নদীর চরের জঙ্গল কেটে ভেড়ি তৈরির অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকের শ্রীনারায়ণপুর পূর্ণচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের মেহেরপুর গ্রামে গোবদিয়া নদীর চরে। বিডিও অচিন্ত্য হাজরা বলেন, “বিষয়টি জানার পর পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায়নি।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মেহেরপুর গ্রামের পাশে গোবদিয়া নদীর চরে অনেকা এলাকা জুড়ে বছর দশেক আগে ম্যানগ্রোভ লাগানো হয়েছিল পঞ্চায়েত ও বন দফতর থেকে। অভিযোগ, গত ৪ জানুয়ারি গ্রামের কয়েকজন যন্ত্রপাতি নিয়ে গিয়ে জঙ্গল সাফ করচিল ভেড়ি তৈরির জন্য। গ্রামের মানুষ এর প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু তাতেও কাজ বন্ধ না হওয়ায় ৭ জানুয়ারি গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে ঢোলাহাট থানায় স্মারকলিপি দেয়। জানানো হয় পঞ্চায়েত প্রধানকেও। ৮ জানুয়ারি পুলিশ গিয়ে জঙ্গল কাটার কাজ বন্ধ করে দেয়। পঞ্চায়েত প্রধান বনবিহারী পাত্র বলেন, “গাছ কেটে ভেড়ি বানানোর ঘটনা অন্যায়। আমি বিষয়টি জানার পরে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। যারা গাছ কাটছিল তাদের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলেরই লোক রয়েছে। জঙ্গল যাতে কাটা না হয় সে জন্য আগামী ২২ জানুয়ারি সর্বদীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে।”
|
গ্রামবাসীদের হাতে প্রাণ দিল একটি চিতাবাঘ। ঘটনাটি ঘটেছে শিবসাগর জেলার ওগুড়ি শ্যামগাঁওতে। পুলিশ জানায়, আজ বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ চিতাবাঘটি গ্রামে ঢুকে একটি গাছের উপরে আশ্রয় নেয়। চিতাবাঘ দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা হৈ চৈ শুরু করেন। আতঙ্কিত চিতাবাঘ গাছ থেকে লাফ মেরে নীচে জড়ো হওয়া গ্রামবাসীদের আক্রমণ করলে খগেন সমোইরিয়া ও হেমচন্দ্র গগৈ নামে দুই ব্যক্তি জখম হন। এরপরেই উত্তেজিত জনতা বাঁশ, লাঠি, ধারালো অস্ত্র নিয়ে চিতাবাঘটিকে ঘিরে ফেলে। সাড়ে ১২টা নাগাদ বন বিভাগে খবর যায়। কিন্তু বনকর্মীরা আসার আগেই কয়েকশো গ্রামবাসী চিতাবাঘটিকে পিটিয়ে মেরে তার লেজ, থাবা ও পেটের অনেকটা অংশ কেটে নিয়ে যায়। চিতাবাঘটির দুটি চোখও খুবলে নেওয়া হয়।
|
রাস্তা পারাপারের সময় সামনে পড়ে যাওয়া একটি গাড়ি লাথি মেরে উল্টে ফেলে দিল এক দাঁতাল। তবে চালক আগেই বিপদের আঁচ পেয়ে গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যাওয়ায় রক্ষা পেয়েছেন। সিমলাপাল থানার ভাদুলডোবায় গ্রামের মোরাম রাস্তায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার ঘটনা। চালক তাপস পাত্র বলেন, “হঠাৎ গাড়ির আলোয় রাস্তার মাঝে হাতিটিকে দেখে জোরে গাড়ি থামাই। বিপদ হতে পারে ভেবে দৌড়ে পালাই। এরপরেই হাতিটা পা আর শুঁড় দিয়ে গাড়িটাতে আঘাত করতে করতে উল্টে ফেলে দেয়।” ডিএফও (বাঁকুড়া দক্ষিণ) সুধীরচন্দ্র দাস অবশ্য দাবি করেন, “মনে হয় গাড়ির আলো চোখে পড়ায় বিরক্ত হয়েই হাতিটি এই কাণ্ড করেছে। তবে গাড়িটির বিশেষ ক্ষতি হয়নি।” |