কুণাল কলকাতা জিগোলো
ক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমের গম্ভীর পরিবেশ ছেড়ে লেখক কুণাল বসুকে এখন প্রায়ই দেখা যাচ্ছে পার্ক স্ট্রিট-রাসেল স্ট্রিটের ক্রসিং-এ। অথবা দক্ষিণ কলকাতার একটি শপিং মলের সামনে। কিংবা গড়িয়াহাট ফ্লাইওভারের একটু আগে। কারণ? ওগুলোই কলকাতার পুরুষ যৌনকর্মীদের প্রচলিত ‘পিক আপ জয়েন্টস্’। ওখানেই জিগোলোদের সঙ্গে দেখা করে সেরে ফেলছেন তাঁর পরবর্তী উপন্যাসের তথ্য সঞ্চয়।
কুণাল বসু।
জন্ম ভূপেন বোস অ্যাভিনিউয়ের বাড়ির লাইব্রেরিতে।
একেবারেই অকস্মাৎ।
মা ছবি বসু তাড়াহুড়ো করে নিজের পাণ্ডুলিপি লেখার কাজ শেষ করছিলেন। তারই মাঝে হঠাৎ প্রসব যন্ত্রণা। চার পাশের তাক থেকে সকৌতুকে উঁকি মারছিল কয়েকশো বই। তাড়াহুড়োতে বাবা ভুলে যান বার্থ সার্টিফিকেট বানাতে। ওই বইগুলোই হয়ে থাকে তাঁর জন্মের একমাত্র সাক্ষী।
ছাপ্পান্ন বছর, পাঁচ-পাঁচটা বই লেখা, যার একটি অবলম্বনে তৈরি অপর্ণা সেনের ‘দ্য জাপানিজ ওয়াইফ’। আর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলে অধ্যাপনা পেরিয়ে কুণাল এখন ফিরে এসেছেন কলকাতায়। লিখেছেন কলকাতা নিয়ে তাঁর প্রথম ইংরেজি উপন্যাস। তার পর একটি ছোট গল্পের সংকলন। আর একটি বাংলা উপন্যাস।
মেঘলা সকালে সাউথ সিটির ভাড়া বাড়িতে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন কুণাল। তখনই উঠে এল আনন্দ প্লাসের ক্যুইজের গল্প। কী ভাবে তাঁর সম্পর্কে একটা প্রশ্নের উত্তর কে আগে দেবে, তা নিয়ে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে অন্যদের ঝগড়ার গল্প। “শুনে বেশ মজা লাগছে। কলকাতায় আমার বর্তমান ঠিকানা কিন্তু দেব আর টোনির (অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী) বাড়ির ঠিক মাঝখানে,” বলে চুমুক দিলেন কফির মগে।
আর এখানে বসেই কুণাল কলম ধরেছেন এক পুরুষ যৌনকর্মীর গল্প লিখতে। কী ভাবে তার জীবনযাত্রার সঙ্গে কলকাতার অন্যান্য মানুষদের দুনিয়াটা মিশে যায়। ধাক্কা খায়। যা থেকে তৈরি হয় এক অন্য জীবনবোধ।

পরিচালক অজয় বহেলের হিন্দি ছবি ‘বিএ পাস’-এ জিগোলোর ভূমিকায়
কলকাতার অভিনেতা শাদাব কমল। এক মধ্যবিত্ত গৃহবধূর ভূমিকায় শিল্পা শুক্ল
যৌনকর্মীদের নিয়ে লেখা এবং লেখকের সংখ্যা কম না হলেও, এক পুরুষ যৌনকর্মীর আত্মকথা লেখার কাজটা খুব সহজ নয়। কারণ, আজও একজন ‘জিগোলো’ বা পুরুষ যৌনকর্মীর জীবন অনেকটাই অজানা। বিভিন্ন সময় পত্র-পত্রিকাতে হয়তো তাদের নিয়ে লেখালেখি হয়েছে, তবে কুণালের উপন্যাস কোনও সামাজিক তথ্যচিত্র নয়। অনেক ‘জিগোলো’-র সঙ্গে দেখা করেছেন। কেউ বিবাহিত। তাঁদের স্ত্রীরা হয়তো জানেন স্বামী এই কাজ করছেন। আবার হয়তো এমনও হয়েছে যে, খবরের কাগজে লেখা দেখে পাড়াতে জানাজানি হয়ে গিয়ে শেষে সামাজিক ভাবে একঘরে হয়েছেন অনেকেই।
“যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় রাজনীতি করতাম। একবার গণ্ডগোলের সময় খিদিরপুরের এক বেশ্যাপল্লিতে গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলাম। সে এক অদ্ভুত জগৎ। এক যৌনকর্মী মাঝরাতে এসে খুব স্নেহভরে জিজ্ঞেস করেছিলেন আমাকে, “বাবা, অমলেট খাবে?” আমি কোনওদিনই অমলেটের ভক্ত নই। তবু খেয়েছিলাম।”
তবে এখনকার কলকাতার যৌন ব্যবসাটা নিষিদ্ধপল্লি থেকে ছড়িয়ে গিয়েছে কলকাতার অন্য প্রান্তে। “কখনও স্কুটারের পেছনে বসে চলে গিয়েছি খিদিরপুর। তথ্য সংগ্রহ করতে। কখনও আলিপুর। এক একটা চরিত্র লিখতে গেলে এই ব্যাকগ্রাউন্ড হোমওয়ার্কটা করতেই হবে। জানতে হবে এই ‘জিগোলো’-র সঙ্গে যাদের মেলামেশা তাদের দুনিয়াটা কেমন। এমনকী কলকাতাতে জাল পাসপোর্ট কী ভাবে বানানো হয় সে খোঁজ নেওয়ারও চেষ্টা করেছি,” কুণাল বলেন।
অবশ্যই বইটি বিতর্কের ঝড় তুলতে পারে। রাজনীতি, যৌনতা অনেক কিছুই থাকবে লেখাতে। “শ্লীলতা, অশ্লীলতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠতে পারে। প্রশ্ন উঠতে পারে কেন এবং কী ভাবে যৌনকর্মীটি এই পেশায় আসে? আর শহরটার সঙ্গে তার সম্পর্কটাই বা কী? এই মানুষটির সঙ্গে আমার লেখক সত্তাটির দূরত্ব যতটা কম রাখা যায়, ততটাই চেষ্টা করেছি। তাই ‘ফার্স্ট পারসনেই’ লিখেছি বইটা।”
প্রায় দু’বছর হল মাকে হারিয়েছেন কুণাল। গত বছর অগস্ট মাসে বিক্রি হয়ে গিয়েছে পূর্ণ দাস রোডের পৈতৃক বাড়িটি। তখনই খোঁজা শুরু কলকাতায় থাকার অন্য ঠিকানা। অনেক খোঁজের পর পছন্দ হল সাউথ সিটির ঊনত্রিশ তলার একটা ফ্ল্যাট। উত্তর, পশ্চিম আর দক্ষিণে খোলা বারান্দা। উত্তর দিকের বারান্দাতে দাঁড়ালে হাওড়া ব্রিজ, বিদ্যাসাগর সেতু দেখা যায়। মাঝখানে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সেই পরি। পশ্চিম দিকে দাঁড়ালে একসঙ্গে দেখা যায় কলকাতার তিনটি রূপ। বিলাসবহুল রয়্যাল ক্যালকাটা গলফ্ ক্লাবের সবুজ গালিচা। তার সামনে কলকাতার এক মধ্যবিত্ত পাড়া। আর তার থেকে একটু এগিয়ে একটা বস্তি। ‘‘প্রথম যেদিন আমি আর আমার স্ত্রী সুস্মিতা এই বাড়িটা দেখতে আসি, বারান্দায় দেখি একটা মস্ত বড় চিল। অন্যরা হয়তো এত কাছ থেকে একটা চিল দেখে ভয় পেয়ে যেতেন। আমরা দু’জনেই ওকে নিজের মতো থাকতে দিই। চিলটা আমাদের পাশে এসে বসে। বাড়িটা এত উঁচুতে যে মাঝে মধ্যেই অনেক চিল উড়ে আসে। আর এখন এই উপন্যাসটা লিখতে গিয়ে মনে হয়, আমি যেন কলকাতার আকাশের চিল...”
