দীনবন্ধু মঞ্চে গত ১৩ জানুয়ারি শিলিগুড়ি সুভাষপল্লি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের একটি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করেছিল। যৌথ ভাবে তাতে সামিল হয় ‘উবাচ’ এবং ‘শিলিগুড়ি থিয়েটার অ্যাকাডেমি’। ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সভাপতি প্রশান্ত পাল জানান, সারা বছর ধরে তাঁরা বিভিন্ন সমাজসেবা ও গঠনমূলক কাজের সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে। ‘উবাচ’-এর নিবেদন ছিল, একটি বাচনিক নান্দনিক প্রয়াস ‘সায়ন্তন সৃজন’। তিনটি পর্বে উবাচের অপূর্ব সৃজনশীল প্রয়াসে প্রথমেই ছিল আবৃত্তি, গান ও নৃত্যের কোলাজ গীতাঞ্জলি ‘আলোর শতদল’। এর পর পার্থপ্রতিম মিত্রের লেখা, কুন্তল ঘোষের আবহ নির্মাণ, বাসু ভট্টাচার্যের আবহ প্রয়োগ এবং পারমিতা দাশগুপ্ত, সুবীর ভট্টাচার্য ও সুদীপ চৌধুরী অভিনীত শ্রুতিনাটক ‘ভেঙে যায় ক্যালিডোস্কোপ’ দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। উবাচ’র তৃতীয় নিবেদন রূপসী বাংলার প্রেক্ষাপটে ‘হৃদ মাঝারে সোনার বাংলা’। সঙ্গীতে ছিলেন সত্যজিৎ মুখোপাধ্যায়, পাঞ্চালি চক্রবর্তী। ঔরবাগ্মী দে এবং অভ্র্যাংশু সরকার। নৃত্য পরিচালনায় নৃত্যছন্দমের অধ্যক্ষা সুতপা রায় এবং নৃত্যনন্দনের অধ্যক্ষা ঈশানী ভদ্র। নৃত্য অংশগ্রহণে দুই অধ্যক্ষা ছাড়াও ছিল জাগৃতি, শ্রেয়া, প্রিয়াংশা, লিজা, কথামৃত্য, রিতম, ঋতুপর্ণা, রিত্তিকা, প্রতুষ্যা, দেবমিতা, বিপাশা, সোনালি, বনশ্রী, স্নেহা, মধুমিতা, রিয়াস তৃষা, সায়ন্তনী, মৌমিতা, উৎসা, ধৃতি, নিকিতা, অরুন্ধতী, অঙ্কিতা, রিম্পা, ডোনা, অবন্তিকা, যন্ত্রানুসঙ্গীতে সিন্থেসাইজারে জয়ন্ত বসাক, তবলায় দীপক কর্মকার এবং শঙ্কর দেবনাথ। আবৃত্তি ও ভাষ্যে পার্থপ্রতিম মিত্র অবং পারমিতা দাশগুপ্ত ছিলেন প্রাণবন্ত। সঞ্চালনায় সুদীপ চৌধুরী। শিলিগুড়ি থিয়েটার অ্যাকাডেমি মঞ্চস্থ করে সঞ্জয় চট্ট্যোপাধ্যায়ের নাটক ‘জলঘড়ি’। কুন্তল ঘোষের পরিচালনায়, সৌরদীপ মুখোপাধ্যায়, অসীম মল্লিক, গৌতম সিংহ, অনামিকা দেবের অভিনয়ে নাটকটি দর্শকদের মন কাড়ে। মঞ্চ ভাবনায় সুমন পাল এবং নির্মাণ সহযোগী গৌতম সিং। আলোয় শঙ্কর চক্রবর্তী এবং সহযোগী নরেশ দাস এবং রূপসজ্জায় শক্তি আইচ।
|
• গিটারের তারে ১০টি রবীন্দ্রসঙ্গীত বেঁধেছেন গৌতম দাশগুপ্ত। সম্প্রতি শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে রবীন্দ্রসঙ্গীতের ওই ক্যাসেটের উদ্বোধন করেন শিক্ষক সমর চক্রবর্তী। ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’ গান দিয়ে ওই ‘অ্যালবাম’ শুরু করা হয়েছে। শেষ গান ‘তবু মনে রেখো’। এ ছাড়াও ‘চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে’, ‘আমার পরাণ যাহা চায়’, ‘আমার মল্লিকা বনে’-র মতো গান ওই ‘অ্যালবামে’ রয়েছে। |
• জলপাইগুড়ি ঘোগোমালির ‘ইজেল আর্ট স্কুলের’ দ্বিতীয় বার্ষিক অঙ্কন ও হস্তশিল্প প্রদর্শনী-২০১৩ অনুষ্ঠিত হল ১২-১৩ ফেব্রুয়ারি। প্রদর্শনীতে ২৫০ ছবি ছিল। হস্তশিল্প প্রদর্শনীতে ছিল মাটির পুতুল, গ্লাস পেইন্টিং, ফেব্রিকের কাজ। প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন শিলিগুড়ির মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। প্রদর্শনীর শেষ দিনে ছিল কালি-কলমের কর্মশালা। রণজিৎ সরকার ১০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেন।
• জলপাইগুড়ি কলাকুশলীর দুটি ছোট নাটক মঞ্চস্থ হল ৬ই জানুয়ারি। সরোজেন্দ্র দেব রায়কত সাংস্কৃতিক কলাকেন্দ্রে প্রথম নাটক ‘ইঁদুর’ মঞ্চস্থ হয়। রাজা ভট্টাচার্যের নির্দেশনায়। দ্বিতীয় নাটকের নাম ‘কেঁচো’। স্বপ্নময় চক্রবর্তীর ‘বিদ্যাসাগর’ গল্পের ছায়ায় নাট্যরূপ ও নির্দেশনা তমোজিৎ রায়।
• জলপাইগুড়ি সৃষ্টি মাইম থিয়েটারের আয়োজনে কলকাতার ইন্ডিয়ান মাইম থিয়েটারের মূকাভিনয় হল ২১শে জানুয়ারি। সরোজেন্দ্র দেব রায়কত কলাকেন্দ্রে অভিনীত নাটকের নাম ‘মা লক্ষ্মী পুতুল নাচ পার্টি’। নির্দেশক পদ্মশ্রী নিরঞ্জন গোস্বামী। এদিনের অনুষ্ঠানের সূচনায় ছিল সৃষ্টি মাইম-এর নিজস্ব প্রযোজনা পল্লীকবি জসিমউদ্দিনের কাব্য অবলম্বনে মূকাভিনয় ‘নক্সী কাঁথার মাঠ’। নির্দেশনা-সব্যসাচী দত্ত। |