ফের চিকিৎসক সঙ্কটে কালনা হাসপাতাল
নিজস্ব সংবাদদাতা • কালনা |
ফের চিকিৎসকের সঙ্কটে পড়েছে কালনা মহকুমা হাসপাতাল। স্ত্রী ও প্রসূতি বিভাগে চার জন চিকিৎসকের মধ্যে তিন জনই ছুটিতে আপাতত নেই। ফলে অভিযোগ উঠেছে, পরিষেবা পাচ্ছেন না তাঁরা। কালনা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রী ও প্রসূতি বিভাগে চার জন চিকিৎসক ছিলেন। পালা করে দিন-রাত বিভাগে থাকতেন তাঁরা। কিন্তু দিন কয়েক আগেই মেয়ের চিকিৎসা করাতে ভেলোর যাওয়ার জন্য ছুটি নিয়েছেন এক চিকিৎসক। শুক্রবার আবার দুই চিকিৎসক মেডিক্যাল এডুকেশন সার্ভিসে যোগ দেবেন বলে লিখিত ভাবে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। ওই দিনই তাঁরা চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক জন গিয়েছেন এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও অন্য আর এক জন গিয়েছেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। ফলে শুক্রবার থেকেই চিকিৎসা সঙ্কট চলছে হাসপাতালে। শনিবার থেকে অবস্থা আরও খারাপ হতে শুরু করে। রবিবার দুপুরে এক জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এলেও রোগী দেখে রাতেই ফিরে যান তিনি। সোমবারও অনেক সময়েই দেখা মেলেনি তাঁর। কালনা শহরের গৃহবধূ অন্নপূর্ণা মণ্ডলের ক্ষোভ, “মহকুমা হাসপাতালের এই দশা, ভাবা যায় না!” হাসপাতালের স্ত্রী ও প্রসূতি বিভাগের এই দশার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন, হাসপাতালের সুপার অভিরূপ মণ্ডল। তিনি বলেন, “দু’জন চিকিৎসক আলোচনার সুযোগ না দিয়েই কাজ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। সমস্যা সমাধানের জন্য রবিবার কল্যাণী থেকে এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে আনা হয়েছিল। সোমবার স্বাস্থ্যভবন থেকে অস্থায়ীভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন প্রবীর বিশ্বাস নামে এক চিকিৎসক। মঙ্গলবারও আর এক জনের যোগ দেওয়ার কথা। আশা করি, দ্রুত সমস্যা মিটবে।” |
চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী। অভিযোগ, বারবার ডাকা সত্ত্বেও সাহায্যে এগিয়ে আসেননি কর্তব্যরত নার্সেরা। অক্সিজেনের না মেলাতেই তার মৃত্যু হয়েছে এই অভিযোগে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন রোগীর পরিজনেরা। পরে বোলপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সকালেই মৃতের পরিবার হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। হাসপাতাল সুপার সুদীপ মণ্ডল বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। ওয়ার্ড মাস্টারের কাছে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে। উত্তর পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন বর্ধমানের আউশগ্রাম এলাকার ভেদিয়া-ব্রাহ্মণখণ্ডের বাসিন্দা, পেশায় চাষি শেখ ইলিয়াস (৪২)। চিকিৎসক নরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আওতায় ছিলেন তিনি। একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার বরাদ্দ হয়েছিল ইলিয়াসবাবুর জন্য। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের ছেলে গিয়াসউদ্দিনের অভিযোগ, “রাতের দিকে হঠাৎ করেই বাবার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন। আশঙ্কা সিলিন্ডারের অক্সিজেন ফুরিয়ে যাওয়াতেই বাবার শরীর খারাপ হতে থাকে।” তাঁর দাবি, “ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নার্সদের বারবার ডেকেও সাড়া মেলেনি।” ওই অবস্থায় ইলিয়াসবাবুর পরিজনেরা বাধ্য হয়ে তাঁকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ভাবনাও শুরু করেন। তাঁর স্ত্রী মেহেরুন্নেশা বিবি বলেন, “দোষীদের শাস্তি চাই।” |