তবে এই বাড়িতে কুণাল বেশি দিন থাকতে চান না। অক্সফোর্ডের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে যে, বছরের ছ’মাস অধ্যাপনা করবেন। বাকি সময়টা কাটাবেন নিজের মতো করে। “আগে মনে হত কেন আমি পূর্ণ সময়ের লেখক নই। তবে আজ মনে হয় এই বেশ ভাল আছি। বাজারি লেখা লিখতে হয় না। অক্সফোর্ড থেকে ছুটি নিয়ে এসে লেখার পক্ষে এই বাড়িটা আদর্শ। কেমন ওপর থেকে দেখতে পাই শহরটাকে। তবে থাকার জন্য আমি আমার পুরোনো পাড়াতেই ফিরে যেতে চাই।”

কুণাল বসু। ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল
যেখানে বাড়ির সামনের মণিহারির দোকানের লোকটি হয়তো সকালে দেখা হলে চিৎকার করে বলবেন, “এই কুণালদা, আপনার ‘মিনিয়েচারিস্ট’-টা পড়েছি”। বা রাস্তাগুলো মনে করিয়ে দেবে সেই ছোটবেলার দিনগুলোর কথা যখন পাড়ার বাচ্চাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতেন তিনি। “আমার কাজ ছিল কমেন্ট্রি করা। অজয় বসু, কমল ভট্টাচার্য, পুষ্পেন সরকারের গলা নকল করে কমেন্ট্রি করতাম। একদিন মৃণাল কাকা (মৃণাল সেন) আমাদের পাড়া দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে আমাকে দেখতে পান। কমেন্ট্রি শুনে আমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন, আমার বাড়ি কোথায়। জানা যায় যে মৃণাল কাকা আমার বাবা, প্রকাশক সুনীল বসুকে আগেই চিনতেন। বাবা কমিউনিস্ট পার্টির কর্মী ছিলেন। আবার মোহনবাগানের ভক্ত। একবার তো জেলে গিয়ে মোহনবাগানের হেরে যাওয়ার খবর শুনে সারারাত কিছু খাননি।”
তাঁর বাবার সঙ্গে মৃণাল সেনের দেখা হওয়ার পরেই সিনেমাতে অভিনয় করার সুযোগ। ছোটবেলায় মৃণাল সেনের দু’টো ছবি ‘পুনশ্চ’ আর ‘অবশেষে’-তে অভিনয় করার ডাক পড়ে। “আমার তখন বয়স ছয় কী সাত বছর। আমি কিছুতেই সাবিত্রী মাসিকে (সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়) চুমু খাব না। মা সামনে দাঁড়িয়ে। কী করে আমি অন্য কোনও মহিলাকে চুমু খাই? মৃণাল কাকা আমাকে বললেন সাবিত্রী মাসিকে জড়িয়ে ধরে কানে গিয়ে ‘কু’ বলতে। সে যাত্রাতে ও ভাবেই শ্যুটিং শেষ হয়।”
তবে অন্য সময় দুষ্টু কুণালকে সেটে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর কাজ ছিল। এখন কুণাল ক্রিকেটের দারুণ ভক্ত। “মৃণাল কাকা বললেন চলো শ্যুটিং-এ একটা ক্রিকেট টিম বানাই। উনি হলেন জয়সিংহ। আমি না কি আব্বাস আলি বেগ। আমাকে বললেন উনি ওপেনিং ব্যাটসম্যান, কিন্তু যখন প্রয়োজন হবে, তখনই আব্বাসকে মাঠে নামতে হবে।
