প্রেমের টোপ দিয়ে মালিকের কিশোরী মেয়ের অশালীন ছবি মোবাইলে তুলে নেয় এক গাড়িচালক। ওই ছবি বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দু’বছর ধরে সেই ছাত্রীকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ওই চালক ধর্ষণও করেছে। সম্প্রতি মালিক চাকরি থেকে ছাড়িয়ে দেওয়ার পরে ওই চালক সে ছবি একাধিক কম্পিউটার ব্যবসায়ীর মাধ্যমে বাজারে ছেড়ে দেয়। সোমবার বিকেলে ছাত্রীটি বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি সরাসরি হলদিবাড়ি থানায় গিয়ে ঘটনা বিশদে জানান।
অভিযোগ পেয়ে মূল অভিযুক্ত গাড়ির চালক মতিবুল হককে পুলিশ গ্রেফতার করে। বাড়ি হলদিবাড়ির জোনাজাম এলাকায়। ধৃতকে জেরার পরে ওই রাতেই আরও চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হল সিঞ্জারহাট গ্রামের আলম সরকার, জিয়াউদ্দিন মোড়ের মামন প্রামাণিক, কিসমতপাড়ার আব্দুল সালাম সরকার এবং শাখারিপাড়ার মন্টু মজুমদার। এদের কাছ থেকে পুলিশ পাঁচটি হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করে। মঙ্গলবার ৫ জনকে মেখলিগঞ্জ মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। |
আদালত ধৃতদের পাঁচ দিনের পুলিশি হাজতের আদেশ দেন। ছাত্রীটিকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়। মাথাভাঙার এসডিপিও সীতারাম সিংহ তিনি বলেন, “আরও কারা জড়িত, কী ভাবে ছবি তোলা হয়েছিল তা জানতে অভিযুক্তদের জেরা করা হবে। তদন্ত চলছে।” পুলিশ জানায়, ঘটনার সূত্রপাত দু’বছর আগে। মেয়েটির বাবার একটি গাড়ি চালাত মতিবুল। সে মালিকের বাড়িতেই থাকত। সময়ে মালিকের মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়। মেয়েটি একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে এক শিক্ষকের কাছে হলদিবাড়িতে পড়তে যেত। পুলিশ জেনেছে ২০১১-র জুনে মতিবুল ছাত্রীকে জানায় হলদিবাড়িতে পরিচিত এক জনের কাছে অনেক ‘নোটস’ রয়েছে। তা জোগাড় করে করে দেওয়ার নামে ছাত্রীটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় সে। ওই দিন মতিবুলের বাবা-মা বাইরে ছিলেন। অভিযোগ, ওই দিন ছাত্রীটিকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে সে মোবাইলে ছবি তুলে রাখে। ওই ছাত্রী জানান, তিনি বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ছবি মুছে দিতে রাজি হয়নি মতিবুল। উপরন্তু, ওই ছবি সবাইকে দেখানোর ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। সম্প্রতি চাকরি হারানোর পরে ছাত্রীটিকে মতিবুল হুমকিও দিয়েছিল বলে অভিযোগ। সে তাতে ভয় না-পাওয়ায় মতিবুল ওই ছবির সিডি বাজারে ছড়িয়ে দেয়। |