স্কুলের এক প্রাক্তন টিচার ইনচার্জের বিরুদ্ধে স্কুলের তহবিলে তছরূপ করার অভিযোগ তুললেন স্কুলের পরিচালন সমিতি। মানবাজার থানার বারি শশীভূষণ হাইস্কুলের ঘটনা। স্কুল পরিচালন সমিতি সম্প্রতি জেলা পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক চক্রধর মাহাতোর দাবি, “আমি সম্প্রতি এই স্কুলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়েছি। স্কুলের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত হিসেব পরীক্ষা করতে গিয়ে গিয়ে দেখি, স্কুল উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজে দেড় লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে। অথচ ওই টাকা খরচের কোন নথি স্কুলে নেই।” স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক তথা স্থানীয় গোপালনগর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান কৃত্তিবাস মাহাতোর অভিযোগ, ‘‘তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিলবরণ মাহাতো অবসর নেওয়ার সময় ওই টাকা খরচের কোনও হিসেব বুঝিয়ে দিয়ে যাননি।” অনিলবাবুর দাবি, “অবসর নেওয়ার সময় আমি স্কুলের আয়-ব্যয়ের হিসেব বুঝিয়ে দিয়ে এসেছি। এখন রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তোলা হয়েছে।” জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) রাধারানি মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
রেশনের মাল পাচার করার অভিযোগে এক রেশন ডিলার-সহ দু’জনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার রাতে মানবাজারের বামনি গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হলেন রেশন ডিলার নরেশ অগ্রবাল ও পিকআপ ভ্যানের চালক সমীর নারায়নদেব। ডিএসপি (ডিইবি) শেখ মহম্মদ আজম বলেন, “এক রেশন ডিলার সমেত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রেশনের মাল আটক করা হয়েছে।” বামনি গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই রেশন ডিলারের বাড়ি থেকে একটি গাড়ি বের হতে দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। গাড়িতে ত্রিপলের নীচে বস্তা ভর্তি গম ও চিনি ছিল। তাঁরা গাড়ি সমেত ওই দু’জনকে আটকে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ জানায়, আট বস্তা গম ও তিন বস্তা চিনি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মানবাজার ব্লকের খাদ্য পরিদর্শক দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, “গ্রাহকরা যাতে বঞ্চিত না হন দেখা হচ্ছে।
|
মন্দিরের কোলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে বিগ্রহের গয়না-সহ কিছু জিনিসপত্র চুরি করার অভিযোগ উঠল রাইপুরের দেবী মহামায়ার মন্দিরে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি জানা যায়। এ দিন রাইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দিরের সেবাইত বংশীবদন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এ দিন সকালে এক পুলিশকর্মী মন্দিরের দরজার তালা ভাঙা দেখতে পান। তিনিই স্থানীয় বাসিন্দাদের খবর দেন।” তাঁর অভিযোগ, “বিগ্রহের সোনার চোখ, রুপোর মুকুট ও জিভ, দু’টি ঘন্টা, বাসনপত্র নিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এই চুরির পিছনে কারা রয়েছে তা খতিয়ে দেখে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। |