‘চিন্তন শিবির’-এর শেষ দিনে ভাষণ সনিয়া-মনমোহনের |
গতকাল আনুষ্ঠানিক ভাবে নবীন প্রজন্মের নেতা রাহুল গাঁধীকে কংগ্রেসের সহ-সভাপতির পদে নিয়ে এসে আগেই ‘মাস্টার-স্ট্রোক’ দিয়েছিলেন সনিয়া-মনমোহন জুটি। আজ আর একবার জয়পুরে অনুষ্ঠিত চিন্তন শিবিরের শেষ দিনে দলের যুব নেতা-কর্মীদের অনেক বেশি দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানালেন কংগ্রেস সভানেত্রী তথা ইউপিএ চেয়ারপার্সেন সনিয়া গাঁধী। সেই সঙ্গে তিনি রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে এ বছরের চিন্তন শিবিরে অনেক বেশি যুবদের অংশগ্রহণে সন্তোষপ্রকাশও করেন। চিন্তন শিবির থেকেই তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী লোকসভা ভোটে সাধারণ মানুষ কেন কংগ্রেসকে ভোট দেবে, তার উত্তর সুস্পষ্ট হওয়াও উচিত বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, নিরাপদে আনন্দের সঙ্গে জীবনযাপন করা, এ দেশের প্রত্যেক নারীর জন্মগত সাংবিধানিক অধিকার। তাই মহিলাদের নিরপত্তা আরও বেশি করে সুনিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য লোকসভায় নতুন বিলও আনা হবে। দিল্লি ধর্ষণ-কাণ্ডকে ‘নারকীয়’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, নির্যাতিতা তরুণীর আত্মবলিদান যেন বৃথা না যায় তা সরকার অবশ্যই দেখবে। ধর্ষকরা শাস্তি পাবেই বলে তিনি আশ্বাস দেন।
অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের গলায়ও একই সুর শোনা গিয়েছে। কৃষি থেকে অর্থনীতি, দুর্নীতি থেকে শাসন ব্যবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে সরকারের মানষিকতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, বিশ্ব জুড়ে
আর্থিক অবস্থার প্রভাব এ দেশের অর্থনীতির উপর এসে পড়েছে। এর থেকে রেরিয়ে আসার জন্যই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সংস্কার অত্যন্ত জরুরি ছিল। গত কয়েক বছরে স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং কৃষিতে ভারতের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। উগ্রপন্থা নিয়ে তাঁর স্পষ্ট মতামত, কোনও ভাবেই জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজনে কঠোর থেকে কঠোরতর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
|
বিবাহমণ্ডপে গুলিবিদ্ধ পাত্রের মৃত্যু, গণপ্রহার হামলাকারীকে |
গতকাল রাতে উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের বিজপুর থানা এলাকার একটি বিয়ে বাড়িতে বিবাহমণ্ডপেই পাত্রকে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করে এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে নবনগরে তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়ের বাড়ির কাছেই। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিবাহানুষ্ঠান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিমন্ত্রিতদের ভিড়ে মিশে থাকা এক যুবক, পাত্র শৌভিক দে (৩০)-কে খুব কাছ থেকে মাথায় গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ব্যারাকপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হলে আজ ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। অন্য দিকে, আততায়ী যুবক ঘটনার পর পালানোর চেষ্টা করলে, উপস্থিত লোকজনেরাই হামলাকারীকে ধরে গণপিটুনি দেয় এবং তাতে তাঁরও মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত যুবক রাজীব বোস পাত্রীর পূর্ব পরিচিত বলে জানা গিয়েছে। পাত্রীর পরিবার থেকে অভিযোগ যে সে প্রায়ই পাত্রীকে উত্যক্ত করত। এমনকী সে পাত্র ও পাত্রীর দুজনের পরিবারকেই এই বিয়ে বন্ধ করার হুমকিও দিয়েছে। মৃত পাত্রের পরিবার বিজপুর থানায় পাত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ দফায় দফায় দুই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে খুনের কারণ খোঁজার চেষ্টা করছে। কোনও পেশাদার দল হামলাকারীকে সাহায্য করেছিল কি না, সে সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |