শিল্প আনার নামে হলদিয়ায় যাত্রা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অধীর চৌধুরী। বাংলায় শিল্পের সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগ টানতে রাজ্য সরকারের ‘বেঙ্গল লিডস’ কর্মসূচি ব্যর্থ হয়েছে বলে সমালোচনা করেছে প্রদেশ কংগ্রেসও। বুধবার অধীরবাবু বলেন, “বাংলার মানুষকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কিছু দিতে পারছে না। তাই রং মেখে হলদিয়ায় যাত্রাপালা হয়েছে।” প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য এ দিন মন্তব্য করেন, “হলদিয়ায় হাসির খোরাক হয়েছে। কারণ, আমরা আশা করেছিলাম গুজরাতের মতো এখানে বড় বড় শিল্পপতিরা আসবেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী নতুন বিনিয়োগের কথা বলবেন।” কিন্তু প্রদীপবাবুদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। প্রদীপবাবুর কটাক্ষ, “এর আগে শিল্পপতিদের নিয়ে খাওয়া দাওয়ার আসর বসিয়ে পিকনিক হয়েছিল। সেই ধারাই অব্যাহত।”
এই প্রসঙ্গে প্রদীপবাবু অভিযোগ করেন, এখানে পুরনো ও বন্ধ কলকারখানা কী হবে বা শ্রমিক-কল্যাণে কী ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার তার কোনও উল্লেখ করা হয়নি হলদিয়ার সম্মেলনে। উল্টে অনুষ্ঠান স্থল থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে হলদিয়ার এবিজি-র যে কাজ হারানো শ্রমিকরা কাজের দাবিতে অবস্থান করছিলেন তাঁদের উপর পুলিশ লাঠি চালায়। প্রদীপবাবু বলেন, “ওই শ্রমিকদের গ্রেফতারও করা হয়েছে।” সহমর্মিতা জানাতে এ দিন ওই শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। পুলিশ ওই শ্রমিকদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছে জানিয়ে প্রদীপবাবু বলেন, “কংগ্রেস এবং আইএনটিইউসি পুলিশের আচরণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে।”
|
আগামী অর্থবর্ষে যোজনা বরাদ্দ ১২% বাড়ার ইঙ্গিত |
যোজনা কমিশন আগামী ২০১৩-’১৪ আর্থিক বছরে বাজেট বরাদ্দ ১২% বাড়ানোর ইঙ্গিত দিল। দ্বাদশ যোজনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়া। এক আলোচনাচক্রের ফাঁকে মন্টেক বলেন, দ্বাদশ যোজনার খসড়ায় নতুন অর্থবর্ষের জন্য যোজনা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫.৮৩ লক্ষ কোটি টাকা। যা চলতি অথর্বর্ষের তুলনায় ১২% বেশি। তবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। প্রসঙ্গত, যোজনা বরাদ্দ খাতে ব্যয়ের আওতায় রয়েছে: স্কুলে দুপুরের আহার প্রকল্প, ভারত নির্মাণ, গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্প, জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশন ইত্যাদির মতো সমাজ উন্নয়নমূলক প্রকল্প। এ ছাড়া রয়েছে বিভিন্ন রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে তাদের যোজনা খাতে কেন্দ্রীয় সাহায্য।
|
বিজয় মাল্যের ইউবি গোষ্ঠীর সংস্থার ইউনাইটেড স্পিরিট্সকে মদ বহুজাতিক ডিয়াজিও-র হাতে তুলে দিতে প্রস্তাবিত অধিগ্রহণ চুক্তি নিয়ে আপত্তি জানাল ভারতের প্রতিযোগিতা কমিশন। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, ওই চুক্তিতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ডিয়াজিও-কে শেয়ার দেওয়ার কথা বলা রয়েছে। এখানেই কমিশনের আপত্তি। এতে ছোট লগ্নিকারীর স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হতে পারে বলে আশঙ্কা। সংস্থাকে চুক্তির অংশটি ফের পরিষ্কার করে জানাতে বলা হয়েছে।
|
মোবাইল এবং ল্যান্ড ফোনের নেটওয়ার্ক পরিচালনা করতে অ্যালকাটেল লুসেন্ট-এর সঙ্গে জোট বাঁধল অনিল অম্বানীর রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্স (রিল কম)। এ জন্য ফরাসি সংস্থার সঙ্গে ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি অঙ্কের চুক্তি করেছে রিল কম। চুক্তি অনুসারে আগামী আট বছর ধরে পূর্ব ও দক্ষিণ ভারত জুড়ে দু’ধরনের ফোনের নেটওয়ার্কই পরিচালনা করবে তারা। রিল কমের প্রায় ৪,০০০ কর্মী এখন থেকে অ্যালকাটেল লুসেন্ট-এর হয়ে কাজ করবেন। |