|
|
|
|
চুরির তদন্তে নেমে খুনের কিনারা করল দুর্গাপুর পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
চুরির তদন্ত করতে নেমে শেষে বছরখানেক আগের একটি খুনের ঘটনার কিনারা কর ল পুলিশ।
গত বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে নিজের বাড়িতে খুন হয়েছিলেন আসানসোল মহিলা থানার ওসি শম্পা বসুর বাবা দিলীপকুমার বসু (৮০)। কে বা কারা তাঁকে খুন করেছিল, সে ব্যাপারে এত দিন অন্ধকারে ছিল পুলিশ। সম্প্রতি দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের একটি চুরির ঘটনার তদন্ত করতে নেমে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা শেখ লালবাবুকে ধরে পুলিশ। তাকে জেরা করে জানতে পারে, সে ও তার দুই সঙ্গী মিলে দিলীপবাবুকে খুন করেছে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব বলেন, “অপর দুই অভিযুক্ত শেখ রাজু ও শেখ হাবলের খোঁজে তল্লাশি চলছে। দ্রুত তাদের ধরা হবে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিটি সেন্টারের জনবহুল এলাকা উদয়শঙ্কর বীথির ৪১ নম্বর বাড়িতে থাকতেন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অ্যাকাউন্টস বিভাগের প্রাক্তন কর্মী দিলীপবাবু। তাঁর ছোট মেয়ে বেসরকারি সংস্থার কর্মী সোনালীদেবীও তাঁর সঙ্গে থাকতেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি, রাত ৮টা নাগাদ তিনি কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন, বাইরের ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর বাবা পড়ে রয়েছেন। দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ। পর দিন গোয়েন্দা বিভাগের লোকজন এসে তদন্ত শুরু করেন। কিন্তু এক বছরেও সেই খুনের কিনারা হয়নি।
সম্প্রতি একটি চুরির তদন্ত করতে নেমে শেখ লালবাবুর নাম পায় গোয়েন্দা বিভাগ। ১৭ জানুয়ারি বেলডাঙা থেকে তাকে গ্রেফতার করে দুর্গাপুরে নিয়ে আসে পুলিশ। আদালতে তার ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়। জেরায় পুলিশ জানতে পারে, দীর্ঘদিন ধরে সে সিটি সেন্টার এলাকায় মজুরের কাজ করত। শেখ রাজু ও শেখ হাবলের সঙ্গে মিলে দিলীপবাবুকে খুন করেছে সে। পুলিশের দাবি, জেরায় লালবাবু স্বীকার করেছে, লোহার রড দিয়ে দিলীপবাবুর মাথার পিছনে আঘাত করেছিল সে। এর পর তাকে নিয়ে ফের বেলডাঙায় যায় পুলিশ। সেখান থেকে উদ্ধার হয় লোহার রডটি ও দিলীপবাবুর বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া বেশ কিছু গয়না। এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব জানান, বাকি দুই অভিযুক্তদের দ্রুত ধরে ফেলা হবে। |
|
|
|
|
|