রবিবাসরীয় প্রবন্ধ ১...
বই কেন শত্তুর

মনস্তত্ত্ববিদ

একটা কথা আছে, বিদ্যা নাকি বিনয় দেয়। একদম উল্টো। বিদ্যা অহংকার দেয়। যে লোকটা বই পড়েছে, সে নাক পেল্লায় উঁচু করে হাঁটে এবং বই না-পড়া লোককে পোকামাকড় মনে করে। হয়তো বই না-পড়া লোক তার চেয়ে অনেক ভাল ফুটবল খেলে, কিংবা অনেক ভাল গান গায়, কিংবা অনেক ভাল বাচ্চা মানুষ করে। তাতে কিচ্ছু এসে যায় না। অনেক সময় এই অ্যাটিটিউড-টা খুব প্রকট থাকে না, বরং অতি নম্র ব্যবহারের তলায় চাপা থাকে। ‘সে তো বটেই সে তো বটেই, আপনারা কত কী পারেন, আমি আবার এই বই পড়াটা ছাড়া কিছুই করে উঠতে পারলাম না জীবনে’ গোছের মিনমিনে ভাব করে মাথা নুইয়ে থাকে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে, সে নিজেকে ভাবে ছদ্মবেশী রাজা, ফকির সেজে একটু রগড় করে নিচ্ছে, একটা তাৎপর্যহীন জায়গায় হেরে গিয়ে নিজের আসলি জায়গায় দুর্দান্ত জিত-টাকে ঘুরিয়ে প্রতিষ্ঠিত করছে। বই পড়া একটা বিচ্ছিরি ইগো-মাসাজ, নার্সিসাস কমপ্লেক্সের চূড়ান্ত। হস্তমৈথুনের চেয়েও ক্ষতিকর বদভ্যেস।

অ্যাসাইলাম-ফেরত
নার্সারি থেকে এত পড়ার চাপ দিয়েছিল, বই ছাড়া কিছু চিনতামই না, জানেন? মেডেল পেয়েছিলাম। ক্লাসে ক্লাসে র্যাঙ্ক করতাম, সত্যি। পড়তে আমার খুব ভাল লাগত। তার পর... তার পর কী একটা হল, পড়ার বইয়ের মধ্যে লুকিয়ে বাজে বই পড়তাম। ফাইভে টিনটিন, সেভেন থেকে লা ন্যুই বেঙ্গালি, চানঘরে গান, সুনীল গাঙ্গুলি। সায়েন্স-এর নম্বর নামতে লাগল, বাড়িতে পেটাল। মাধ্যমিকে কেলেঙ্কারি হল, আর্টস জুটল। বাবা বলল, তুই গোল্লায় গেলি। বন্ধুরা বলল, তুই আঁতেল হলি। কিন্তু আমি তো অন্য রকম চেয়েছিলাম। লিখব, বই ছাপাব, ভক্তরা চিঠি লিখবে। তাই আমি পড়ছি। দেরিদা, ফুকো, কাফকা, মার্কেস। আমি ঘুরছি বাউল মেলা, অ্যাকাডেমি, শান্তিনিকেতন। আমার চার পাশে ফুল, গন্ধ, সিনিসিজ্ম, কঠোপনিষদের প্রিন্টিং মিসটেক। কিন্তু ওরা বলল আমি পাগল। আমি ওদের বোঝালাম, আম্মি আপনভোলা, আম্মি কবি, তাই চান করি না, তাই অন্যের মানিব্যাগ গ্যাঁড়াই, অন্যের প্রেমিকাকে লাইন মারি। কত্ত বোঝালাম, জাঁ জেনে আসলে সন্ত জেনে। ওরা না-জেনে আমাকে ওই সাদা ঘরে নিয়ে গিয়ে রেখে দিল। শক দিল, উহ্। (কান্না, তার পর ঝট করে মাথা তুলে সোজা তাকিয়ে) আর এক বার, বইয়ের নাম করলে না...
ছবি: সুমন চৌধুরী
সমাজ-মাস্টার
আমি যদি সোমালিয়ায় গিয়ে সবাইকে দেখিয়ে দেখিয়ে বিরিয়ানি খাই, আপনি আমাকে কী বলবেন? যদি তেষ্টায় মরে যাওয়া গ্রামে গিয়ে মিনারেল ওয়াটারের বোতল খুলে পা ধুই, কী বলবেন? যে দেশে আদ্ধেক মানুষ বই পড়তে পারে না, নিরক্ষর, সেখানে বই লেখা বা পড়া তো একটা ক্রাইম! ঠিক যেমন কিছু লোকের হাতে অনেক টাকা থাকা এবং অনেক লোকের হাতে কোনও টাকা না থাকাটা একটা সামাজিক অপরাধ। এটা যেমন ভারসাম্যহীন সমাজের জন্মদাতা, তেমনই বই পড়া একটা বিচ্ছিরি অসাম্যের জনক। যেখানে শুধু নাম সই করতে শিখে নিজেকে সাক্ষর বলে ধুঁকতে ধুঁকতে অসংখ্য লোক কোনও মতে বিদ্যে ম্যানেজ করছে, সেখানে একটা বইমেলা ফ্লন্ট করা, বা সবার সামনে বই পড়তে পড়তে বাসে বা মেট্রোয় যাওয়া— জঘন্য ইনসেন্সিটিভ স্টেটমেন্ট। সেক্স-স্টার্ভড কান্ট্রিতে প্রকাশ্যে সাতাশটা চুমু খাওয়ার মতো।

