মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের তদন্ত দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন লালবাজারের শীর্ষকর্তারা। এ বার তারই প্রমাণ মিলল মুচিপাড়া থানায়। পুলিশ সূত্রের খবর, একটি শ্লীলতাহানির ঘটনার অভিযোগ দায়ের হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চার্জশিট জমা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসার।
পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের পর থেকে বারবারই শহরে মহিলাদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। অভিযোগ দায়ের ও তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধেও। সেই ঘটনা থেকেই শিক্ষা নিয়ে ক্রাইম কনফারেন্সে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ নিয়ে তৎপর হতে নির্দেশ দিয়েছেন কর্তারা। পুলিশ সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবারের ক্রাইম কনফারেন্সে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের তদন্ত দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার রঞ্জিতকুমার পচনন্দা। মুচিপাড়া থানার ঘটনা তারই প্রতিফলন বলে মনে করছেন পুলিশকর্তাদের একাংশ।
কী হয়েছিল মুচিপাড়ায়? পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ হিঁদারাম ব্যানার্জি লেন ও পঞ্চাননতলা লেনের সংযোগস্থলে এক তরুণীর হাত টেনে ধরে এক যুবক। তাঁকে কিছু বলারও চেষ্টা করে সে। ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে ওই তরুণী চিৎকার জুড়ে দেন। তা শুনে এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে যুবককে পাকড়াও করেন। নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। পরে ওই তরুণী থানায় গিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, ধৃত গোপাল চৌধুরীর বাড়ি বৌবাজার থানার শ্রীনাথ দাস লেনে। পুলিশের দাবি, তরুণীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল বলে গোপাল জেরায় জানিয়েছে। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানিয়েছে, গোপালের বিরুদ্ধে চার্জশিটে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। তাতে বেশ কয়েক জন সাক্ষীও রয়েছে। ডিসি (সেন্ট্রাল) দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ জানান, শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে ওই ঘটনার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।
কী ভাবে এত তাড়াতাড়ি শেষ করল পুলিশ? তদন্তকারীদের দাবি, প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ বেশি ছিল এবং বেশি জটিলতাও ছিল না, তাই তড়িঘড়ি চার্জশিট দেওয়া গিয়েছে। পুলিশের একাংশের বক্তব্য, অনেক ক্ষেত্রে এমন ঘটনার চার্জশিট দিতে দেরি করেন তদন্তকারী অফিসারেরা। মুচিপাড়া থানার ঘটনা তাঁদের কাছে শিক্ষণীয়।
অন্য দিকে, শনিবার দুপুরে বেহালায় স্কুলপড়ুয়া এক বালিকার সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে সুভাষ সিংহ নামে এক যুবক গ্রেফতার হয়। ধৃত যুবক মদ্যপ ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। |