টুকরো খবর |
রামপুরায় টোলপ্লাজা খুলল
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
নারায়ণগড়ের এই টোলপ্লাজায় শুক্রবার সকাল থেকে
চালু হয়েছে টোল আদায়। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
শুক্রবার সকাল থেকেই চালু হল নারায়ণগড়ের রামপুরা টোলপ্লাজা। এ দিন সকাল আটটা থেকে ফের টোল আদায়ের কাজ শুরু হয়। কর্মচারী অসন্তোষের জেরে গত অক্টোবর থেকে টোল আদায়ের কাজ বন্ধ ছিল। এর ফলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছিল। মাস কয়েক আগে টেন্ডারের মাধ্যমে নতুন এক সংস্থা এই টোলপ্লাজার দায়িত্ব পায়। এরপরই দেখা দেয় অচলাবস্থা। সাধারণত, নতুন সংস্থা তাদের মতো করে কর্মী নিয়োগ করে। পুরো সংস্থার কর্মীরা জানান, তাঁদের কাজে বহাল রাখতে হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এই দাবি ঘিরেই সমস্যার সূত্রপাত। দাবি সমর্থন করে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। তাদের বক্তব্য ছিল, কাউকে কর্মচ্যুত করা যাবে না। গোলমালেক জেরে বনিধ হয়ে যায় টোল আদায়। সমস্যা সমাধানে বৃহস্পতিবার জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্তর দফতরে টোলপ্লাজার দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন সংস্থা ও আইএনটিটিইউসি’র প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হয়। আগে রামপুরা টোলপ্লাজায় ৮৬ জন কাজ করতেন। বৈঠকে স্থির হয় পুরনোদের মধ্যে ৫০ জনকে কাজে বহাল রাখা হবে। এরপরই এ দিন সকাল থেকে টোলপ্লাজা খুলে দেওয়া হয়। ফের টোল আদায়ও শুরু হয়। আইএনটিটিইউসি নেতৃত্ব আশ্বাস দিয়েছেন, বাকি ৩৮ জনের কর্মসংস্থানের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তৃণমূলের নারায়ণগড় ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ বলেন, “বৃহস্পতিবার জেলাশাসদের দফতরে বৈঠক হয়েছিল। বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতো শুক্রবার সকাল থেকে রামপুরা টোলপ্লাজা চালু হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র মেলায় কর্মচারীরাও খুশি।”
|
কাল শহরে সভা বাম বিদ্বজ্জনদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শিক্ষা-সংস্কৃতি আক্রান্ত, রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই এই অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারের নিরপেক্ষ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে এ বার পথে নামতে চলেছেন বামপন্থী বিদ্বজ্জনেরা। মেদিনীপুরে সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। কাল, রবিবার মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্র মূর্তির পাদদেশে ওই সমাবেশ হবে। উপস্থিত থাকার কথা চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার, নাট্যকার ও চিত্রশিল্পী ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দন সেন প্রমুখের। সমাবেশের সমর্থনে শহর জুড়ে পোস্টার সাঁটানো হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের পক্ষে বিজয় পাল বলেন, “রাজ্যে শিক্ষা-সংস্কৃতি-গণতন্ত্র-সম্ভ্রম-মানবাধিকার, সব আক্রান্ত। একের পর এক অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে চলেছে। রাজ্য সরকার তো দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছেই না, উল্টে সরকারের পদক্ষেপ থেকে দোষীরা উৎসাহিত হচ্ছে। এর প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ-সমাবেশের ডাক দিয়েছি।” পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘ, ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘ, ভারতীয় গণসংস্কৃতি সঙ্ঘ, প্রগতি লেখক সঙ্ঘ এবং ভারতীয় লোকসংস্কৃতি পরিষদ এই পাঁচটি সংগঠন যৌথ ভাবে এই সমাবেশের আয়োজন করছে। উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে সর্বত্র বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। সরকার পরিবর্তনের ফলে যে লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, তা কি আরও ভালর দিকে যাচ্ছে, নাকি খারাপের দিকে, মানুষ অভিজ্ঞতা দিয়েই বিচার-বিশ্লেষণ করছেন। বিজয়বাবু বলেন, “এই ভয়ঙ্কর প্রবণতার বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ হওয়া দরকার।”
|
তৃণমূলের দ্বন্দ্ব সুতোকলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কর্মচারীরা শ্রমিক সংগঠন করবেন, না কি কর্মচারী সংগঠন তা নিয়ে তৃণমূল প্রভাবিত দুই সংগঠনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে মেদিনীপুরের তাম্রলিপ্ত স্পিনিং মিলে। সম্প্রতি, রাজ্য সরকারের স্বীকৃতিতে এই মিলের কর্মচারীরা সরকারি কর্মীর মর্যাদা পান। তারপর সেখানে শ্রমিক সংগঠন গড়ে তোলে স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের (ইউনিফায়েড)। সংগঠনের স্পিনিং মিল ইউনিটের সভাপতি করা হয় আইএনটিটিইউসি নেতা স্বাধীন দাসকে। স্বাধীনবাবু পদত্যাগ করেছেন। শুক্রবার ঠিকা-শ্রমিকেরা মিলের সামনেই সভা করেছিলেন। যে সভায় স্বাধীনবাবুর সঙ্গে ছিলেন স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের (পশ্চিমবঙ্গ) জেলা সম্পাদক সুব্রত সরকার। সুব্রতবাবুর বক্তব্য, “মিলে উৎপাদন হয়। ফলে, মিলে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা কর্মচারী সংগঠন করতে পারেন না। কিন্তু, শ্রমিক সংগঠন করতে পারেন। আমরা সভায় তাই বলেছি।” একই বক্তব্য স্বাধীনবাবুর।
অন্য দিকে, স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের (ইউনিফায়েড) জেলা সম্পাদক অরুণ প্রতিহার বলেন, “মিলের কর্মচারীরা সরকারি কর্মচারীর মর্যাদা পেয়েছেন। ফলে তাঁরা কর্মচারী সংগঠন করবেন। এতে কোনও বাধা নেই।” তাঁর বক্তব্য, “স্বাধীন দাস ওই মিলের কর্মচারী নন। ফলে তাঁকে ইউনিট সভাপতির পদ থেকে সরানো হত। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। পদ থেকে সরানো হবে বুঝতে পেরেই উনি পদত্যাগ করেছেন।”
|
টিএমসিপি’র মিছিল
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ‘বিশ্ববিদ্যালয় চলো’র ডাক দিয়েছে এসএফআই। তার আগের দিন অর্থাৎ, ১১ ফেব্রুয়ারি মেদিনীপুরে মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। উপস্থিত থাকবেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পন্ডা। টিএমসিপির এই কর্মসূচী এসএফআইয়ের পাল্টা বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল। যদিও সংগঠনের নেতৃত্ব তা মানতে নারাজ। টিএমসিপির জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি বলেন, “বেশ কিছু দাবিতে আমরা ওই দিন মেদিনীপুর শহরে মিছিল করব।” সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন রয়েছে। সেই নির্বাচনের আগে ছাত্রছাত্রীদের সংগঠিত করতেই দুই সংগঠনের এই কর্মসূচী বলে মনে করা হচ্ছে। ১১ তারিখের কর্মসূচির সমর্থনে শুক্রবার কেশপুরে মিছিল করে টিএমসিপি।
|
স্কুলের অনুষ্ঠান
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হল শুক্রবার মেদিনীপুর কলেজিয়েট বালিকা বিদ্যালয়ে। শুক্রবার স্কুলের মাঠেই আয়োজন করা হয়েছিল অনুষ্ঠানের। উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্ত, বিধায়ক মৃগেন মাইতি, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সঙ্ঘমিত্র মাকুড়, পুরপ্রধান প্রণব বসু। এ দিন বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়। আজ, শনিবার বিদ্যালয়ের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্কুল পরিচালন কমিটির সম্পাদক মধুসূদন গাঁতাইত। পুরস্কার বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঘিরে স্কুলের ছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ দেখা দেয়।
|
তৃণমূলের মিছিল
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বন্ধের বিরোধীতা-সহ বেশ কিছু দাবিতে শুক্রবার খড়্গপুর ১ নম্বর ব্লকের কলাইকুন্ডা এলাকায় মিছিল ও সভা করে তৃণমূল। ছিলেন দলের কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ, ব্লক সভাপতি শক্তি মণ্ডল প্রমুখ। |
|