অর্থাৎ ক্যামেরা ফেস করতে হবে। আমি এ খেলায় রাজি। শ্যুটিং শুরু হলেই মৃণাল কাকা ডাক দিতেন, “আব্বাস আলি...” আর আমি হাজির। বহু বছর পরে মৃণাল সেনকে ‘দ্য জাপানিজ ওয়াইফ’ উপহার দিতে গিয়ে কুণাল লিখেছিলেন, “জয়সিংহকে আব্বাস আলি বাগ।”
বড় হয়ে অপর্ণা সেন, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী আর গৌতম ঘোষের ছবিতে ছোট ছোট পার্ট করেছেন। “আমি রায়চকে গিয়েছি বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে। হঠাৎ মধ্যরাতে গৌতমদার ফোন। ‘এই কুণাল, ‘শূন্য অঙ্ক’ ছবিতে একটা রোল আছে। না করতে পারবে না কিন্তু।’ আমি কী আর বলব? ছাত্রজীবনে গৌতমদার ছবি দেখে বড় হয়েছি।
কিছু কিছু সম্পর্ক আছে যেখানে অত হিসেব নিকেষ করা যায় না।”

‘অবশেষে’ সিনেমার সেটে ছোট্ট কুণাল ও সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়
এটা আরও বেশি করে বোঝেন এত বছর অক্সফোর্ডে থাকার পর। “বিদেশে প্রত্যেকটা মানুষ প্রায় একটা অদৃশ্য জীবনযাপন করেন। হঠাৎ মারা গেলে হয়তো বাড়ির গাছগুলো শোক প্রকাশ করবে। কলকাতায় এসে আমি ওই বিদেশি অদৃশ্যতা নিয়ে বাঁচতে চাই না। কোনও অনুষ্ঠানে সই সংগ্রহ করতে আসা উৎসাহী মানুষদের সঙ্গে আমি দূরত্ব চাই না। যেদিন সেটা হবে সেদিন আমার কলমও বন্ধ হয়ে যাবে। সেই শক্তিদার একটা লাইন আছে না? ‘আমি ধর্মেও আছি, জিরাফেও আছি’।”
আর চান কলকাতাতে বসে ‘বটু ট্যুরিস্ট’ হয়ে বই লিখতে। “শান্তিনিকেতনে বোকা ট্যুরিস্টদের বলা হয় ‘বটু’ যারা অবাক বিস্ময়ে সব কিছু দেখেন। আমি কলকাতার বটু ট্যুরিস্ট হয়ে থাকতে চাই। তা হলেই লেখক হওয়া সম্ভব। পণ্ডিতরা কিন্তু উপন্যাস লিখতে পারেন না। কারণ তাঁদের ধারণা তাঁরা সবকিছুই জানেন।” যদিও কলকাতা শহরটা জানা, তবু এই নতুন উপন্যাসটির জন্য রিসার্চ করতে গিয়ে ধরা পড়েছে শহরটার অজানা দিকও। “আজকের কলকাতা কিন্তু এক ধরনের মানুষের বাসস্থান নয়। অনেকেই আছেন যাঁরা বাংলাভাষী নন। কলকাতা অচেনা অজানা মানুষদের ভাগ করে নেওয়া এক জায়গা যেখানে অনবরতই তাদের জগৎ একে অপরের সঙ্গে হয় মিলিত হচ্ছে নয়তো ধাক্কা লেগে ভেঙেচুরে যাচ্ছে। আমার উপন্যাসটা লিখতে লিখতে কত মানুষের সঙ্গে আলাপ হল। সব কিছু তো একটা উপন্যাসে লিখতে পারব না। তাই কিছুটা রেখে দেব ছোটগল্পগুলোর জন্য।”
