিত করেছিল সরোজেন্দ্রদেব রায়কত সাংস্কৃতিক কলাকেন্দ্রে। প্রদীপ জ্বালিয়ে এর সূচনা করেন ছন্দা রায় ও বন্দনা মিত্র। মঞ্চে ছিল সীমা চৌধুরীর গান, ইশিতা চক্রবর্তীর কবিতা পাঠ, নজরুলগীতির সঙ্গে অর্কপ্রিয়া চক্রবর্তীর নাচ। ছিল মীনাক্ষী ঘোষের একক কবিতা কোলাজ নানা কবিতা ও শ্রুতিনাটকের অংশবিশেষ। এ দিন স্থানীয় নাট্যব্যক্তিত্ব রিনা গোস্বামীকে ইচ্ছেডানা সম্মানে সম্মানিত করা হল। সুচিত্রা ভট্টাচার্যের লেখা ‘অবগাহন’ অবলম্বনে গঙ্গাজল নাটক মঞ্চস্থ হল। নাট্যরূপ ও নির্দেশনার ভার জবা শর্মা চমৎকার সামলেছেন। সব মিলে অনুষ্ঠানটি দর্শকমনে দাগ কেটে যায়।
|
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে অনুষ্ঠিত হল ‘উত্তরবঙ্গ উৎসব’। ২৯ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উৎসবে উত্তরবঙ্গের সৌন্দর্য ও সম্ভাবনাকে তুলে ধরা হয়। ছিল টি-২০, কবাডি, ভলিবল, ফুটবলের আসর। বালুরঘাট রবীন্দ্রভবনে দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ছিল চলচ্চিত্র উৎসব। ছিল নাটকের অনুষ্ঠান। রুদ্ধসঙ্গীত, অচলায়তন, দেবী সর্পমস্তার মতো নাটক দেখানো হয়। বাংলাদেশের ঢাকা মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় ‘শিখন্ডির কথা’ পরিবেশন করে। ছিল যাত্রা অনুষ্ঠান ও ব্যান্ডের গান।
|
প্রকাশিত হল দেবযানী সেনগুপ্তের রবীন্দ্র কবিতা অ্যালবাম ‘চিরচেনা’। ১০ জানুয়ারি জলপাইগুড়ি বইমেলায় কবি সম্মেলনের আসরে অ্যালবামটি উদ্বোধন করেন সুভাষ কর্মকার। নির্ঝরের স্বপ্ন ভঙ্গ, আমি, হঠাৎ দেখার মতো ১৫টি কবিতা রয়েছে। |