টুকরো খবর
ত্রিফলা রিপোর্ট ফাঁসের প্রহসন
ত্রিফলা আলোর অডিট রিপোর্ট বেরিয়ে যাওয়ার অভিযোগ নিয়ে মঙ্গলবার পুর অধিবেশনে তুলকালাম কাণ্ড বেধে যায়। কোনও কাউন্সিলরকেই ওই রিপোর্ট দেওয়া হবে না বলে জানান মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। কংগ্রেস ও বাম কাউন্সিলরেরা বলতে থাকেন, অডিটে ত্রিফলা-দুর্নীতি ধরা পড়েছে বলেই মেয়র ওই রিপোর্ট কাউন্সিলরদের দিচ্ছেন না। মেয়র বলেন, “অডিট রিপোর্ট দিতে হবে, বাধ্যবাধকতা নেই।” তখনই কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায় এক গুচ্ছ কাগজ তুলে ধরে বলতে থাকেন, “রিপোর্ট আমার কাছে আছে। এই দেখুন।” গোলমাল বেধে যায়। বিরোধী দলনেত্রী রূপা বাগচি পুরসভার চেয়ারম্যানকে বলেন, “গোপন রিপোর্ট কী ভাবে বাইরে বেরিয়ে গেল?” মেয়র বলতে থাকেন, “ওঁর হাতে কী আছে, তা তো দেখাই যাচ্ছে না।” বাদানুবাদ চলে। পরে কাগজের বান্ডিল পুর চেয়ারম্যান সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে দেন প্রকাশবাবু। চেয়ারম্যান বলেন, “কী ভাবে রিপোর্ট বেরিয়ে গেল, তা জানতে তদন্ত হবে।” বিরোধীরা উল্লসিত হয়ে ওঠেন। পরে জানা যায়, সেটি পূর্ণাঙ্গ অডিট রিপোর্ট নয়, খসড়া রিপোর্ট। মেয়রের দাবি, “ওই রিপোর্ট অনেকের কাছে আছে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এখনও গোপন আছে।”

নতুন তিন মেয়র পারিষদ
কলকাতা পুরসভায় আরও তিন কাউন্সিলর মেয়র পরিষদের সদস্য হচ্ছেন। এঁরা হলেন স্বপন সমাদ্দার, সুশান্ত ঘোষ (স্বরূপ) ও মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান আজ, বুধবার তাঁরা শপথ নেবেন। সম্প্রতি মেয়র পারিষদ (শিক্ষা) শশী পাঁজা পরিষদীয় সচিব পদে যোগ দেন। তাঁর জায়গায় নেওয়া হয়েছে স্বপনবাবুকে। জোকার দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত কলকাতা পুরসভার অধীনে আসায় মেয়র পারিষদের সংখ্যা ১০ থেকে ১২ হল। এখন ওয়ার্ড সংখ্যা ১৪১ থেকে ১৪৪।

জোড়া খুনে ধৃতের পুলিশি হেফাজত
দমদমে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধারের তিন দিন পরেও পুলিশ অন্ধকারে। ঘটনার পর দিনই তোতন দে নামে এক যুবক গ্রেফতার হয়। মঙ্গলবার ব্যারাকপুরের এসিপি বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “তোতনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” গত শনিবার রেল ইয়ার্ডের ঝিলে মেলে দমদমের দুই যুবক অভিজিৎ ও কৌশিকের দেহ। পুলিশ জানায় তোতনের সঙ্গে দাগি দুষ্কৃতী বড় পকাইয়ের ঘনিষ্ঠতা ছিল। সম্প্রতি অভিজিতের সঙ্গে তার মতবিরোধও হয়। খুনে সে জড়িত কি না, দেখছে পুলিশ।

ডাকাতির চেষ্টা বড়বাজারে
ভরদুপুরে বড়বাজারের ঘিঞ্জি এলাকায় একটি লোহার দোকানের অফিসের কর্মীকে বেঁধে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ডাকাতির চেষ্টা হল। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ঘটনার সময় দোতলার অফিসে অশোক পাণ্ডে নামে ওই কর্মী ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। জনা তিনেক হিন্দিভাষী যুবক তাঁকে বেঁধে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে আলমারির চাবি চায়। অশোক জানান, তাঁর কাছে চাবি নেই। ইতিমধ্যে এক কিশোর চা দিতে এলে তার মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে দেওয়া হয়। দুষ্কৃতীরা অফিস তছনছ করে। চায়ের দোকানের মালিক নীচ থেকে কিশোরকে ডাকাডাকি করায় দুষ্কৃতীরা পালায়।

মজুরের সাক্ষ্য
খাদিম-কর্তা অপহরণ মামলার দ্বিতীয় পর্যায়ের বিচার চলাকালীন মঙ্গলবার আরশাদ নামে এক অভিযুক্তকে শনাক্ত করলেন সাক্ষী ভঞ্জন মুন্ডা। তিনি পেশায় দিনমজুর। ঘটনার পর থেকেই ওই অভিযুক্ত ফেরার ছিল। মামলার প্রথম পর্যায়ের বিচারের পরে সে ধরা পড়ে। আলিপুর জেলে বিশেষ আদালতে এ দিন ছয় অভিযুক্তের মধ্যে এক জনকে চিনিয়ে দেন ওই সাক্ষী।

ছাড়ের আর্জি
২১-২২ ফেব্রুয়ারি শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা ধর্মঘটে যাতে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান ব্যাহত না হয়, সে জন্য বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে শ্রমিক সংগঠনগুলির কাছে অনুরোধ জানানো হল। মঙ্গলবার রাজ্য বামফ্রন্টের বৈঠকে ওই ধর্মঘটকে সমর্থনের পাশাপাশি এই সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, “ধর্মঘট ডাকলেও যাতে অনুষ্ঠান ব্যাহত না হয়, শ্রমিক সংগঠনগুলির কাছে তা বিবেচনার অনুরোধ করা হচ্ছে।” পরিবহণ বন্ধ থাকলে মানুষ অনুষ্ঠানে যাবে কী করে? বিমানবাবুর জবাব, “টালার দিকে কোনও বাস গেলে তাকে যেতে দিতে হবে। দেখতে হবে, গড়িয়া থেকে রবীন্দ্রসদনের দিকেও যাতে বাস চলে।”

কংগ্রেসের দাবি
বেলেঘাটায় গাঁধী ভবনকে জাতীয় পর্যটন কেন্দ্র করার দাবি কেন্দ্রের কাছে জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার প্রাক্কালে বেলেঘাটার ‘হয়দারি মঞ্জিল’ নামের বাড়িতে মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী কয়েক দিন কাটিয়েছিলেন। গাঁধী ভবনকে জাতীয় পর্যটন কেন্দ্র করা নিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মণীশ তেওয়ারির সঙ্গে কথা বলেছেন অমিতাভ। তিনি বলেন, “মণীশ বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের সঙ্গেও কথা বলবেন।”
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.