ডাক্তারবাবু
প্রথমেই লাইফ রিস্কের কথাটা বলি। হাইলি অ্যাকসিডেন্ট-প্রোন জিনিস। মাথায় বই গিজগিজ করলে, ট্র্যাফিক লাইট, গাড়িঘোড়ার সেন্স থাকে না। ফলে পড়াশোনা করলে গাড়ি চাপা যাওয়ার চান্স বাড়ে। তা ছাড়া নার্ভে চাপ, সিভিয়ার স্ট্রেস। ঘাড়ে ব্যথা, মাইগ্রেন। আর চোখের তো শত্রু নম্বর ওয়ান। কোনও গুহাচিত্রে চশমা-পরা আদিম মানুষ দেখেছেন? যদ্দিন এ দুনিয়ায় বই ছিল না, ও সব চশমা-টশমার কোনও প্রয়োজনও হয়নি। আর বই পড়লে সর্দি হয়। বাড়িতে রাখলেই সম্বৎসর হাঁপানি। আমি শিক্ষিত দেখাতে আলমারিতেই পুরুন বা টেবিলে যা-তা করে ফেলে রাখুন, ঠিক ওর খাঁজে খাঁজে ময়লা এসে বসে থাকবে। কাছে গেলেই হ্যাঁচ্চো, হাত দিলেই অ্যালার্জি। ঝেড়ে পড়তে গেলে ফ্লু।

লিকার শপের মালিক
বই পড়াও একটা নেশা হল! পেট ফাটিয়ে মারবি ভাই। কী, না একটা জবরদস্ত দুনিয়া খুলে যায় চোখের সামনে। আরে, বনলতা সেন ছাপার হরফে দেখে মুখ ইম্যাজিন করতে বস্তা বস্তা ব্রেন ভি খরচ, চোখটোখ এক বার পাখির নীড় তো এক বার ডিজল্ভ করে কুস্তিগির! তা ভায়া ঠিকঠাক ফিল নেবে তো নিট মারো না। নার্ভে সুড়সুড়ি মেরে জন্নত খুলে যাবে। সুচিত্রা সেন, সুস্মিতা সেন, যাকে চাইবে পাবে। নতুন নতুন ফর্ম-কনটেন্ট ভাঙা গল্প শুনবে? তার জন্যও আলাদা আলাদা ডোজ আছে। আমি যা জিনিস দেব না, বই কোথায় লাগে?

