|
|
|
|
লাইসেন্স দেওয়ার দাবি, স্মারকলিপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
শহর জুড়েই অবৈধ ভাবে চলছে প্রায় ৯ হাজার ভ্যানরিকশা। অধিকাংশেরই না আছে লাইসেন্স। না আছে ভ্যানরিকশা চালকদের কোনও কোনও বৈধ অনুমোদন। অধিকাংশ জায়গায় সুনির্দিষ্ট স্ট্যান্ড না থাকায় সমস্যা বেড়েছে। কোথাও বাজারের মধ্যে চলাফেরার জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে, কোথাও রাস্তার উপর দীর্ঘ সময় ধরে রাখা থাকে পণ্যবাহী ওই সমস্ত ভ্যানরিকশা। অটো, রিকশার পর এই সমস্ত ভ্যানরিকশার জেরে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাও সমলাতে হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। মাঝে মধ্যেই ভ্যানরিকশার লাইসেন্স চান তারাও। তা দেখাতে না পারলে ধরপাকড়ও করেন। এই সমস্ত ভ্যানরিকশা এবং চালকদের লাইসেন্স দেওয়া, পুলিশি হেনস্থা বন্ধ করার দাবিতে স্মারকলিপি দিলেন রিকশাভ্যান মজদুর ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার আইএনটিইউসি অনুমোদিত রিকশাভ্যান মজদুর ইউনিয়নের তরফে পুর কমিশনার এবং শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ও জি পাল বলেন, “ভ্যানরিকশা চালকেরা তাদের সমস্যা কথাগুলি জানিয়েছেন। বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হবে।” পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের মেয়র পারিষদ সীমা সাহা বলেন, “ভ্যানরিকশা এবং তার চালকদের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে তা মেয়র পারিষদের বৈঠকে আলোচনা করেই বলা সম্ভব হবে।” পুর কতৃর্পক্ষ জানান, অনেকেই অন্য জেলা থেকে এমনকী বিহার-সহ বাইরের রাজ্য থেকে এই শহরে এসে ভানরিকশা চালান। তাঁদের কে কেমন সেই পরিচয় না পেলে লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। অন্য দিকে বাজার এলাকায় কোথাও স্ট্যান্ড করার মতো জায়গা দেখাতে পারলে পুর কর্তৃপক্ষ সেই ব্যবস্থা করে দিতে রাজি আছেন বলে জানিয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ দাস জানান, সমস্যা মেটাতে পুর কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের কাছে এ দিন জানানো হয়েছে। সমস্যা মেটাতে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তাঁরা বড় ধরনের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন। এ দিন বাঘাযতীন পার্ক থেকে মিছিল করে তারা পুলিশ কমিশনারের অফিসে যান। তাদের প্রতিনিধিরা যান পুরসভায়। পুর কমিশনার ছিলেন না। পুরসভার সচিব কাজল কান্তি সাহার মাধ্যমে পুর কমিশনারকে স্মারকলিপি দেন। পরে পুলিশ কমিশনারের কাছে যান। তাদের অভিযোগ, পুরসভার কাছে দীর্ঘদিন ধরেই রিকশাভ্যান এবং চালকদের ট্রেড লাইসেন্সের দাবি জানানো হচ্ছে। অন্তত ২০ বছর আগে ১৮০০ রিকশাভ্যান লাইসেন্স দিয়েছিল পুরসভা। তার পর থেকে বন্ধ রয়েছে। অথচ শহর বেড়ে ওঠার সঙ্গে তাদের সংখ্যাও বেড়েছে। বর্তমানে প্রায় ৯ হাজারের মতো ভ্যানরিকশা রয়েছে তাদের লাইসেন্স নেই। সে কারণে পুলিশকে তারা লাইসেন্স দেখাতে না পারলে বিপাকে পড়তে হয়। অনেক সময় পুলিশ ভ্যানচালকদের নানাভাবে হেনস্থাও করে বলে অভিযোগ। |
|
|
|
|
|