|
|
|
|
পোশাক তৈরির বরাতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ |
স্কুলে তালা স্বসহায়ক গোষ্ঠীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জামবনি |
স্কুল পড়ুয়াদের পোশাক তৈরির বরাত দেওয়া নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে জামবনি ব্লকের ‘দুবড়া আদর্শ বিদ্যামন্দিরে’ প্রধানশিক্ষকের অফিসঘর ও স্টাফ রুমে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় ১৪টি স্বসহায়ক গোষ্ঠীর মহিলারা। প্রধান শিক্ষক তীর্থদ্যুতি ভাওয়াল অবশ্য এ দিন স্কুলে আসেননি। তবে স্টাফ রুমে তালাবন্দি হয়ে পড়েন স্কুলের ১২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। জামবনি থানার পুলিশ গিয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা তালা খুলে দেয়। গোলমালের জেরে টিফিনের পর ছুটি হয়ে যায় স্কুলে।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ৫৯৭ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য দু’সেট করে স্কুলড্রেস তৈরির অনুদান দিয়েছে সর্বশিক্ষা মিশন। দু’সেট পোশাকের জন্য পড়ুয়া পিছু চারশো টাকা করে বরাদ্দ হয়েছে। আবেদনকারী ১৭টি স্বসহায়ক গোষ্ঠীর মধ্যে তিনটি গোষ্ঠীকে পোশাক তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৪টি স্বসহায়ক গোষ্ঠীর অভিযোগ, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে পছন্দের ওই তিনটি গোষ্ঠীকে পোশাক তৈরির বরাত পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ দিন বিক্ষোভে অংশ নেওয়া স্বসহায়ক গোষ্ঠীর সদস্য জয়ন্তী দেহুরি, মীরা পান্ডা, অনিমা শিটদের দাবি, “পোশাক তৈরির বরাত পাওয়ার জন্য আমাদের মতো অনেকেই আবেদন করেছিল। কয়েকটি গোষ্ঠীর কাছ থেকে পোশাকের নমুনাও সংগ্রহ করেছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরপর আমরা জানতে পারি, স্কুল পরিচালন কমিটি নিজেদের পছন্দ মতো অন্য ৩টি গোষ্ঠীকে পোশাক তৈরির বরাত দিয়েছে।” কেন এমন হল?
প্রধান শিক্ষক তীর্থদ্যুতি ভাওয়ালের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে বলেন, “আমি অসুস্থ। ছুটিতে আছি।”
দীর্ঘ দিন ধরে স্কুলের পরিচালন কমিটিতে ছিলেন বামপন্থীরা। মাস তিনেক আগে স্কুলের পরিচালন কমিটির ক্ষমতা দখল করেছেন তৃণমূলপন্থীরা। স্কুল পরিচালন কমিটির সম্পাদক কমলেশ মালাকার বলেন, “আমরা তৃণমূলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে যোগ্য তিনটি স্বসহায়ক গোষ্ঠীকে পোশাক তৈরির বরাত দিয়েছি। বরাত দেওয়া নিয়ে কোনও অনিয়ম হয়নি। সিপিএমের উস্কানিতে ওদের সমর্থক কিছু স্বসহায়ক গোষ্ঠী গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছে।” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব। |
|
|
|
|
|