পাখি দেখা আলোচনা
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়নাগুড়ি |
ন্যাফ-এর শিবির। কালীপুরে দীপঙ্কর ঘটকের তোলা ছবি। |
ছোট দলে ভাগ হয়ে ওঁরা দুপুর থেকে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ালেন। হাতে বাইনো কুলার, খাতা-পেন্সিল। নজর শাল, মেহগিনির মাথায়। চোখগুলো খুঁজে বেড়াল নতুন কিছু। দেখা মাত্র শব্দ না করে ঠায় দাঁড়িয়ে নোটবইয়ে টুকে নিতে ভুললেন না কেউ। বুধবার থেকে গরুমারা জঙ্গলের কালীপুরে শুরু হল পাখি জানা ও চেনার শিবির। উত্তরবঙ্গ উৎসবের অংশ হিসেবে ওই শিবির চলবে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। জঙ্গল ঘুরে পাখি দেখার নেশায় যারা শিবিরে যোগ দিয়েছেন তাঁরা নানা বয়সের। নানা পেশায় যুক্ত। উত্তর ও দক্ষিণ দুই প্রান্ত মিলেছে এখানে। আলিপুরদুয়ার থেকে গৌতম সাহা, সাগরিকা বিশ্বাস এসেছেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অর্জুন নন্দী আছেন। ইছাপুর, ব্যারাকপুর থেকে এসেছেন কয়েকজন। মোট ৪০ জন পাখিপ্রেমী জড়ো হয়েছেন ময়নাগুড়ি রামসাই এলাকার কালীপুর ইকো ভিলেজে। বন বিভাগের কটেজে নয়। ওঁরা কয়েকটা দিন থাকবেন জঙ্গলের ধারে তাঁবুতে। সকাল থেকে ৪টি দলে ভাগ হয়ে পাখি দেখে বেড়াবেন। শুধু দেখা নয়। অভিজ্ঞতা লিখে রাখবেন তাঁরা। এ দিন দুপুর নাগাদ শিবিরের উদ্বোধন করেন জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণ -২ বিভাগের ডিএফও সুমিতা ঘটক। পরে প্রতিনিধিরা জঙ্গলে বেরিয়ে যান। এ দিন তাঁরা প্রচুর হর্নবিল পেয়ে যান। ওঁরা খুঁজে নিয়েছেন পাখিদের বাসা। কোন পাখি কোথায় কেমন করে বাসা বাঁধে তা নিয়ে আলোচনা হল শিবিরে। বন দফতর সূত্রে জানা যায়, গরুমারার পাশে জলঢাকা, মূর্তি ছাড়াও প্রচুর জলাশয় থাকায় প্রতি বছর পরিযায়ীরা ভিড় করে এখানে। শিবিরের এক পরিচালক হিমালয়ান নেচার অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন-এর মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, “পাখি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে শিবিরের আয়োজন হয়েছে। গরুমারায় অন্তত ২৫০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। পাখিরা কোথায় থাকে। বাসা কেমন হয়। কী খায়। কী করে পাখিদের রক্ষা করা যায়সব বিষয়ে আলোচনা হবে।”
|
হাতির হামলা, ফের অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • সোনামুখী |
সোনামুখীতে বাঁকুড়া-বর্ধমান রাস্তায় অবরোধে আটকে যানবাহন। —নিজস্ব চিত্র। |
এক রাতেই বিঘার পর বিঘা জমির আলু, গম আর সর্ষে খেত তছনছ করে দিল হাতির পাল। মঙ্গলবার রাতে হাতির পাল তাণ্ডব চালায় সোনামুখী থানার জুনসুরা, নাড়ুওলা, সোমদীপা, কুণ্ডপুষ্করিণী, শালদহ, বেশে, বেনিয়াপুকুর গ্রামে। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা বুধবার সকাল থেকে হাতি তাড়ানো ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে জুনসুরা গ্রামে বাঁকুড়া-বর্ধমান রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। দুপুরে বন আধিকারিকদের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। জুনসুরা গ্রামের চাষি এস কে সফিকুল, শেখ সুকুর আলিরা বলেন, “ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেছিলাম। পুরো জমি হাতিরা তছনছ করে সর্বনাশ করে দিল।” একই ক্ষোভ নাড়ুওলা গ্রামের দীপক ঘোষ, সোমদীপা গ্রামের বাবু ঘোষদের। সোনামুখীর রেঞ্জ অফিসার মোহন শীট বলেন, “সমস্যার কথা জেনেই আমরা হাতি খেদানো শুরু করেছিলাম। কিন্তু হুলাপার্টির দলনেতা রামেশ্বর হেমব্রমকে একটি হাতি আছড়ে জখম করায়, আপাতত অভিযান বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্য হুলাপার্টি নিয়ে শীঘ্রই অভিযান শুরু করা হবে।”
|
ফের বাইসনের মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