লোকাল নেতার ছেলে
মেজ মাইমা’রা বহুত ফালতু। বার্থডে-তে ফুল ফ্যামিলি এসে এক কাঁড়ি গিলে এটা কী দিয়ে গেল? একটা কার না কার অমনিবাস। ধুস। অমন বাস মিনিবাস আমার বাবার অনেক আছে। আমাকে কি ক্লাসের গরিব ছেলে ভেবেছে? পড়ে জেনে পাশ করে, ভাল রেজাল্ট এনে চাকরি খুঁজতে হবে? আমার কাছে বাবা আছে। যেখানে বলব সেখানে ঢুকিয়ে দেবে। আরে, ও সব বুদ্ধি-শুদ্ধি গরিবদের ব্যাপার। সে যাদের থাকে, আর যারা বেশি পড়ে, তারা খুব বদ হয়ে যায়। জানি, আমায় অনেকে আড়ালে গাম্বু বলে। আমি গাম্বু? কম্পিউটার খুলে ঝাক্কাস মেয়েদের ছবি বের করতে পাঁচ সেকেন্ড লাগে। রাত বারোটায় সাইলেন্সার খুলে পাড়ার মুড খিঁচড়ে বাইক চালাই, এক বার ব্যালেন্স ফেল মারে না। বই দেখাচ্ছিস, বই? আমার বাবার কী বই আছে জানিস? চেকবই।

পরিবেশবিদ
বই দেখলেই আবছা বলহরি হরিবোল শুনতে পাই। একটা বই মানে তো অনেকগুলো গাছের ডেড-বডি! একটা বেস্টসেলার মানে তো ছ-আটটা গোটা অরণ্য লোপাট! এই পৃথিবী কী অসম্ভব উজবুক, এক দিকে স্লোগান দিচ্ছে ‘পরিবেশ বাঁচাও’, এক দিকে চালাচ্ছে সাক্ষরতা অভিযান! আরে বাবা, লোকে যত সাক্ষর হবে, তত বেশি বই বিক্রি হবে, তত গাছ মরবে, তত পরিবেশ ধ্বংস হবে। তাই দুটো একসঙ্গে হতে পারে না। আজ যে শীতকালে মারাত্মক শীত পড়ছে, গরমে আবার গা পুড়িয়ে দিচ্ছে, দিকে দিকে আগ্নেয়গিরি জেগে উঠছে, সুনামি এসে কোটি মানুষ ভাসাচ্ছে, কেন? কবিতা লেখার জন্যে। গল্প লেখার জন্যে। ছাইভস্ম হাবিজাবি যা মাথায় এল লিখে ছাপিয়ে দিলাম আর বন্ধুদের কাছে ঘ্যাম নিলাম এই অখদ্যে হ্যাবিটের জন্যে। সাহিত্যিকদের সংযম থাকে না। পেট-খারাপওলা লোকের মতন, লেখা পেলেই করে ফেলেন। প্রতিটি পংক্তিতে কতগুলো প্রাণওলা গাছকে পিস পিস চাকলা করছেন, মাথাতেও থাকে না। ইকো-সিস্টেমের এত বড় শত্রু আর কেউ নেই।

সিরিয়ালওলা
সিরিয়াল যেহেতু সব্বাই দেখেন, গরিব-বড়লোক, পুরুষ-নারী, বুড়ো-বাচ্চা, শহুরে-গ্রাম্য, হিন্দু-মুসলিম সব, সমস্ত বিভেদ ঘুচিয়ে যেহেতু সিরিয়াল সবার মধ্যে ঢুকে পড়েছে, তাই কিছু লোক একে হতচ্ছেদ্দা করার একটা অভ্যাস তৈরির চেষ্টা করছেন। কারণ তাঁরা বুঝতে পারছেন, একে রোখা ইমপসিব্ল, এটাই সংস্কৃতির সবচেয়ে জোরালো মাধ্যম। এটা কোনও গ্লোরির ভাও খায় না, এটা আটপৌরে, হ্যান্ডি। রান্না করতে করতে, ছেলেকে দুধ খাওয়াতে খাওয়াতে, আলমারি গোছাতে গোছাতে ভোগ করুন। এতগুলো মানুষকে কোরাসে হাসাতে-কাঁদাতে আর কেউ পারেনি। ঝিলিক যখন তার মা’কে খুঁজে পায় না, ন’কোটি মানুষ একসঙ্গে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন, যদি বাহা-র জীবনে ভাল কিছু ঘটে, ন’কোটি মানুষ একসঙ্গে হেসে ওঠেন। স্কেলটা, ম্যাগনিচিউডটা, স্ট্রেংথটা ভাবতে পারছেন? এর কাছে বই? বইয়ের অ্যাপিল? আমরা বইকে আর শিল্প বলেই ধরি না। যেমন পুতুলনাচ বা কথকতা, এক সময়কার হেভি জরুরি ও শ্রদ্ধেয় শিল্প, এখন একেবারে ডাইনোসর, ফসিল। তেমনই বই অলরেডি মৃত। ফুটে গেছে। শুধু সেট সাজাবার প্রপ না পাওয়া গেলে আমরা কয়েক কপি বই ঢেলে দিই।

