অ্যাঞ্জেল ওকোলি মাঠে থাকলে বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে যান ওকোলি ওডাফা!
আর অস্ট্রেলীয় বান্ধবী সেরাপ যুবভারতীর ভি ভি আই পি বক্সে বসে থাকলে টেনশনে পড়েন টোলগে ওজবে!
শনিবারের ডার্বিতে কি মিসেস ওডাফা এবং টোলগের ফিঁয়াসে দু’জনেই মাঠে উপস্থিত থাকবেন? টেনশন বেড়ে যাবে বলে দু’জনেই অবশ্য খোলসা করে কিছু বলতে চাননি। তবে ম্যাচের যা উত্তেজক পরিস্থিতি তাতে মাঠে ওডাফা টোলগে জুটির মতোই যুবভারতীর ভি ভি আই পি বক্সে অ্যাঞ্জেল-সেরাপ পাশাপাশি বসে খেলা দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
একে ডার্বি। তার উপর তীব্র চাপের ম্যাচ। এই পরিস্থিতিতে মিসেস ওডাফার তো ষোলো আনা ইচ্ছে রয়েছে যুবভারতীতে বসে ম্যাচটা দেখার। ‘লেডি লাকে’ বিশ্বাসী ওডাফা সব সময়ই চান মাঠে থাকুন তাঁর অর্ধাঙ্গিনী। অ্যাঞ্জেলও বৃহস্পতিবার বলে দিলেন “এই ম্যাচটা মাঠে বসে দেখতে চাই। কিন্তু সংসার সামলে যেতে পারব কি না বুঝতে পারছি না।” টোলগের বান্ধবী সেরাপও শনিবার ডার্বির রঙে রঙিন হয়ে যেতে চাইছেন। দেখতে চান, তাঁর প্রিয় মানুষটি গোল করছেন। ম্যাচ জেতাচ্ছেন। তবে টোলগে টেনশনে পড়ে যাবেন বলেই মাঠে যাওয়া নিয়ে কেমন যেন দ্বিধাগ্রস্থ। বলেও ফেললেন, “এখনও কিছু ঠিক করিনি। তবে ইচ্ছে তো আছে মাঠে যাওয়ার। দেখি ও কি বলে!” |
ডার্বির অন্য দুই চরিত্র। সেরাপ ও অ্যাঞ্জেল। |
ছোট থেকেই ফুটবল পাগল অ্যাঞ্জেল। একটা সময়ে তো নিজে চুটিয়ে ফুটবলও খেলেছেন। অনুর্ধ্ব-১৯ নাইজিরিয়ার জাতীয় দলের হয়েও প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কিন্তু এখন ওডাফার ঘরণী হয়ে ঘোর সংসারী। মোহন-অধিনায়কের খেলার মধ্যে দিয়েই তাই ফুটবলকে উপভোগ করেন তিনি। সে জন্যই যুবভারতীর প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই নিজের ভালবাসার মানুষকে উদ্ধুদ্ধ করতে ছুটে যান। ওডাফাও বলছিলেন, “ও আসলে আমার খেলা দেখতে খুব পছন্দ করে। এখন নিজে খেলতে পারে না। তবে আমি সব সময় চাই ও মাঠে থাকুক।” ডার্বিতে মোহন-অধিনায়কের থেকে কি প্রত্যাশা করেন অ্যাঞ্জেল? লাজুক হেসে বললেন, “আমি চাই শনিবার ওডাফা গোল করে দলকে জেতাক।” সেরাপ অবশ্য টোলগেকে কোনও রকম চাপে রাখতে রাজি নন। বলছিলেন, “ক্লাব থেকে তো সবাইকে কথা বলতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে। তাই আমি বাড়তি কিছু বলে ওর চাপ বাড়াতে চাই না।”
বাগানের দুই বিদেশি স্ট্রাইকারই অবশ্য ডার্বির ৪৮ ঘণ্টা আগে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন। তা তাদের স্ত্রী-বান্ধবীরা যত টেনশনেই থাকুন।
অনুশীলনের সময়ে টোলগে-ওডাফার মধ্যে বোঝাপড়া আরও অটুট করার চেষ্টা চালাচ্ছেন করিম বেঞ্চারিফা। ওঁরা দু’জনেও একই চেষ্টা করছেন। বৃহস্পতিবার সকালে হ্যান্ডবল খেলার সময় সেটা যেন আরও বেশি করে বোঝা যাচ্ছিল। দু’জন দু’জনকে খুঁজে নিয়ে তারপরই বল বাড়াচ্ছিলেন। টোলগে-ওডাফা জুটিই শনিবার করিমের প্রধান ভরসা। আর অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার তো শনিবারের ম্যাচকে ঘিরে ভীষণ তেতে রয়েছেন। সবুজ-মেরুন জার্সি পরে প্রথম ওপারাদের সামনে। অনুশীলনের পর অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার বলছিলেন, “আমি সরকারি ভাবে কিছু বলতে পারব না। কিন্তু বেসরকারি ভাবে বলতে পারি শনিবারের ডার্বি খেলার জন্য আমি মুখিয়ে আছি।” আর ওডাফা? দায়িত্বশীল অধিনায়কের মতোই দলের ওপর চাপ কমাতে অনুশীলনের মাঝে সতীর্থদের সঙ্গে খুনসুটি করছিলেন। মাঠ ছাড়ার আগে বলেও গেলেন, “আমার কাছে এখন সব ম্যাচের সমান গুরুত্ব। সেটা ওএনজিসির বিরুদ্ধেই হোক বা ইস্টবেঙ্গল।” |