আদিগঙ্গার জল কালো নোংরা পূতিগন্ধপূর্ণ। এই জলে ই কোলি জাতীয় ভয়াবহ রোগের জীবাণু থিকথিক করছে। এই জলেই এক দল পুণ্যার্থী পুণ্যলাভ করার আশায় নিয়মিত স্নান করে মা কালীর পরিবর্তে অজ্ঞাতসারে বহু রোগের জীবাণু তথা যমরাজের আশীর্বাদ নিয়ে ফিরছে। এই আদিগঙ্গার জল বোতলে করে বিক্রি হচ্ছে। এখানকার ‘গঙ্গামাটি’ তাল তাল বিক্রি হচ্ছে। এখানে এক দল ছেলে গলা অবধি গঙ্গাজলে ডুবে পয়সা খোঁজে, স্নান করে, সাঁতারও কাটে।
বহু আগে কালীঘাট অঞ্চলের আমূল সংস্কার নিয়ে এন আর আই এক ভদ্রলোক পরিকল্পনা করছেন বলে সংবাদপত্রে প্ল্যান সমেত প্রকাশিত হয়েছিল। এখনও তা শুরু হয়েছে কি না জানা নেই।
আদিগঙ্গা ওরফে টালিনালা সংস্কার নিয়ে লরি লরি টাকা জলে যাচ্ছে, আদিগঙ্গা আপন গরলে পূর্ণ হয়ে যথারীতি ‘বহিয়া চলেছে আগের মতন’। পুণ্যার্থী তথা স্নানার্থীদের ওই পঙ্কিল জীবাণুপূর্ণ জলেই স্নান করতে হচ্ছে। উপরি পাওনা নদীর ধারে যত্রতত্র মলত্যাগ এবং মরা পচা বেড়াল কুকুর ভেসে যাওয়া। |
আমার প্রস্তাব, জনস্বার্থে এবং কালীঘাট গঙ্গার জলে স্নানার্থীদের জলবাহিত রোগ থেকে বাঁচাবার জন্য স্নানঘাটের এই অংশটুকু সুইমিং পুলের মতো ঘিরে দেওয়া হোক। এবং এই পুলে জোয়ারের সময় শুধু জোয়ারের জল প্রবেশ করার ব্যবস্থা করা দরকার। ওই পুলে আবদ্ধ জলটুকু যথাবিহিত ক্লোরিন, পটাশিয়াম পারমাঙ্গানেট প্রভৃতি জীবাণুনাশক দিয়ে সুইমিং পুলের জলের মতো শোধন করা হোক, যাতে পুণ্যার্থীরা অবগাহন করতে পারে।
আদিগঙ্গার জল সংস্কারের কাজ আঠারো মাস বা অনন্তকাল ধরে চলুক। আদিগঙ্গার এই স্নানের জায়গাটুকুতে পরিশোধিত জলে মানুষের স্নানের ব্যবস্থা হোক। কালীঘাট তো মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে। তিনি জনস্বার্থে এটুকু অনায়াসেই করতে পারেন।
ডা.স্বপনকুমার গোস্বামী। কলকাতা-২৭
|
বর্ধমান বাসরাস্তার সংস্কার হোক |
কালনা-বর্ধমান ৩ নং বাস রুটটি বর্ধমান জেলার মধ্যে একটি প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এক সময় বর্ধমানের মহারাজ মহতাব এই রাস্তা দিয়ে কালনা যেতেন। রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় পিচ উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাটি সরু, দুটি লরি বা বাস পাশাপাশি এসে গেলে পথচারী বা সাইকেল আরোহীদের যাওয়ার রাস্তা থাকে না। ধাত্রীগ্রাম থেকে বর্ধমান পর্যন্ত ৫১ কিমি রাস্তার বেশির ভাগ কালভার্টই জরাজীর্ণ। পুজোর আগে তাপ্পি মারলে সেগুলি উঠে গিয়ে আবার গর্ত হয়েছে। কালনা-বর্ধমান রাস্তায় যে অসংখ্য বিপজ্জনক বাঁক আছে, সেগুলির কাছটুকু একটু চওড়া করা দরকার। ‘ইউ টার্ন’ বাঁকের জন্য বিপরীত দিক থেকে আসা বাস, লরি কিছুই দেখা যায় না। ফলে, প্রায়ই দুর্ঘটনা লেগে থাকে।
অচিন চক্রবর্তী। সোন্দলপুর, অষ্টঘড়িয়া, বর্ধমান |