আই লিগের কলঙ্কিত ডার্বি নিয়ে ঝামেলা এখনও মেটাতে পারেনি ফেডারেশন। ৯ ফেব্রুয়ারি ফিরতি ডার্বির সাত দিন আগে আবার উত্তপ্ত ময়দান। টোলগে ওজবের সঙ্গে সামান্য একটা ফোনাফুনি নিয়ে শুরু চাপান-উতোর।
শনিবার সকালে করিম বেঞ্চারিফার অনুশীলনে গোলকিপার হন টোলগে। পুরো রিজার্ভ বেঞ্চ নিয়ে ঘণ্টাখানেকের অনুশীলন শেষে হঠাৎ ক্লাবের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত অনভিপ্রেত অভিযোগ আনেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের বিরুদ্ধে। বলেন, ‘‘শুক্রবার ম্যাচের পর রাতে ইস্টবেঙ্গলের দেবব্রত সরকার ফোন করেছিলেন টোলগেকে। আমাদের ফুটবলারদের যাতে কেউ বিরক্ত করতে না পারে সে জন্য ডার্বির আগে ফুটবলারদের কথা বলতে বারণ করা হয়েছে।”
যা শুনেই বিকেলে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে দেবব্রতবাবু মোবাইলের কল লিস্ট দেখান। টোলগে নিজেই রাত ১০টা ৩৪ মিনিটে ফোন করেন তাঁকে। কথা বলেন ২ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড। দেবব্রতবাবু বলেন, “মাঠ উত্তপ্ত করার জন্যই এ সব বলা হচ্ছে। কলঙ্কিত করা হচ্ছে মাঠকে। ওদের প্রেসিডেন্টই তো বলেছেন, লড়াই নব্বই মিনিটের। আমার সঙ্গে ওদের অনেক ফুটবলারের কথা হয়। কিছু সাহায্য চাইলে করার চেষ্টা করি। মোহনবাগান যেটা করছে সেটা আমাদের সংস্কৃতি নয়।” যা শুনে দেবাশিসের পাল্টা মন্তব্য, “টোলগে আমাকে যা বলেছে তাই বলেছি। কাল অনুশীলনের পর বাকিটা বলব। যা দেখানোর দেখাব।”
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, একজন ফুটবলার তো সৌজন্য বা ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের জেরে বিপক্ষ কর্তা বা ফুটবলারদের ফোন করতেই পারেন। নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদৌ ফোন আটকানো যাবে? এর মধ্যেই আবার ডার্বির টিকিট-সংখ্যা কমিয়ে দিল মোহনবাগান। এক লাখ দশ হাজারের যুবভারতীর জন্য ছাপানো হচ্ছে সত্তর হাজার টিকিট। মোহন সচিব অঞ্জন মিত্র বললেন, “সবাই যাতে ভাল ভাবে খেলা দেখতে পারেন এবং প্রশাসনের সুবিধার জন্য এটা করা হচ্ছে।” মাঠের বাইরে বিবৃতির যুদ্ধ শুরু হলেও মাঠে শান্তির জন্য প্রচারপত্র ছাপাচ্ছে বাগান। ১৯৮০-র ১৬ অগস্টের পরের দিনের বিভিন্ন পেপার কাটিং কোলাজ করে লেখা হচ্ছে, “আর ১৬ অগস্ট চাই না।” এ দিন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের সঙ্গে বৈঠকের পর বাগানের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়, পুলিশ যেন ম্যাচের সময় গ্যালারির দিকে তাকিয়ে থাকে। |