শহরে তরুণী অপহরণের অভিযোগ |
প্রাইভেট টিউশন থেকে বাড়ি ফিরছিলেন একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। মাঝপথে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মারুতি গাড়ি থেকে এক যুবক নেমে এসে হাত ধরে হ্যাঁচকা টেনে তরুণীকে গাড়িতে উঠিয়ে চম্পট দিল। তরুণী চিত্কার করছিলেন। তাই শুনে এলাকার বাসিন্দারা ধাওয়া করলেন। কিন্তু পথ চলতি মানুষদের বেশ কয়েক জনকে ধাক্কা মেরে গাড়িটি পালিয়ে যায় খিদিরপুর বাবুবাজারের দিকে। তরুণীর বাড়ি পশ্চিম বন্দর থানা এলাকার বিএনআর রেলওয়ে কলোনিতে। এই ঘটনার পর তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে পশ্চিম বন্দর থানায় একটি অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা গাড়িটি ধরতে না পারলেও, গাড়ির নম্বর লিখে পুলিশকে জানিয়েছেন। সে নম্বর (ডব্লিউ বি ২৫ সি ৩৬৮৪) কলকাতার সমস্ত থানাকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ এই ‘অপহরণ’-এর ঘটনা ঘটলেও এখনও পর্যন্ত গাড়িটির কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
|
কলেজের গেটে তিন শিক্ষিকার ‘সাসপেনশন অর্ডার’ |
সাসপেন্ড হওয়া শিক্ষিকাদের দাবি ছিল সাসপেনশনের চিঠি তাঁদের হাতে দিতে হবে। কিন্তু বেনিয়াপুকুরের মিল্লি আল আমিন কলেজ কর্তৃপক্ষ সে দাবি না মেনে কলেজের গেটে আজ ঝুলিয়ে দিলেন তিন শিক্ষিকার ‘সাসপেনশন অর্ডার’। সেই তিন জন হলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবীণ কৌর ও জারিনা খাতুন। কোনও কারণ না দেখিয়ে নোটিশে শুধু সাসপেনশনের কথাটুকুই উল্লেখ আছে বলে অভিযোগ। গেটে ঝোলানো নোটিশে এই তিন জনের নাম থাকলেও কোনও উল্লেখ নেই ‘শো-কজ’ হওয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা সাবিনা নিশাত ওমর, চুক্তি-ভিত্তিক পূর্ণ সময়ের শিক্ষিকা প্রগতি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আংশিক সময়ের শিক্ষিকা মনজিৎ কৌর-এর। সাসপেন্ড হওয়া কলেজের দারোয়ান মহম্মদ সফিকেরও নাম নেই এই নোটিশে। এই ঘটনাকে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ বলে মনে করছেন সাসপেন্ড হওয়া শিক্ষিকা বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, যে হেতু তাঁরা চিঠি হাতে পাননি এখনও, তাই এই মুহূর্তে আদালতে যাওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে এ বিষয়ে রাজ্যপাল-সহ মুখ্যমন্ত্রী ও মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে দেখা করার কথা জানিয়েছেন বৈশাখিদেবী। অন্য দিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়েবকুটার দল কলেজে পৌঁছলে তাঁদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। কলেজ চত্বরে পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে। |
দমদমে পুর হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু নিয়ে গণ্ডগোল |
দমদমের পুর হাসপাতালে মৃত রোগীর জন্য ইনজেকশন এনে দিতে বললেন কর্তব্যরত নার্স। আর সেই অভিযোগেই তুলকালাম বেধে গেল। রোগীর আত্মীয়রা জানিয়েছেন, গত তিন দিন ধরে ওই হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন নিভারানি ঘোষ। আজ সকালে হাসপাতালের তরফ থেকে তাঁদের বলা হয়, নিভাদেবীর জন্য একটা ইনজেকশন আনতে হবে। যার দাম প্রায় ৫ হাজার টাকা। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখার কথাও বলা হয়। এর পরই আত্মীয়রা রোগীকে দেখতে চান। ওয়ার্ডে গিয়ে তাঁরা দেখেন রোগী মৃত। তা হলে মৃতার জন্য কেন চাওয়া হল ইনজেকশন— এই প্রশ্নেই উত্তাল হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। তবে রোগীর আত্মীয়দের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করেননি।
|
হাওড়ার শিবপুরের কাজোরিয়া জুটমিলে নোটিশ ঝুলল ‘সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক’-এর। আর তার ফলে কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় হাজার খানেকেরও বেশি কর্মচারি। মাস দুয়েকের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মিল ‘লকআউট’ হওয়ায় কর্তৃপক্ষের উপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ তাঁরা। আজ সকালের শিফ্টে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকরা কারখানার গেটে এ বারের ঝোলানো নোটিশ দেখে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, এই জায়গা হয়তো কর্তৃপক্ষ ‘প্রোমোটিং’-এর কাজে ব্যবহার করবেন। যদিও মিল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে মাস দুয়েক আগে যখন এমনই আর একটা নোটিশ ঝুলিয়ে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তখন তাঁরা জানিয়েছিলেন, এই কারখানায় উত্পাদন কমে এসেছে। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের ভারসাম্য রাখা যাচ্ছে না, তাই কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে বার শ্রমিক ইউনিয়ন মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করে শেষ পর্যন্ত কারখানা খুলতে পেরেছিলেন। কর্মহারা হয়েও ফের কাজে বহাল হয়েছিলেন শ্রমিকরা। কিন্তু এ বারে আবার একই ধরনের ঘটনা ঘটায় কার্যত ক্ষুব্ধ ও হতাশ শ্রমিকরা।
|
সাত সকালেই পথ দুর্ঘটনা। তার জেরে মৃত্যুও হল এক ব্যক্তির। ঘটনাস্থল সোনারপুরের চম্পাহাটির বাঘেরমোড়। লরির ধাক্কায় মৃত্যুর এই ঘটনার পর লরির চালককে ধরে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় গাড়িতিতে। খবর পেয়ে দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। কিন্তু উত্তেজিত এলাকাবাসী তাদের কাজ করতে বাধা দিয়েছে বলেও অভিযোগ। ফলে অনেক ক্ষণ পর্যন্ত আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়নি। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। বারুইপুরের এসডিপিও ঘটলাস্থলে ছিলেন। রাস্তায় জমা হয়েছিলেন প্রচুর মানুষ। তারা ঘটনাস্থল থেকে পুলিশকে মৃতদেহ সরাতে দেয়নি বলেও অভিযোগ। |