সড়কে টাকা মিলেছে কি, তরজা কোর্টে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জাতীয় সড়ক (৩১সি) তৈরিতে কেন্দ্র আদৌ রাজ্য সরকারকে টাকা দিয়েছে কি না, মঙ্গলবার তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে এক প্রস্ত তরজা হয়ে গেল! একটি জনস্বার্থের মামলায় হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে রাজ্যের আইনজীবী জানালেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ না-মেলায় ৩১সি জাতীয় সড়কের কাজ করা যায়নি বলে পূর্ত দফতর তাঁকে জানিয়েছে। এ কথা শুনে কেন্দ্রের আইনজীবী অবাক হয়ে যান। তিনি বলেন, ওই রাস্তার জন্য বরাদ্দ তো অনেক দিন আগেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিজের বক্তব্যের সমর্থনে রাজ্যকে দেওয়া অর্থের নথি আদালতে পেশ করেন তিনি। তা দেখে রাজ্যের আইনজীবী ঢোক গিলে বললেন, নথিতে দেখা যাচ্ছে, রাজ্য টাকা পেয়েছে। তা হলে হয়তো কোথাও ভুল হয়েছে। তবে মাসখানেকের মধ্যে ওই রাস্তায় আর কোনও সমস্যা থাকবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, রাজ্যকে জানাতে হবে, কত টাকা পেয়েছে, সেই টাকায় কতটা কাজ হয়েছে এবং রাস্তার কাজ কবে শেষ হবে। সেই সঙ্গে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে বিচারপতিদের নির্দেশ, যে-সব ঠিকাদার তাঁদের কাজ করছেন, তাঁদের নোটিস দিতে হবে। মামলায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আইনজীবী অনিরুদ্ধ রায় জানান, তাঁদের কাজের সঙ্গে রাস্তা তৈরি বা টাকা বরাদ্দের সম্পর্ক নেই। তাঁরা শুধু জাতীয় সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ করেন। টাকা বরাদ্দ করে কেন্দ্র। রাস্তা তৈরি করে রাজ্যের সংস্থা।
|
মাটি উৎসবে আঁকবেন মমতা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দুই শিল্পীকে সঙ্গে নিয়ে পানাগড়ে মাটি উৎসবে ছবি আঁকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আঁকা ছবি বিক্রি করা হবে। টাকা যাবে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। ছবি আঁকায় তাঁকে সঙ্গ দেবেন তাঁর ঘনিষ্ঠ দুই চিত্রকর যোগেন চৌধুরী ও শুভাপ্রসন্ন। রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র মঙ্গলবার এ কথা জানান। উৎসবের নির্ঘণ্ট জানান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পানাগড়ে ৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টোয় উৎসবের উদ্বোধন হবে। চলবে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পার্থবাবু জানান, ১০ একর জায়গা নিয়ে অনুষ্ঠিত মেলায় কৃষি, মৎস্য, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, পাটশিল্প-সহ বিভিন্ন দফতরের স্টল থাকবে। হবে যাত্রা, বাউলগানের মতো লোকসংস্কৃতির অনুষ্ঠানও। তিনি বলেন, “জেলায় জেলায় শিল্প মরে গিয়েছে। বাংলার শিল্পকে তুলে ধরতেই মাটি উৎসব করা হচ্ছে।”
|
নারী-নিগ্রহের বিচারে চালু হল বিশেষ বেঞ্চ |
নির্দেশ দিয়েছিলেন আগেই। মহিলাদের উপরে অত্যাচারের মামলা শোনার জন্য মঙ্গলবার বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ চালুও করে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র। বিচারপতি মৃণালকান্তি চৌধুরী ও বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়াকে নিয়ে তৈরি ওই বিশেষ বেঞ্চ প্রতিদিন শুধু নারী-নিগ্রহ সংক্রান্ত অভিযোগের বিচার করবে। দিল্লিতে গণধর্ষণের পরে গোটা দেশে শুধু নারী-নির্যাতন মামলার দ্রুত বিচার করতে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট খোলার কথা বলেছিল কেন্দ্র। একই কথা বলা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফেও। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রতিটি মহকুমা কোর্টকে নির্দেশ দেন, নারী-নিগ্রহের মামলার জন্য সব জায়গায় একটি করে বিশেষ আদালত চালু করতে হবে। জেলায় জেলায় তা চালু হওয়ার আগে নিজেরাই নজির তৈরি করল উচ্চ আদালত। কয়েক দিন আগে বিচারপতি কনোয়ালজিৎ সিংহ অহলুওয়ালিয়া মহিলা-নির্যাতন সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানির সময় বলেন, নির্যাতিতারা নিম্ন আদালতে সময়মতো বিচার না-পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তাই হাইকোর্টেও অসংখ্য মামলা জমে যাচ্ছে। বিচার শেষ হতে অনেক সময় লাগছে। তাঁর প্রশ্ন, ২০-২৫ বছর পরে ন্যায়বিচার পেয়ে লাভ কী? সব আদালতে মেয়েদের জন্য বিশেষ কোর্ট চালু করার কথা বলেছিলেন তিনিও।
|
রাজ্যে পরিষদীয় সচিব নিয়োগের সিদ্ধান্তে নীতিগত বিরোধ থাকায় কাল, বৃহস্পতিবার ওই সচিবদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করবে কংগ্রেস। একই পথে হাঁটতে চলেছে বামফ্রন্টও। ওই পদ বাতিলের জন্য আইনের দ্বারস্থ হওয়া যায় কি না, তা-ও খতিয়ে দেখবে দু’পক্ষই। অনুষ্ঠানে না-যাওয়ার কথা জানিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “আধুনিক বাংলার রূপকার বিধান রায়-সহ আগের কোনও মুখ্যমন্ত্রীই পরিষদীয় সচিবের প্রয়োজন ছিল না। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তা করলেন। নিজের দলের উপদলীয় কোন্দল সামলাতে কাউকে কাউকে ওই পদ পাইয়ে দেওয়া দরকার!” |