আর এই সব শেষ হলে হাত দেবেন বাংলা লেখাতে। বাংলা আর উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর মানুষদের মধ্যে যোগাযোগ থাকলেও, অনেক বঞ্চনার গল্প লুকিয়ে থাকে সেখানে। এই সব নিয়েই বাংলা উপন্যাসটা লিখবেন তিনি। “বাংলা ভাষাকে আমি কোনও দিন বর্জন করিনি। আমার মায়ের ১৯৪৮-এ লেখা বইটি এ বার পুনর্মুদ্রিত হয়েছে বইমেলায়। নাম ‘বাংলার নারী আন্দোলন’। বাঙালি মহিলার লেখা নারী আন্দোলনের উপর প্রথম বই এটি।”
এ বছর নিজের কোনও বই প্রকাশ পায়নি কলকাতা বইমেলাতে। তবু কলকাতার ‘লিট্যারারি মিট’-এ গিয়েছেন। ওখানে ধর্ষণের ন্যায় বিচার সম্পর্কে যোগ দিয়েছেন। “আমি ভারতের প্রত্যন্ত গ্রামে ঘুরে বেরিয়েছি। কোনওদিন তো দেখিনি একশো পুরুষ পরিবেষ্টিত একজন মেয়েকে গাইতে ‘ম্যায় তন্দুরি চিকেন হু ইয়ার’। কোন সমাজকে তুলে ধরছে এই গানের কথা? সংখ্যালঘু মানুষদের বিরুদ্ধে কথা বললে সেটাকে ‘হেট স্পীচ’ বলা হয়। মহিলাদের সম্পর্কে এ রকম লিরিকস লিখলে তাকেও তো ‘হেট স্পীচ’ বলা উচিত।”
আর সলমন রুশদির না আসা নিয়ে বিতর্ক? “ওঁর লেখা ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ আমার প্রিয় বইগুলির মধ্যে একটি। তবে ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ আমার প্রিয় বই নয়। জীবনানন্দ দাশ চেয়েছিলেন কলকাতাকে কল্লোলিনী তিলোত্তমা হিসেবে দেখতে। সলমন রুশদি না আসায় বলব, আমাদের কল্লোলিনী তিলোত্তমার মুখটা আবার একবার পুড়ল”।

বইকথা
• ফরাসি সাহিত্যিক পাস্কাল ব্রুকনার লিখেছেন ‘দ্য নেক্সট লাভ’ নামে একটি উপন্যাস। উপন্যাসের কেন্দ্রে রয়েছেন এক ফরাসি ডিপ্লোম্যাট। শিক্ষিত, রুচিবান, উঁচু পদে চাকুরে ভদ্রলোক তিনি। ঘরে তাঁর সুন্দরী স্ত্রী এবং তিন সন্তান। তবু কিসের টানে তিনি এক ‘জিগোলো’ হয়ে উঠলেন সেটাই এই উপন্যাসের প্রধান আকর্ষণ।
• নিকোল অ্যাভরিলের ‘দ্য লাস্ট প্রোডাকশন’-ও ‘জিগোলো’-দের নিয়ে লেখা উপন্যাস। এক মহিলার ‘জিগোলো’ ভাড়া করা নিয়ে গল্পের শুরু। যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার আগে সেই জিগোলোর সঙ্গে প্রচুর কথা বলেন তিনি। ঘুরে যায় উপন্যাসের মোড়।
• বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক জঁ ক্রিস্টোফ রুফিন-এর উপন্যাস ‘স্যালাম্যান্ডার’-এর প্রধান চরিত্র গিল এক ১৭ বছরের কিশোর। উপন্যাসের পটভূমি ব্রাজিল। গিল কী ভাবে এক বয়স্ক ফরাসি মহিলার যৌনক্রীড়ার সঙ্গী হয়ে ওঠে সেটাই এক উত্তেজক মাত্রা যোগ করেছে উপন্যাসটিতে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.