|
|
|
|
তারাবাজি |
অপু এ বার গায়ক
অভিনয়-আবৃত্তির পর এ বার তিনি গানের দুনিয়ায়। কেমন লাগল এই নতুন চরিত্রে
নিজেকে আবিষ্কার করতে পেরে? সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কাছে জানলেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত |
অমিতাভ বচ্চন যদি সিনেমার জন্য গান গাইতে পারেন, তা হলে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে গান গাইতে রাজি করানোটা কি একেবারেই দুঃসাধ্য ব্যাপার?
প্রশ্নটা এসেছিল দিল্লির এক বিজ্ঞাপনী সংস্থার কর্ণধারের মাথায়।
এই বাংলা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে দেখেছে নানা অবতারে। অভিনেতা-কবি-নাট্যকার... তবু গায়ক সৌমিত্রকে দেখা যায়নি।
|
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় |
রাজি করানোটা অত সহজ ব্যাপার ছিল না। প্রথম দেখা হয় জানুয়ারি মাসের দশ তারিখে।
কিছুতেই রাজি নন তিনি। বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন। তবে মাইক্রোফোনের সামনে গান গাওয়া? তা কী করে সম্ভব!
সঞ্জীব কুমার দে, ‘হ্যামার কমিউনিকেশনস’-এর কর্ণধার বলেন, “অমিতাভ বচ্চন ‘একলা চলো রে’ গেয়েছিলেন ‘কহানি’-র জন্য। সেই থেকেই মাথায় ঘুরছিল যে যদি আমরা সৌমিত্রবাবুকে রাজি করাতে পারি। কথা বলতে গেলে প্রথমেই উনি বলেন যে, গান গাইতে গেলে তো উনি আগেই গাইতে পারতেন। এ বয়সে এসে আর এ সবের কী দরকার? তবে আমরাও নাছোড়বান্দা। সৌমিত্রবাবুর উচ্চারণ আর বাচনভঙ্গির মধ্যে খুব স্বতন্ত্রতা রয়েছে। তাই হাল ছাড়িনি।”
শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে যান সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। জানুয়ারির শেষে রেকর্ডিং। জিঙ্গলটা রেকর্ডিং-এর সময় একটা ভিডিও শু্যট করা হয়। তাতে মজা করে প্রথমেই সৌমিত্রবাবু বলেছেন, “আমার মনে হয় এই আশি বছর বয়সে গান শিখতে আর মন বসছে না। ও সব করতে হলে আগে থেকেই করা উচিত ছিল।”
তবে একেবারেই যে মন বসেনি তা কিন্তু নয়। রান্নার তেলের বিজ্ঞাপন। তাতে একটা লাইনে রয়েছে ‘বাংলা আমার সর্ষে ইলিশ, লাউ চিংড়ি পাতে...।’ গেয়েই বলেন, “লাউটা একটু বেশি হয়ে গেল কি?”
কথাপ্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “এর আগে কখনও জিঙ্গলের প্রস্তাব আসেনি। সুর-টুর করে গাইতে হবে শুনে প্রথমে একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। পারব কি না ভেবে দ্বিধা ছিল একটু।”
প্রথমে কুণ্ঠা থাকলেও চার ঘণ্টা রেকর্ডিংয়ের পরে বেশ খুশিই হয়েছিলেন তিনি। “জিঙ্গলটায় সুর দিয়েছেন আশু চট্টোপাধ্যায়। এটি রেডিওতে বাজবে। তবে যাদের শুনিয়েছি সবাই মুহূর্তের মধ্যে সৌমিত্রবাবুর গলাটা চিনতে পেরেছেন,” বলেন সন্দীপন ঘোষ, বিজ্ঞাপনটি যে সংস্থার, তার মার্কেটিং কর্তা।
এ বার শুধু অপেক্ষা বড় পর্দায় প্লে-ব্যাক করার। তবে তাতে উনি রাজি হবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বললেন অভিনেতা, “প্লে-ব্যাকের প্রস্তাব এলে রাজি হওয়াটা সম্ভব না-ও হতে পারে। তবে রেডিও জিঙ্গল করা যেতেই পারে।” |
|
|
|
|
|