|
|
|
|
মধ্যস্থ জার্মান রাষ্ট্রদূত |
দশ বছরের বয়কট তুলে মোদীর পাশে ইউরোপ |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
গোধরা পরবর্তী দাঙ্গার প্রায় দশ বছর পর অবশেষে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বয়কট তুলল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এমন একটা সময়, যখন প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য তাঁর নাম উঠে আসছে। আর বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে দশ বছর আগের সেই গুজরাত দাঙ্গার স্মৃতি।
প্রায় এক মাস আগের ঘটনা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করতে জার্মান দূতাবাসের দ্বারস্থ হন মোদী। বৈঠকের আয়োজন করেন জার্মান রাষ্ট্রদূত মাইকেল স্টেইনার। তবে এই বৈঠকের কথা এত দিন গোপন ছিল। গত কাল ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত জোয়াও ক্র্যাভিনহো এই নিয়ে প্রথম মুখ খোলেন।
আজ জার্মান রাষ্ট্রদূত স্টেইনার জানান, গুজরাত ভোটের পরে এখন নতুন চোখে সে দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা। তাঁর বক্তব্য, মোদীর সঙ্গে দেখা করাটা সেই কাজেরই অংশ। তিনি বলেন, “ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। গণতন্ত্রকে আমরা সম্মান করি। ভোটের ফলাফলের উপরে ভরসা আছে। ভারতীয় বিচারব্যবস্থাকেও আমরা সম্মান করি। এই শ্রদ্ধা এবং ভরসার জন্যই আমাদের মধ্যে একটা নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে।”
তবে এক মাসে আগে ৭ জানুয়ারির বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মোদীর কী কথা হয়েছিল, তা নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, মোদী সে দিন বলেছিলেন, ২০০২-এর ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এবং এ বিষয়ে আদালত যা রায় দেবে, তিনি মাথা পেতে নেবেন। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে যা যা করা সম্ভব, তিনি তাই করবেন। |
|
|
নরেন্দ্র মোদী |
জার্মান দূত স্টেইনার |
|
তবে কি মোদীর প্রতি নরম হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন?
ক্র্যাভিনহোকে এই প্রশ্ন করায় সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, “শুধু ভারতই নয়, গোটা দুনিয়াই জানতে চায়, ২০০২ সালে যে ঘটনা ঘটেছিল, তার জন্য দায়ী কে। এতে ভারতীয়দের আবেগ জড়িয়ে আছে। আমরাও বিষয়টার উপর নজর রাখছি।” মায়া কোড়নানি এবং বাবু বজরঙ্গির বিরুদ্ধে আদালতে সাজা ঘোষণার কথা টেনে তিনি বলেন, “ভারতীয় বিচারব্যবস্থা ধীর গতিতে চললেও, বিফলে যায় না।”
গত অক্টোবরে দশ বছরের বিরোধ কাটিয়ে ভারতে ব্রিটেনের হাইকমিশনার জেমস বিভানও মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। সূত্রের খবর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভাবছে, গুজরাতে তিন বারের জয়ী মোদীর সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় করার এই সময়। তা ছাড়া এই মুহূর্তে মোদীর বিরুদ্ধে আদালতের কোনও অভিযোগও নেই।
তবে এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মোদীকে তুলে ধরা নিয়ে বিজেপি-র বিরুদ্ধে তোপ দাগল জেডিইউ। তারা বলছে, প্রধানমন্ত্রী পদে কে বসবে, তা নিয়ে অদ্ভুত এক গবেষণা চলছে। ঠিক সময়ে জোট দলগুলো একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেবে। বিজেপি একা এ সব স্থির করতে পারে না। জেডিইউ প্রধান শরদ যাদব কটাক্ষ করে বলেন, “এমন ভাবে খোঁজ চলছে, যেন পরমাণু বোমা তৈরির গবেষণা চলছে।” বিজেপি অবশ্য বলছে, গোটা দুনিয়া যাঁকে স্বীকৃতি দিচ্ছে, তাকে নিয়ে বিজেপি-রও কি কিছু করার আছে? |
|
|
|
|
|