সামনের পর্দায় চলছে গায়ে কাঁটা দেওয়া অ্যাডভেঞ্চার, তাতেই বিস্ময়ে, উত্তেজনায় কাঁপছে সায়েন্স সিটির স্পেস অডিটোরিয়াম। খুদে দর্শকদের পাশাপাশি তাদের বাবা-মায়েদের চোখে-মুখেও মুগ্ধতা। সম্প্রতি সেখানে প্রদর্শিত হল এমনই এক তথ্যচিত্র গ্রেগ ম্যাকগিলিভর পরিচালিত ‘অ্যাডভেঞ্চার ইন ওয়াইল্ড ক্যালিফোর্নিয়া’।
চল্লিশ মিনিটের এই তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে কী ভাবে ভয়কে হার মানিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষ মিশে যেতে পারে। প্রকৃতিকে কাছ থেকে উপলব্ধি করার আনন্দ যেন একটা ‘অ্যাচিভমেন্ট’। বরফের উপর দিয়ে গতিতে এগিয়ে যাওয়া বা হেলিকপ্টার থেকে লাফিয়ে নীচে নামা। মনে হবে নিজেই যেন এই অভিজ্ঞতার সাক্ষী। মাঝ সমুদ্রে দুরন্ত ঢেউয়ের সঙ্গে সাহসী মোকাবিলার বহুদিনের ইচ্ছেটাও পূরণ করে নেওয়া যেতেই পারে এই সুযোগে। ডিজনিল্যান্ডের সাইক্লোন ট্রেনে চেপে দুর্গম রাস্তা ধরে এগিয়ে চলার সময়ে বুক দুরুদুরু করছিল হলের সকলেরই। সামনেই খাদ, সাইক্লোন লাইন না পেয়ে লাফিয়ে খাদ অতিক্রম করতে যেতেই তথ্যচিত্রের কচিকাঁচাদের সঙ্গে দর্শকেরাও ভয়ে চেঁচিয়ে উঠলেন। ভেঙে গেল প্রেক্ষাগৃহের নিস্তব্ধতা। ভয়ানক দুর্ঘটনার আশঙ্কায় কেউ আবার চোখ বন্ধ করে ফেললেন। সকলেই যেন ভুলে গিয়েছিলেন এটা নেহাতই তথ্যচিত্র। খুদে শীল মাছের সঙ্গে জলের মধ্যে খেলার ইচ্ছে নিয়ে ফিরে গেল অনেক বাচ্চা। বরফের উপর দিয়ে যাওয়ার সময়ে হঠাৎ ‘স্নো-বোর্ডার’ স্লিপ করায় বরফ টুকরোর মুখে ছিটকে পড়া রুখতে সকলেরই হাত চলে এল মুখের সামনে। উঁচু গাছ থেকে কেমন দেখতে লাগে সবুজ উপত্যকা সে অভিজ্ঞতাও সঙ্গে নিয়ে বাড়ি নিয়ে ফিরল সক্কলে। |
সায়েন্স সিটির সচিব অমর দত্ত চৌধুরী জানান, এটি দেশের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় স্পেস থিয়েটার। তিনি জানান, ছ’মাস এই তথ্যচিত্রটি দেখানো হবে। তাড়াতাড়িই ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে তথ্যচিত্রটির প্রদর্শনী হবে। আরও জানান, সায়েন্স সিটিতে ৫০০ বর্গমিটার জায়গায় একটি নতুন বিল্ডিংয়ে ‘সায়েন্স এক্সপ্লোরেশন হল’ গড়া হবে। যেখানে ত্রিমাত্রিক চিত্রের মাধ্যমে মানুষের বিবর্তনও তুলে ধরা হবে। |