হাসপাতালের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়াতে ১৫টি ক্লোজ সার্কিট টিভি বসানো হল ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে। বিশেষ জরুরি পরিষেবা খাতের টাকায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মধ্যে প্রথম ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালেই এই ব্যবস্থা চালু হল। হাসপাতালের সুপার অনুরাধা দেব বলেন, “আপাতত ১৫টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পরে হাসপাতালের সব ঘরেই এটি বসানো হবে।” হাসপাতাল সূত্রে খবর, ক্লোজ সার্কিট টিভি বসানোর ফলে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড, ওটি রুম, অফিস ঘর, রান্না ঘর, স্টোর রুম-সহ সব কিছুই হাসপাতাল সুপার তাঁর নিজের অফিস থেকে দেখতে পাবেন। চিকিৎসক, নার্স-সহ বিভিন্ন স্তরের কর্মীরা ঠিক ভাবে ডিউটি করছেন কি না তা-ও দেখতে পাওয়া যাবে। এ ছাড়াও দালালরাজ ঠেকাতেও সিসি টিভি কাজে আসবে বলে মনে করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ দিন ধরেই ঘাটাল হাসপাতালে দালালদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হচ্ছিলেন রোগী ও রোগীর পরিজনরা। এ বার সেই উৎপাত কমবে বলেই আশা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। ঘাটাল হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য সুদীপ মণ্ডল ও পঞ্চানন মণ্ডল বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এই ধরনের টিভি বসানোর দাবি জানিয়েছিলাম। অবশেষে তা কার্যকরী হল।” পাশাপাশি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ও এমার্জেন্সিতে শুরু হয়েছে মাইকে প্রচার। এতে রোগীর পরিজনদের জানানো হবে কোন চিকিৎসক কখন আসবেন, রোগীর শারীরিক অবস্থা সংক্রান্ত নানা তথ্য। সুপার বলেন, “রোগীর বাড়ির লোকজন অনেক সময়ই চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান না। এই পরিষেবা চালুর ফলে রোগীর পরিজনদের সুবিধা হবে।”
|
স্বাস্থ্য বিমা পুনর্নবীকরণের দাবিতে শুক্রবার সেলের কুলটি কারখানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন কয়েক’শো প্রাক্তন শ্রমিক ও তাঁদের পরিবার। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার জন্য কারখানার ভিতরে ঢুকতে চাইলে তাঁদের বাধা দেয় সিআইএসএফ। ধাক্কাধাক্কিও হয়। পরে প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয় কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকদের অভিযোগ, প্রতি বছর তাঁদের জন্য স্বাস্থ্য বিমা করায় সেল কর্তৃপক্ষ। বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবারও ব্যবস্থা করে। জানুয়ারিতে এই দুটি পরিষেবার পুনর্নবীকরণ হয়। কিন্তু এখনও তা হয়নি। বিক্ষোভে যৌথ নেতৃত্ব দেয় সিটু-আইএনটিইউসি। কিন্তু এ বছর আচমকা স্বাস্থ্য বিমা পুনর্নবীকরণ নিয়ে গোলমাল হলই বা কেন? কারখানার ডিজিএম (পিঅ্যান্ডএ) কৃষ্ণকান্ত তিওয়ারি জানান, সেল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী সেলের গ্রোথ ডিভিশনের অধীনে থাকা কুলটি কারখানার শ্রমিক কর্মীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা পুনর্নবীকরণের দায়িত্ব বর্তেছে বার্নপুরের ইস্কো স্টিল প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষের উপরে। কৃষ্ণকান্তবাবু বলেন, “আমরা ৯ জানুয়ারি ইস্কো স্টিল প্ল্যান্টের জেনারেল ম্যানেজারকে চিঠি লিখে এই পরিষেবা পুনর্নবীকরণের আবেদন করেছি। কিন্তু এখনও ওই তরফে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি” বার্নপুর ইস্কো স্টিল প্ল্যান্টের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ না আসায় তাঁরা এ ব্যপারে এগোতে পারছেন না। দুই কর্তৃপক্ষের টানাপোড়েনে ঝুলে রয়েছে কুলটি কারখানার প্রায় তিন হাজার প্রাক্তন শ্রমিক কর্মীর স্বাস্থ্য পরিষেবা। তবে শ্রমিকেরা বদ্ধপরিকর। প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলন নামার কথাও জানিয়েছেন তাঁরা।
|
খাদ্যে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে একই পরিবারের পাঁচ জন ভর্তি হলেন বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে। অসুস্থদের বাড়ি তালড্যাংরা থানার রাজপুর গ্রামের বেলডাঙ্গা পাড়ায়। শুক্রবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁদের। গৃহকর্তা অসুস্থ গিয়াসুদ্দিন দালাল জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির রান্না সবাই খেয়েছিলেন। বেশি রাতে তাঁদের পেট ব্যাথা ও বমি শুরু হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক তড়িৎকান্তি পাল বলেন, “খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তাঁরা অসুস্থ হয়েছেন।” |