জিম-প্রশিক্ষক
বই পড়বে তো মাস্ল হোবে কেয়া? অ্যাব্স হোবে? সিক্স প্যাক হোবে? গজিনি দেখেছেন? শর্ট টার্ম মেমরি লস। পাঁচ মিনিট বাদ সব ভুলে যায়, তাই উয়ো কিছু পড়ে-ফড়ে না। তো কী বোডিটাই বানাল। আর বঙ্গালিরা? সারা দিন এক জায়গায় বোসে বোসে কোমরে লরির টায়ার বানাবে। সময়ের আগে বুড্ঢা হয়ে যাবে। টোটাল আনফিট। আলমারি বই সোব বিক্কিরি করে দিন। খালি জায়গাটায় ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে একটা বিন্দাস হোম-জিম লাগান। ডায়াবেটিস ভি হোবে না। সেলের টি-শার্ট ভি ফিট করবে।

রোলবিক্রেতা ও প্রাক্তন লেখক
আমার জীবনের ঘটনা বলছি, নামটা প্লিজ ছাপবেন না। কিন্তু বই কী জিনিস বুঝবেন। তখন লিখি, পার্মানেন্ট চাকরি নেই। এ দিকে ভাই, শিল্পী মানুষ, নানা রকম শখ-আহ্লাদও আছে। কলেজে বহুত অ্যাক্টিং করেছিলাম। এ রকম থোবড়া তো, তাই সাইড পার্ট পেতাম। তখন নানা রকম ছদ্মবেশ নিতে হাতটা দারুণ সেট হয়ে গিয়েছিল। তা, ক’দিন ধরে একটা লেখা মাথায় ঘুরছিল। কলকাতার ভিখিরিদের ওপর লিখব। পাবলিককে নবান্ন ভুলিয়ে তবে ছাড়ব। প্র্যাকটিকাল রিসার্চ করব বলে ময়লা মেক-আপ নিয়ে, প্লাস্টারের আঁচড়ের দাগ বানিয়ে বসে গেলাম। প্রথম দিনেই চোখ ট্যারা। খুচরো মিলিয়ে হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ক্রিয়েটিভ লোক তো, একদম নতুন স্টাইলে ভিক্ষে করেছি। পাবলিক হেভি নিয়েছে। পনেরো দিনেই ধার-ফার শুধে দিলাম। তার পর ভেবে দেখলাম ভিক্ষেয় আমার যা ফিউচার, লিখে ক্কোনওদিন তার ধারেকাছেও যেতে পারব না। শপিং মল গিয়ে ফার্স্ট টাইম কেনাকাটা করলাম। কর্পোরেটে চাকরি পেয়েছি শুনে বাড়িতেও অশান্তি ঝগড়া গালাগাল খতম হয়ে গেল। রোজ সকালে বেরোতাম, পাবলিক টয়লেটে চেঞ্জ করতাম আর বিজনেস স্টার্ট। ইনভেস্টমেন্ট জমিয়ে ফাস্ট ফুড-এর দোকানটা দিলাম। এখন সকালের ওটা ছেড়ে দিয়েছি। সম্মানে একটু বাধত। বইগুলো ছিঁড়ে রোলের কাগজ বানিয়ে পয়সা তুলে নিয়েছি।

