বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চলাকালীন দ্বারভাঙা ভবনের সেনেট হলে মাইক বাজিয়ে সভা করা নিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী এবং তৃণমূল কর্মী ইউনিয়ন। গোলমালের জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেনেট হলে বামপন্থী ইউনিয়ন ২০ এবং ২১ ফেব্রুয়ারির ধর্মঘটের সমর্থনে এক সভার আয়োজন করে। সভা চলে আড়াইটে থেকে সাড়ে চারটে পর্যন্ত। সভার আয়োজন করা হলেও, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তোলে সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতি। যখন বামপন্থী ইউনিয়নের সভা চলছে, তখন তৃণমূলের ওই কর্মী সংগঠন সেনেট হলের বাইরে বিক্ষোভ দেখায়। সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির সহ-সভাপতি মন্মথরঞ্জন বিশ্বাসের প্রশ্ন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস চলাকালীন অনুমতি ছাড়া কী করে এ রকম সভা হয়?” বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সভার অনুমতি দেননি বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার বাসব চৌধুরি। কিন্তু কী করে দু’ঘণ্টা ধরে সভা চলল? সদুত্তর দিতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। বামপন্থী ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সংগঠনের সম্পাদক সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, “এর আগেও এই হলে বহু সভা করেছি। বাইরের লোকের ক্ষেত্রে ভাড়া নেওয়া বা অনুমতি নেওয়ার প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু এই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরাই শুধু ছিলেন। তৃণমূল সংগঠন ঝামেলা করবে বলেই বিক্ষোভ দেখিয়েছে।” উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, “অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মী সংগঠন মাইক নিয়ে সভা করছিল, অপর পক্ষ তার প্রতিবাদ করে। আমরা দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে মিটিয়ে দিয়েছি।”
|
উদ্ধার হওয়া চোরাই সামগ্রী ফেরাল পুলিশ |
উদ্ধার হওয়া মোবাইল, ল্যাপটপ, মোটরবাইক ইত্যাদি রীতিমতো অনুষ্ঠান করে সে সবের মালিকদের হাতে ফেরত দিল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগুইআটি থানায় সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (সদর) সুব্রত বন্দ্যোপাধায়-সহ পদস্থ পুলিশ অফিসারেরা। পুলিশ জানায়, গত তিন মাসে ২৯টি মোবাইল, ৫০টি ল্যাপটপ, ৩টি মোটরবাইক, ১ লক্ষ ১২০০০ টাকা, কয়েক ভরি সোনার গয়না উদ্ধার হয়। অভিযোগ, পুলিশের টহলদারির গাফিলতিতেই বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় চুরি বাড়ছে। চুরি বাড়ার কথা কার্যত কবুল করেও কমিশনারেটের এসিপি অনীশ সরকারের দাবি, “টহলদারি ভ্যান যথেষ্টই আছে। তবে প্রত্যেক বাড়ির সামনে তো আর পাহারা বসানো সম্ভব নয়। এলাকার মানুষকেও সচেতন হতে হবে।” পুলিশের পদস্থ কর্তারা জানিয়েছেন, ফাঁকা বাড়িতে চুরি বেশি হয়। তাই কেউ যদি বাড়ি ফাঁকা রেখে কিছু দিনের জন্য বাইরে যান, বিষয়টি স্থানীয় থানায় জানিয়ে গেলে নজরদারি চালাতে সুবিধা হয়। যাঁদের ফোন, ল্যাপটপ, মোটরবাইক খোয়া গিয়েছিল, সে সব ফেরত পেয়ে স্বভাবতই খুশি তাঁরা। পুলিশ জানায়, ছ’জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, কেষ্টপুর এলাকায় একটি চক্র এই চুরির সঙ্গে যুক্ত। তবে চক্রের পাণ্ডা বাংলাদেশি বলে পুলিশের অনুমান।
|
বিধাননগরে ‘না’ এসএফআইয়ের |
বিধাননগর কলেজে নির্বাচনে লড়াই না করার সিদ্ধান্ত নিল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। বৃহস্পতিবার রাতে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এসএফআই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সপ্তর্ষী দেব জানিয়েছেন। তাঁরা ইতিমধ্যে বিধাননগর কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ২৫টি আসনের জন্য ৫৫টি মনোনয়ন পত্র তুলেছিলেন। কিন্তু, সেগুলি জমা দেওয়া হবে না বলে সপ্তর্ষীবাবু জানান। বুধবার এই মনোনয়ন পত্র তোলা নিয়ে কলেজে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে গণ্ডগোল বাঁধে এসএফআইয়ের। অভিযোগ, সেই গণ্ডগোলের সময়ে কলেজের বাইরে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দেন তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। এসএফআই জানিয়েছে, তারা মনোনয়ন জমা দিলে কলেজে আরও গোলমাল হতে পারে এই আশঙ্কাতেই নির্বাচনে লড়াই না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