সড়ক দুর্ঘটনায় ফের বাইসনের মৃত্যু হল ডুয়ার্সে। বুধবার সকালে নাগরাকাটা থানা এলাকায় গরুমারা জাতীয় উদ্যান লাগোয়া চাপড়ামারি জঙ্গলের খুনিয়া মোড়ের কাছে ৩১নম্বর জাতীয় সড়কে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একটি বাইসনের। জলপাইগুড়ি বন্যপ্রানী ২ নম্বর বিভাগের ডিএফও সুমিতা ঘটক জানান, মৃত জন্তুটি একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাইসন। পিকআপ ভ্যানটির চালক এবং খালাসি ঘটনার পরই পালিয়েছে। গাড়িটিকে পুলিশ আটক করেছে। জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যাওয়া সড়ক পথে ফের বাইসনের মৃতুতে পরিবেশপ্রেমী বিভিন্ন সংগঠন সরব হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে গরুমারার জঙ্গলে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি চিতাবাঘ এবং একটি বাইসনের মৃত্যু হয়। ঐ বছরে চাপড়ামারিতে বাইসন এবং বাইক আরোহীর ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল এক বাইকআরোহীর। ২০১২ সালে নাগরাকাটার কাছে গ্রাসমোড় চা বাগান এলাকায় একটি চিতাবাঘ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এছাড়াও ২টি বাইসন দুর্ঘটনার শিকার হয়। লাটাগুড়ি গ্রিনলেবেল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক অনির্বাণ মজুমদার জানান, গরুমারা জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়কে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করার কথা হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। জঙ্গলে হোর্ডিং দিয়ে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হলেও নজরদারি না-থাকায় দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে অভিযোগ তোলেন নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার সংস্থার সম্পাদক সুজিত দাস।
|
গাছ কাটার অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
কল্যাণেশ্বরী মন্দির সংলগ্ন একটি আশ্রমের দু’টি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বুধবার। ওই আশ্রম কমিটির সদস্য তথা কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত দিলীপ দেওঘরিয়ার অভিযোগ, বুধবার সকালে তাঁরা আশ্রমে গিয়ে দেখেন বহু মূল্যবান দু’টি গাছ মাঝখান থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে। দিলীপবাবু বলেন, “এলাকার চার পাঁচ জন দুষ্কৃতী গাছ দু’টি কেটে নিচ্ছে দেখে আমি বাধা দিতে এগিয়ে যাই। কিন্তু আমাকে কোনও রকম গুরুত্ব না দিয়ে ওরা গাছ দু’টি কেটে নিয়ে চলে যায়।” কল্যাণেশ্বরী পুলিশ ফাঁড়ি ও বনবিভাগের হদলা বিট অফিসে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। আশ্রমের আবাসিকেরাও অভিযোগ করেন, ওই দুষ্কৃতীরা মাঝে মাঝেই আশ্রমে ঢুকে গাছ কাটার চেষ্টা করে। সবাই প্রতিবাদ করলে পিছু হঠে যায়। কিন্তু বুধবার আশ্রমে বিশেষ কেউ না থাকায় সুযোগ পেয়ে গাছ কেটে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীদের খোঁজা হচ্ছে। বিট অফিসার প্রদীপ সেনগুপ্ত এলাকায় গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করেছেন। তিনি জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বন বিভাগ। |
ফের মৃত্যু
কুয়ালা লামপুর • কলকাতা |
উদ্ধার হল আরও তিনটি বোর্নিও পিগমি হাতির মৃতদেহ। গত এক মাসে এই নিয়ে মৃত পিগমি হাতির সংখ্যা দাঁড়াল ১৩। হতবাক মালয়েশিয়ার বন দফতর। বিষক্রিয়ায় ওই হাতিগুলির মৃত্যু হচ্ছে কি না, তা দেখা হচ্ছে।
|
মাত্রাছাড়া দূষণে পর্যুদস্ত বেজিং। উত্তর চিনে গ্যাসমুখোশ পরে পথে নামছেন অনেকেই। সমীক্ষা বলছে, জানুয়ারিতে ২৪ দিনই বায়ুদূষণের মাত্রা বিপদসীমার অনেক উপরে ছিল বেজিংয়ে। বাতাসে বিষের দাপটকেই মুনাফার উৎস করতে ময়দানে নেমেছেন ধনকুবের চেন গুয়াংবিয়াও। কৌটোয় বিক্রি করছেন শুদ্ধ বাতাস। দাম প্রায় ৪৫ টাকা। কী ভাবে নিতে হবে বাতাস, নিজেই দেখাচ্ছেন চেন। |