ভারতীয় রেলের ইতিহাসে মুর্শিদাবাদ জেলা চিরকাল বঞ্চিত। রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর কাছে প্রস্তাব, আজিমগঞ্জ-নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) ইন্টারসিটি ট্রেন চালু করা হোক। এ জেলা থেকে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগের ট্রেন বলতে সন্ধ্যে ও রাতে তিস্তা-তোর্সা ও কামরূপ এক্সপ্রেস। বিগত বিশ-পঁচিশ বছরে এ জেলা একটিও উত্তরবঙ্গগামী ট্রেন পায়নি। সারদিনে শিলিগুড়ি, বা এনজেপি যাওয়ার একটিও ট্রেন নেই। প্রস্তাবিত ট্রেনটি আজিমগঞ্জ থেকে ভোর ৬ায় ছেড়ে যদি রাত ১২টায় এনজেপি পৌঁছয় ও রাত দু’টো নাগাদ ছেড়ে সকাল ৬টা নাগাদ আজিমগঞ্জ পৌঁছয় তবে একটি রেকেই কাজ হয় যাবে। দ্বিতীয়ত, সকালের দিকে ট্রেন পেলে সমগ্র জেলাবাসী দীর্ঘ সড়ক যাত্রা এড়িয়ে রেলেই সফর করবে। ফলে যাত্রী সংখ্যা যথেষ্ট বাড়বে। তৃতীয়ত, আপে যাত্রার সময় মালদহে ট্রেনটির পৌঁছনর সময় হওয়া উচিৎ সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা। তা হলে যাত্রী সংখ্যা বাড়বে। তার কারণ, সকাল পৌনে ছটায় পদাতিক এক্সপ্রেস চলে যাওয়া পর দুপুরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, মাঝে এনজেপি-মুখী আর কোনও ট্রেন নেই। আবার ডাউন ট্রেনটি রাত দু’টো নাগাদ এনজেপি ছাড়লে তাতেও যাত্রী সংখ্যা যথেষ্ট হবে। তার কারণ, ওই সময় মালদহগামী কোনও ট্রেন নেই। ফের যাত্রীসাধারণেরও লাভ অনেক। ওই ট্রেনটি চালু করা হলে প্রথমত ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির কাছে উত্তরবঙ্গ, দার্জিলিং, গ্যাংটক অনেক কাছে চলে আসবে। তখন মাত্র দু’টি ট্রেনের জন্য যাত্রীদের হন্যে দিতে হবে না। দ্বিতীয়ত, যাদের নিয়মিত উত্তরবঙ্গ যেতে হয় তাঁদের কাছেও ট্রেনিটি আর্শীবাদ হয়ে উঠবে। তৃতীয়ত, মুর্শিদাবাদ জেলার সব্জি, ফুল, ফল ও বিড়ি প্রভৃতি সহজেই উত্তরবঙ্গে পৌঁছে যাবে। চতুর্থত, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ রেলসেতু চালু হলে ওই ট্রেনটির যাত্রাপথ বহরমপুর পর্যন্ত বাড়িয়ে দিলে অধীর চৌধুরী নিশ্চিত ভাবেই মুশির্দাবাদ জেলার ‘গনিখান’ হয়ে উঠবেন।
শান্তনু পাল, জিয়াগঞ্জ
|
আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের নাগরিক। আমার ছেলে কলকাতায় থাকে। প্রায়ই আমাকে কলকাতায় ছেলের কাছে যেতে হয়। বহরমপুর স্টেশেন থেকে যে সব ট্রেন কলকাতা বা, শিয়ালদহ যায় তাতে এত ভিড় যে আমাদের মতো বয়স্কদের প্রায়ই দাঁড়িয়েই যেতে হয়। অথবা কৃষ্ণনগর ও রানাঘাটে নেমে লোকাল ট্রেনে শিয়ালদহ যেতে হয়। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে সব সময় সংরক্ষিত ভাগীরথী এক্সপ্রেসের পর বহরমপুর স্টেশন থেকে শিয়ালদহ যাওয়ার দ্রুতগামী আরও একটি ট্রেন চালু করা হোক, অথবা ‘ধনধান্য এক্সপ্রেস’ প্রতি দিনের জন্য চালু করা হোক। কলকাতা স্টেশনগামী ট্রেনগুলিকে দমদম স্টেশনে স্টপেজ দেওয়া হোক। বহরমপুর থেকে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়া কৃষ্ণনগর লোকাল ট্রেনটি শিয়ালদহ লোকালে রূপান্তরিত করা হোক। সকাল ৯টা ৪০ মিনিট থেকে বিকাল ৫টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে বহরমপুর স্টেশন থেকে শিয়ালদহ যাওয়ার কোনও ট্রেন নেই। তাই ৯টা ৪০ মিনিট থেকে বিকাল ৫টা ৩৫ মিনিটের মধ্যবর্তী সময়ে শিয়ালদহগামী একটি ট্রেন দেওয়া হোক। লালগোলা-শিয়ালদহ ফাস্ট প্যাসেঞ্জারের দুটি কামরা সংরক্ষিত করা হোক ও কামরার সংখ্যা বাড়ানো হোক। শিয়ালদহ-জঙ্গিপুর মেমু শিয়ালদহে পৌঁছনো কথা সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। কিন্তু বেশির ভাগ দিনই পৌঁছয় রাত ১১টা থেকে ১২টায়। নির্ধারিত সময়ে ট্রেনটি যাতে চলাচল করে তার ব্যবস্থা করা হোক। প্যাসেঞ্জার ও লোকাল ট্রেনে বয়স্ক নাগরিকদের জন্য কামরা সংরক্ষিত করা হোক। স্বামী বিবেকানন্দ চিকাগো শহর থেকে ফেরার সময় তাঁর জাহাজ এসে ভিড়ে বজবজে। বজবজ থকে তিনি ট্রেনে পৌঁছন শিয়ালদহে। ওই বিষয়ে একটি প্রস্তর ফলক শিয়ালদহের ১০ নম্বর প্লাটফরমের সামনে একটি দেওয়ালে আঁটকানো রয়েছে, যা সবার দৃষ্টিগোচর হয় না। তাঁর জন্মের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে ওই স্থানে স্বামীজীর মূর্তি, বা এমন কিছু প্রতিষ্ঠা করা হোক যা সবার চোখে পড়ে ও সবাই নতশিরে শ্রদ্ধা জানাতে পারেন।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, কান্দি
|
পঞ্চাননতলা, মধুপুর, বানজেটিয়া, তারকপুর-সহ বিশাল এলাকার বাসিন্দাদের বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে যেতে শহরের মধ্য প্রায় ৪ কিলোমিটার যানজট পার হতে হয়। পঞ্চাননতলা রেলগেট থেকে স্টেশন পর্যন্ত রেললাইনের ধার বরাবর রিকশা যাওয়ার মতো প্রায় আধ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি পাকা সড়ক করে দিলে প্রভূত উপকার হয়। ওই সড়ক তৈরি করা হলে এ তল্লাটের রেল যাত্রীদের স্টেশনে যাওয়া আসার সময় ও দূরত্ব দু’টিই কমবে ও দুর্ঘটনা বহুল যানজটও এড়ানো যাবে। এ ব্যাপারে রেলের প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
প্রবীরকুমার সরকার, পঞ্চাননতলা |