সিবিআই জেরা করুক বুদ্ধকে, দাবি শুভেন্দুর
ন্দীগ্রাম-কাণ্ডে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে কাঠগড়ায় তোলার যে চেষ্টা রাজ্য সরকার করছে, তা সঠিক বলে মন্তব্য করেছেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই-কে চিঠি দিয়েছেন, নন্দীগ্রামের গুলিচালনা যাঁর নির্দেশে হয়েছে, সেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে কেন জেরা করা হবে না? শুভেন্দু শনিবার কালিন্দীতে দলীয় সভায় বলেন, “রাজ্য সঠিক কাজ করেছে। স্বরাষ্ট্রসচিব ঠিকই করেছেন। আমাদের দাবি, নন্দীগ্রামে গুলিচালনার জন্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।”
দিন কুড়ি আগে কালিন্দীর যে মাঠে বুদ্ধবাবু সভা করে গিয়েছিলেন, শনিবার সেখানেই তৃণমূলের প্রতিবাদ সভা ছিল। প্রত্যাশিত ভাবেই এ দিন তৃণমূলের সভায় শুভেন্দুদের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্যই ছিলেন বুদ্ধদেববাবু। তাঁকে কখনও জালিয়ানওয়ালা বাগে গণহত্যার প্রধান অভিযুক্ত জেনারেল ডায়ার, কখনও ‘হেরো দলের নেতা হারাধন ভট্টাচার্য’ বলে কটাক্ষ করেন এ দিনের প্রধান আকর্ষণ শুভেন্দু। ‘মেদিনীপুরের অগ্নিপুত্র’ বলে তাঁকে এ দিন অভিহিত করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুভেন্দুর বক্তৃতায় বড় অংশ জুড়ে ছিল নন্দীগ্রামের গুলিচালনার ঘটনা। তাঁর কথায়, “নন্দীগ্রামে গুলিচালনার জন্য দায়ী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে কেন সিবিআই জেরা করবে না? কারণ, ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে গুলি চলেছিল। আর ১১ মার্চ কলকাতায় ব্রিগেডে সিটুর সভায় বুদ্ধবাবু হুমকি দিয়েছিলেন,আর বরদাস্ত করা হবেনা। নন্দীগ্রামে পুলিশ নামাব। উড়িয়ে দেব ওই আন্দোলনকারীদের। ফলে নন্দীগ্রামের ঘটনার জন্য দায়ী বুদ্ধবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে সঠিক কাজ করেছে রাজ্য সরকার।” কেন তাঁকে এত দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি, তার জন্য সিবিআইয়ের সমালোচনা করে শুভেন্দু তাঁর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই বলেন, “আসলে সিবিআই তো কংগ্রেস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেস ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন। কিন্তু আমরা ছাড়ব না। আইনি লড়াই চলবে।”
বস্তুত বিরোধী দলকে জবাব দেওয়ার জন্যই তৃণমূল নেতৃত্ব এ দিন এখানে সভার আয়োজন করে। দলের উত্তর ২৪ পরগনার পর্যবেক্ষক রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক স্পষ্টই বলেন, “সিপিএম এবং তাদের দোসর কংগ্রেসকে আমরা রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করতে চাই। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিরোধীরা যেখানে আমাদের অপপ্রচারের জন্য সভা করবে, আমরা সেখানেই পাল্টা সভা করে মানুষকে সচেতন করব।” দমদম, বরাহনগর, ব্যারাকপুর, সল্টলেকের তৃণমূলের নেতা-কর্মী সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড়ে এ দিনের সভায় সিপিএম-কংগ্রেসকে তুলোধোনা করেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার থেকে শুরু করে ব্রাত্যবাবু, বিধায়ক সুজিত বসু, দলীয় নেতা সমীর চক্রবর্তী প্রমুখ। রাজ্যে ৩৫ বছরের শাসনে সিপিএম বিরোধীদের হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করে কাকলি বলেন, “নির্বাচন কমিশনের উচিত সিপিএমের রাজনৈতিক স্বীকৃতি বাতিল করা। সেই হার্মাদের দলের সঙ্গে কংগ্রেস হাত মিলিয়েছে।” তিনি পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা ভোটে কংগ্রেসকে নিশ্চিহ্ন করার ডাক দিয়ে বলেন, “আগামী দিনে ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা থাকবে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। দেশ তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.