‘সি, সি, সি’ কোর্সের গুরু
নতুন কিছু বলার নেই, একটা কথায় জোর দেব জাস্ট। এটা দেখার যুগ। ঘাড় গুঁজে থুতনি চুলকোনোর নয়। ট্রান্সপারেন্সির যুগ। ট্যান খাওয়ার নয়। লিকার-মালিক একটা হিন্ট দিয়েছেন। বইয়ের অ্যাবস্ট্রাক্ট হরফ পড়ে, কংক্রিট ছবি তৈরির চেষ্টা করে ব্রেন। সিরিয়ালওলাও একটা হিন্ট দিয়েছেন। কংক্রিট মাল সরাসরি দেখতে পেলে গাধা ছাড়া কেউ নিজের পেছন খাটিয়ে সেই পরিশ্রম করে না। পথের পাঁচালী চোখের সামনে দেখতে পেলে কেউ পথের পাঁচালী পড়ে? বইটাকে রেঁধেবেড়ে পাতে ঢেলে দিচ্ছে অডিয়ো-ভিসুয়াল, তা হলে কেন মরতে কাঁচা আনাজ চিবোচ্ছিস?

ভিতু পরীক্ষার্থিনী
নারীশিক্ষা চালু করার আগে বিদ্যাসাগর মশাইয়ের মেয়েদের সঙ্গে কনসাল্ট করা উচিত ছিল। এখন ভাল মেয়ে মানে টিভি দেখে না, সিনেমা মারে না। বইমেলা হচ্ছে, শুনছি ভাল ফুড প্যাভিলিয়ন করেছে, যেতে পারছি না। দিনরাত শুধু পড়ো, খাটো। আগেকার মেয়েদের জীবন কত হ্যাঙ্গাম-ফ্রি আর সুখের ছিল। তখন জন্মালে এত দিনে কেমন আমার বিয়ে হয়ে যেত। নিরিবিলি গ্রামের কোনায় বসে কী সুন্দর রুটি বেলতাম আর বাচ্চাকে গুড় দিয়ে খাওয়াতাম। যত নষ্টের গোড়া এই পড়াশোনা। সব বইখাতা উনুনে দেওয়া উচিত।

সাহসী ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্র
ইয়ো পিপ্ল। আজই যাচ্ছি, ফেসবুকে ছবি পোস্ট করব, বুকফেয়ার 2013। বাট বই আমি কক্ষণও পড়ি না, ’কজ বই পড়লে হেপ হওয়া যায় না ইউ নো। ছোটবেলা থেকে আমি কুল বয়। বয়ফ্রেন্ড মেটিরিয়াল। হেডস্পিন করতে পারি, ফাস্ট বল করি, সুইমিং। তবু ফেয়ারে যাচ্ছি কেন কী কলকাতাটা এত গাঁইয়া আছে না, প্রেম করার কোনও জায়গাই নেই এখানে। বইমেলা একটা নিউ ডিজাইনের হ্যাংআউট। সিসিডি বারিস্তা সাউথ সিটি মল সে চেঞ্জ হবে। নো নো কাউকে সাজেস্টও করব না বই পড়তে। সো ইয়াক, সো আনকুল, বইকে ফিনিশ করো না ম্যান! ইন্টারনেট এজ-এ এই বইগুলো করছেটা কী। যা বলবে ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে সেভ মেরে দেব। তোমাদের বেস্টসেলার, জনি ডেপের মুভি, এ আর রহমান। বই পড়ে কারা? ক্যালানে, ফ্রাস্টু, লোনলি। লুজার-রা। বই কেড়ে নাও, ওরা লাইফে ফেরত আসবে। বাট বুক ফেয়ার মে স্পেস আছে, ফুড, ইয়াং ক্রাউড, মিউজিক বাজাচ্ছে, বসতে দিচ্ছে। সো রোম্যান্সমেলা ইজ আ মাচ বেটার আইডিয়া। কলকাতা নিড্স ইট।

দেবী সরস্বতী
বই আউট। সব জিনিস এক বার ওঠে, তার পর পড়ে। গ্রিক সভ্যতাও শেষ হয়েছিল। রাজেশ খন্নার জমানাও। সেটাই প্রগতির গপ্পো। তখন অন্য ফ্ল্যাটে সংসার পাততে হয়। যেমন আমি বিদ্যা থেকে প্রেমে ট্রান্সফার নিয়েছি। ইজি!


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.