বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্টে দুর্নীতি-রোধ সংস্থা জানিয়েছিল, পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার যথেষ্ট প্রমাণ মেলেনি। তার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। ওই সংস্থারই এক সিনিয়র তদন্তকারী অফিসারের মৃতদেহ উদ্ধার হল ইসলামাবাদে।
কামরান ফয়জল নামের ওই অফিসার দুর্নীতি রোধ সংস্থা (ন্যাব)-এর অ্যাসিসটান্ট ডিরেক্টর পদে ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ইসলামাবাদের ফেডারেল লজে আজ নিজের ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় ফয়জলকে। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ প্রধান বিন ইয়ামিন জানান, মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। |
উদ্ধার করা হচ্ছে কামরান ফয়জলের দেহ। ছবি: এপি |
পাক প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরফের বিরুদ্ধে ঘুষের মামলায় যে দু’জন অফিসার তদন্ত করছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম কামরান। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে রাজা পারভেজ যখন বিদ্যুৎ মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন, ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। গত বছর পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট আশরফ-সহ কুড়ি জনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল ন্যাবকে। গত বুধবারই আশরফ ও অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে বলে সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু ন্যাবের প্রধান ফাসিহ বোখারি জানান, প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করার মতো এখনও কোনও প্রমাণ তাঁরা পাননি। আগামী ২৩ তারিখ পর্যন্ত এই মামলা স্থগিত রেখেছে আদালত।
বোখারির কালকের বক্তব্যের পরই আজকের এই অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেল সূত্রে খবর, গুরুত্বপূর্ণ এই তদন্ত নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই মানসিক চাপে ছিলেন কামরান ফয়জল। এমনকী উপরমহলে এই তদন্ত থেকে তাঁকে নিষ্কৃতি দেওয়ার অনুরোধও করেছিলেন ওই অফিসার। তদন্তের সঙ্গে আজকের ঘটনার কোনও সংযোগ আছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এ দিকে কিছু দিন ধরেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন যে তাহির উল কাদরি, আজ তাঁর বিরুদ্ধে সমন পাঠাল কানাডার পুলিশ। পাকিস্তান তাঁকে ঢুকতে দেবে না, এই বলে দীর্ঘ সাত বছর কানাডায় আশ্রয় নিয়ে ছিলেন কাদরি। গত মাসেই দেশে ফিরে সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে সরব হন তিনি। কাদরি তাঁর শপথ ভঙ্গ করেছেন, এই অভিযোগে ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কানাডার পুলিশ। |