হঠাৎ উঁচুতে ওঠা বল সামলাতে গিয়েই বিপত্তি। রাঁচিতে যেমনটা ঘটেছিল, এ বার মোহালিতেও একই কান্ড।
নেটে ব্যাট করতে নেমে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি আবার বুড়ো আঙুলে চোট পেলেন। তাই বলে অবশ্য বুধবারের গুরুত্বপূর্ণ ওয়ান ডে-র আগে এই নিয়ে ইংল্যান্ড শিবিরে কোনও ভাল খবর এসে পৌঁছয়নি। কারণ, ধোনি খেলার ব্যাপারে মরিয়া। তবে অনিশ্চয়তা পুরোপুরি কেটেছে, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।
যেমন ঘরের মাঠে যুবরাজ সিংহকে দেখা যাবে কি না, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সোমবার প্র্যাক্টিসে থাকলেও মঙ্গলবার তাঁকে দেখা যায়নি। তাঁর ম্যানেজার নিশান্ত অরোরা জানান, গলায় ব্যথার জন্য এ দিনের অনুশীলনে থাকতে পারেননি যুবি। তবে তাঁর দাবি, বুধবার খেলবেন তিনি। ক্যানসার সারিয়ে মাঠে ফেরার পর তাঁর এই প্রথম ঘরের মাঠে নামার কথা। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে শেষ এখানে খেলেছিলেন তিনি। যদি নামতে না পারেন, তা হলে ব্যাপারটা যে হতাশাজনক হবে, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
বুধবার জিতলেই সিরিজ পকেটে। এমন ম্যাচে বিরাট অঘটন না হলে ধোনি অবশ্যই মাঠে নামবেন। তেমন কিছু হয়েছে বলেও খবর নেই। রাঁচিতে চোট পেয়েছিলেন বোলিং কোচ ডসের বলে। এখানে মনপ্রিত গোনির হঠাৎ ওঠা একটা বল তাঁর ডান হাতের বুড়ো আঙুলে লাগতেই বসে পড়েন ধোনি। যন্ত্রণায় বারবার হাত ঝাঁকাচ্ছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন দলের ফিজিও। ব্যথা সাময়িক কমানোর ব্যবস্থা করেন। কোচ ডানকান ফ্লেচারও ছুটে যান সেখানে।
এর পরপরই নেট ছেড়ে বেরিয়ে যান ধোনি। পরে অবশ্য ব্যাট নিয়ে ফিরে আসেন। কিন্তু পেসারদের নয়, স্পিনারদের নেটে। সেখানে মিনিট দশেক ব্যাটও করেন। দলের স্থানীয় ম্যানেজার জানান, ধোনি ঠিক আছেন। নেটে ব্যাটিং শেষ করে হোটেলে ফেরার আগে দিব্যি অটোগ্রাফ শিকারিদের আবদারও মেটালেন ভারত অধিনায়ক। তবে সাংবাদিক সম্মেলনে নিজে না এসে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলিকে। যিনি রাঁচিতে ৭৭ রান করে গত কয়েক ম্যাচে রানের খরা কাটিয়েছেন।
|
মোহালির নেটে আহত মাহি। ছবি: পিটিআই |
রানের খরা নিয়ে অবশ্য খুব চিন্তিত ছিলেন না বলে জানালেন বিরাট। বললেন, “ষোলো মাস ধরে সমানে রানের মধ্যে থাকা সম্ভব নয়। চার-পাঁচটা ম্যাচে রান না পেলেই যে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়তে হবে, তার কোনও মানে নেই। আমি জানতাম ফর্মে ফিরবই। এ সব কথা ভেবে তাই চাপ বাড়াইনি।” তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে তাঁর উপকার হয়েছে বলে মনে করছেন কোহলি। বলছেন, “চাপ নিতে পছন্দ করি। চাপের পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নামতে ভাল লাগে। তিন নম্বরে নামলে তাই নিজের পছন্দের পরিস্থিতিটাই পাই। মনে হচ্ছে তিন নম্বর জায়গাটাই আমার জন্য আদর্শ। তিনে নেমেই ফর্মে ফিরলাম তো।”
বুধবার জিতলে সিরিজও জিতবেন ঠিকই, কিন্তু তাই বলে একেবারেই আত্মতুষ্টিকে প্রবেশাধিকার দিতে রাজি নন কোহলি। বললেন কোনও মতেই বিপক্ষকে হালকা করে দেখা যাবে না। “ইংল্যান্ড দলে কয়েক জন ভাল ক্রিকেটার আছে। যারা ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। তবে আগের দুটো ম্যাচে আমরা যে রকম খেলেছি, পরের দুটোতে সে রকম খেলতে পারলে সিরিজ জেতা কঠিন হবে না। ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে আমাদের।” কিন্তু এই ধারাবাহিকতার অভাবই তো ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় রোগ।
বুধবার ভারতের প্রথম এগারোয় বদল আসার সম্ভাবনা কম। তবে ইংরেজরা দলে দু-একটা বদলের কথা ভাবছেন। দলে আসতে পারেন বাটলার ও স্টুয়ার্ট মিকার। মোহালির উইকেট ও পরিবেশ যে রকম, তাতে পেসাররা সাহায্য পাবেন। ইশান্ত শর্মা, সামি আহমেদ, ভূবনেশ্বর কুমাররা সেই দিকেই তাকিয়ে।
|
মোহালির ব্যালান্সশিট |
• ধোনি-যুবরাজকে নিয়ে অনিশ্চয়তা
• ভুবনেশ্বর, সামি আমেদের ফর্ম
• শুরুতে রাহানের ধারাবাহিক ব্যর্থতা • স্টিভ ফিনের আঙুলে চোট
• ঠান্ডা ‘ইংলিশ’ আবহাওয়া
• বিরাট কোহলির ফর্মে ফেরা
• পিচে হালকা ঘাস |
|