বেসরকারি আর্থিক সংস্থায় ডাকাতিতে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের সিন্ধ্রি থেকে তাদের ধরা হয় বলে জানায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে পাঠালে বিচারক ১৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বেনাচিতিতে সোনা জমা রেখে ঋণ দেওয়ার ওই সংস্থায় ডাকাতি হয়। বহু সোনা ও কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে ডাকাতেরা পালায় বলে অভিযোগ। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত শুরু করে। সাহায্য করে সিআইডি-ও। ধানবাদ পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে পুলিশ ঝাড়খণ্ডের বারোয়াড্ডা থেকে দুই মহিলা-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, দশরথ মাহাতো নামে এক দুষ্কৃতীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সে পালালেও ধরা পড়ে তার স্ত্রী, শাশুড়ি ও দুই শ্যালক। বাড়ির উঠোনে একটি কলসির ভিতরে মেলে প্রায় চার কিলোগ্রাম সোনার গয়না। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় কয়েক লক্ষ টাকাও। এ ছাড়াও নতুন তিনটি টিভি, একটি রেফ্রিজারেটর, দু’টি মিউজিক সিস্টেম, ছ’টি ফ্যান-সহ নানা জিনিসপত্র পাওয়া যায়। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ডাকাতির পরের দু’দিন এই সব জিনিসগুলি কেনা হয়েছে ধানবাদের রাজগঞ্জ বাজার থেকে। দশরথের পাশের বাড়ি থেকে এক জনকে ধরা হয়। বুধবার রাতে সিদ্ধরথ সিংহ ও রঞ্জিত গিরি নামে আরও দু’জনকে পাকড়াও করে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত মোট সাত জনকে গ্রেফতার করা হল।
|
একটি পণ্য বোঝাই লরিতে আচমকা আগুন লেগে পুড়ে গিয়েছে লক্ষাধিক টাকার জিনিসপত্র। বুধবার গভীর রাতে কুলটি থানার নিয়ামতপুরে ঘটনাটি ঘটে। পরে অবশ্য দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নেভায়। দমকলের অনুমান, শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কয়েকশো ফাইবারের চেয়ার বোঝাই লরিটি কলকাতা থেকে নিয়ামতপুর আসছিল। জি টি রোডে গাড়ি দাঁড় করানো ছিল। রাত ২টো নাগাদ হঠাৎই লরিটিকে দাউদাউ করে জ্বলতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। লরিটিতে দাহ্যবস্তু থাকায় আগুন দ্রুত ভয়াবহ আকার নেয়। আতঙ্কিত এলাকাবাসী রাতেই রাস্তায় নেমে আসেন। ফোনে খবর দেওয়া হয় নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে। |
নিয়ামতপুরে বুধবার রাতে আগুন নেভাচ্ছে দমকল। —নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ খবর পাঠায় দমকলে। খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানো শুরু করে। কিন্তু বিশেষ লাভ না হওয়ায় দমকলের একটি বড় ইঞ্জিন এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। চেয়ারগুলি নিয়ামতপুরের দোকানে বিক্রির জন্য পাঠিয়েছিলেন কলকাতার ব্যবসায়ী অজিত শর্মা। তিনি জানান, কয়েক লক্ষ টাকার চেয়ার ওই লরিতে মজুত ছিল। আসানসোল দমকলের ওসি সেলিম জাভেদ জানান, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে লরিটিতে। চালক, খালাসির হদিস পায়নি পুলিশ।
|
বাঁকোলা এরিয়ার নাক কাজোড়া খনির আপতকালীন জরুরি ডুলি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। ডুলি সারাতে কত দিন লাগবে তা জানতে গেলে খনির কেকেএসসি-র সম্পাদক পরশুরাম নুনিয়ার সঙ্গে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার এস কে মুখোপাধ্যায় দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে তিনি অন্ডাল থানায় অভিযোগও করেছেন বলে জানান পরশুরামবাবু। যদিও ওই আধিকারিক অভিযোগ মানতে চাননি। কেকেএসসি-র বাঁকোলা এরিয়ার সভাপতি দুর্গাদাস মজুমদার জানান, সাত দিন ধরে ডুলিটি বিকল হয়ে রয়েছে। অথচ কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। সংগঠনের পক্ষে ইউনিট সম্পাদক পরশুরামবাবু অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজারের সঙ্গে এ নিয়ে দেখা করতে যান। কতদিন সময় লাগবে জানতে চাইলে অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে তাঁকে বেরিয়ে যেতে বলেন। দুর্গাদাসবাবুর অভিযোগ, “খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছালে আমাদের সঙ্গেও অভব্য আচরণ করে তিনি।” খনির উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজারকে বদলি করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
|
দুর্ঘটনায় মৃত্যু খনিকর্মীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানিগঞ্জ |
কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক খনি কর্মীর। বুধবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ রানিগঞ্জের মঙ্গলপুরের কাছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম সন্তোষ গড়াই (৪৪)। অন্ডালের কাজোড়া এরিয়ার জামবাদ খোলামুখ খনিতে কাজ করতেন তিনি। তাঁর বাড়ি রানিগঞ্জের মহবীর এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে মৃতের পোষ্যের চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় সিটু-সহ অন্যান্য শ্রমিক সংগঠন। খনি কর্তৃপক্ষ জানান, মৃতের স্ত্রীকে চাকরিতে নিয়োগ করা হবে এবং মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
|
ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • অন্ডাল |
বাড়ি থেকে এক খনি কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মুন্না রাজভর (৩৯)। ঘটনাটি ঘটেছে পিওর জামবাদ চানক পাড়ায়। |