এ বার ‘আমরা-ওরা’র অভিযোগ উঠল খেলার মাঠেও।
গত দু’বছর ধরে রাজ্য সরকার খেলায় উন্নয়নের জন্য জেলার ১৩১টি ক্লাবকে অনুদান দিলেও সেই তালিকায় সিপিএম ও কংগ্রেস বিধায়কদের এলাকার ক্লাবগুলির নাম নেই বলে অভিযোগ। বিরোধীদের দখলে থাকা শান্তিপুর, তেহট্ট এবং করিমপুরের কোনও ক্লাব সরকারি খয়রাতি পায়নি। অভিযোগ, খেলার মাঠে এই বিভাজনের দৌলতে জেলার বেশ কিছু প্রতিষ্ঠিত ও প্রাচীন ক্লাব সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আর শাসক দলের অনুগ্রহে খেলার সঙ্গে সম্পর্ক নেই এমন বেশ কিছু ক্লাব সরকারি অনুদান পেয়েছে। বঞ্চিত ক্লাবকর্তাদের অভিযোগ, “খেলার মাঠটাকে অন্তত রাজনীতির বাইরে রাখতে পারত। সঙ্কীর্ণ রাজনীতির শিকার হয়ে আমরা অনুদান পেলাম না।” অবশ্য এর মধ্যে পলাশিপাড়া বিধানসভা বামেদের দখলে থাকলেও সেখানকার একটি ক্লাব ওই তালিকায় ঠাঁই করে নিতে পেরেছে।
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, বিধায়কের সুপারিশের ভিত্তিতে ফি বছর তাঁর এলাকার ১০টি করে ক্লাব অনুদান পাবে। সেই অনুযায়ী তৃণমূলের দখলে থাকা ১৩টি বিধানসভা এলাকার বেশ কিছু ক্লাব টাকা পেয়েছে। কিন্তু বিরোধীদের দখলে থাকা বিধানসভাকেন্দ্রের কোনও ক্লাব সরকারি সাহায্য পায়নি। সরকারের এই খেলার মাঠের রাজনীতিকে সিপিএম এবং কংগ্রেস একই সুরে আক্রমণ করেছে। শান্তিপুরের কংগ্রেস বিধায়ক অজয় দে বলেন, “আসলে এই পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতির মাধ্যমে শাসকদল সর্বত্র দলতন্ত্র কায়েম করতে চাইছে।” আর পলাশিপাড়ার সিপিএম বিধায়ক এসএম সাদির বক্তব্য, “আমাকে কিছু জানানো হয়নি। কোনও সরকারি দফতরের চিঠি পাইনি। তা ছাড়া ওই অনুদান পাওয়ার মানদণ্ডও অস্পষ্ট।” যদিও ওই চার বিধানসভা এলাকার ক্লাবগুলি সরকারি অনুদান না পাওয়ায় বিধায়কদেরই দায়ি করেছেন মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। তিনি বলেন, “সবাইকেই ক্লাবের নাম পাঠাতে বলা হয়েছিল। ওই বিধায়কেরা তা করেননি।” তাঁর সংযোজন, “রাজনীতি করলে পলাশিপাড়ার ক্লাবটি টাকা পেত না। সরকারকে হেনস্থা করতে অপপ্রচার চলছে।” |