স্বাস্থ্যে বিনিয়োগে বণিকসভাকে আহ্বান
স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিনিয়োগ করার জন্য বণিকসভাগুলিকে আহ্বান জানালেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শুক্রবার বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সে স্বাস্থ্য বিষয়ক এক আলোচনাসভায় চন্দ্রিমাদেবী বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থা রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করে তুলতে পারে। সুন্দরবনে মোবাইল মেডিক্যাল বোটের বন্দোবস্ত থেকে শুরু করে মেডিক্যাল কলেজ, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরিতে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের সাহায্য চেয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে যে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান তৈরি হওয়ার কথা, সেখানেও বণিকসভার সাহায্য চেয়েছেন চন্দ্রিমাদেবী।
ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করতে পাবলিক-প্রাইভেট-পার্টনারশিপ (পিপিপি)-এ আরও বেশি প্রকল্প রূপায়ণে উদ্যোগী হয়েছিল তৃণমূল সরকার। গ্রাম এবং শহরের বিভিন্ন রুগ্ণ হাসপাতালের তালিকা প্রকাশ করে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সেগুলি চালাতে আহ্বান জানিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু সেই পরিকল্পনা গত দেড় বছরে তেমন কার্যকর হয়নি। তাই রাজ্য সরকারের ওই উদ্যোগ কতটা বাস্তবোচিত, সেই প্রশ্নও উঠেছিল। কিন্তু এ দিন বণিকসভার প্রতিনিধিদের সামনে ফের একই ধরনের প্রস্তাব রেখেছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। বিভিন্ন হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের দোকান খোলা নিয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশ আপত্তি তুলেছে। কিন্তু রাজ্য যে তাতে আমল দেবে না, তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালের এক অনুষ্ঠানে জানিয়ে দিয়েছেন। এ দিন বণিকসভার অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সেই ইচ্ছাকে বাস্তবায়িত করার জন্য শিল্পমহলকে আমন্ত্রণ জানান চন্দ্রিমাদেবী। তিনি বলেন, “খুব স্বচ্ছতার সঙ্গেই ন্যায্য মূল্যের দোকান দিতে ইচ্ছুক সংস্থা বাছাইয়ের কাজ হচ্ছে। চলতি অর্থবর্ষের মধ্যে ৩৫টি এমন দোকান খোলা হবে। আগামী আর্থিক বছরে আরও বেশ কয়েকটি দোকান খোলার ইচ্ছে রয়েছে। এই প্রকল্পে বেসরকারি সংস্থাগুলির এগিয়ে আসার সুযোগ রয়েছে।”
বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ খুলতে গেলে রাজ্য সরকার কোনও সুবিধা দেবে কি না তা স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চান বণিকসভার এক প্রতিনিধি। চন্দ্রিমাদেবী বলেন, “সরকার জমি দেওয়ার চেষ্টা করবে। মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার নীতি মেনে, তাদের অনুমোদন নিয়েই খুলতে হবে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ।” অনেক সময়ে দেখা যায় দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ব্যক্তির চিকিৎসা বেসরকারি হাসপাতাল করতে চাইছে না। কারণ, আহত ব্যক্তির ওই হাসপাতালে চিকিৎসার সঙ্গতি নেই। সে সব ক্ষেত্রে ওই সব রোগীর চিকিৎসার জন্য একটি তহবিল গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয় বণিকসভার পক্ষ থেকে। তাদের প্রস্তাব, ওই তহবিল রাজ্য সরকারের কাছে থাকবে, যা থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত সঙ্গতিহীন রোগীর চিকিৎসার একটা অংশ সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে মিটিয়ে দেওয়া যাবে। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ভবিষ্যতে এ নিয়ে বণিকসভাগুলির সঙ্গে তাঁরা আলোচনা করবেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.