|
এক কর্মীকে শো-কজ করায় বৃহস্পতিবার ভবানীপুরের সিইএসসি-র অফিস ঘেরাও করল তৃণমূল সমর্থিত শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন। অভিযোগ, ইউনিয়নের সমর্থকেরা ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার আশিস ঘোষালকে হেনস্থা করেন। ইউনিয়ন অভিযোগ অস্বীকার করে। সিইএসসি-র বক্তব্য, নিয়মভঙ্গের কারণে ভবানীপুর টেস্টিং অফিসের দেবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় নামে এক কর্মীকে শো-কজ করা হয়। ইউনিয়নের তরফে তা তুলে নেওয়ার চাপ আসছিল। ইউনিয়নের দাবি, কর্তৃপক্ষ ইচ্ছেমতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
|
কয়েক লক্ষ টাকার জাল নোট-সহ এক যুবককে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। বুধবার রাতে চাঁদনি মার্কেট এলাকা থেকে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম সলিল আনসারি। বছর তিরিশের ওই যুবকের বাড়ি রাঁচির হিন্দপিড়ির নিজামনগর এলাকায়। তার কাছ থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার জাল নোট মিলেছে। বৌবাজার থানা এলাকার চাঁদনি মার্কেটের একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে যন্ত্রাংশ কিনতে গিয়েছিল সলিল। সেখান থেকেই ধরা হয় তাকে।
|
ট্রাফিক সার্জেন্ট সেজে গাড়িচালকদের থেকে টাকা হাতানোর অভিযোগে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হলেন এক যুবক। ধৃতের নাম শুভ্রকান্তি দাস। পুলিশের অভিযোগ, মেয়ো রোড ও ডাফরিন রোডের সংযোগস্থলে ওই যুবক গাড়িচালকদের জরিমানা করছেন দেখে টহলরত সাউথ ট্রাফিক গার্ডের ওসি-র সন্দেহ হয়। পরিচয় জানতে চাইলে যুবক তাঁর নাম জানিয়ে বলেন, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে তাঁকে পাঠিয়েছে। ওসি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ওই নামে কোনও সার্জেন্ট নেই। পুলিশের দাবি, শুভ্রকান্তি স্বীকার করেছেন, মাস তিনেক ধরে তিনি বিভিন্ন এলাকায় এ ভাবেই জরিমানা আদায় করতেন। তাঁর কাছ থেকে ভুয়ো পরিচয়পত্র মিলেছে।
|
সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে বিয়ের আসর বসানোয় স্থানীয় একটি ক্লাবকে শো-কজ করল পুরসভা। বৃহস্পতিবার মেয়র পারিষদ (পার্ক ও উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, “এর আগেও সেখানে বিয়ের অনু্ষ্ঠান করার অভিযোগ উঠেছে। অনুমতি দেওয়ায় পার্কের মধ্যে থাকা ছাত্র সমিতি নামে একটি ক্লাবের কথা উঠেছে।” তিনি জানান, কেন সেখানে বিয়ে বাড়ি করতে দেওয়া হল, তার কারণ দর্শানোর জন্য সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বেআইনি ওই কাজের জন্য ক্লাবের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে পুর-প্রশাসন। যদিও ক্লাবের সভাপতি আগেই জানিয়েছিলেন তিনি ওই ঘটনার কথা জানতেন না।
|
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ডাকা বন্ধের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার আইনজীবী ইদ্রিশ আলি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানির আর্জি জানান। বন্ধের ডাক দেওয়া সব পক্ষকে মামলার প্রতিলিপি পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আজ, শুক্রবার মামলাটির শুনানি হতে পারে।
|
একটি বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষার গাড়ির ধাক্কায় জখম হয়েছিলেন এক যুবক। বুধবার, নন্দ মল্লিক লেনে। অধ্যক্ষার অভিযোগ, আহত যুবক তাঁকে হেনস্থার চেষ্টা করেন। পুলিশের কাছে দু’পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। |