প্রহৃত চিকিৎসক ছুটি নিতেই ফের সমস্যায় পড়েছেন খড়্গপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সার্জেনের অভাবে অনেক রোগীকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘রেফার’ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি দেখে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন হাসপাতাল সুপার দেবাশিস পাল। চিঠিতে অন্তত দু’জন চিকিৎসক নিয়োগ করার আবেদন রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ‘রেফার’ করার ঘটনা ঘিরেই গত সোমবার রাতে এক রোগীর পরিচিতদের হাতে প্রহৃত হন সঞ্জীব মাইতি নামে সার্জারি বিভাগের এক চিকিৎসক। তারপরেই গত বুধবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ছুটিতে চলে গিয়েছেন তিনি।
হাসপাতাল সুপার বলেন, “চিকিৎসকের অভাবে হাসপাতালে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তা জানিয়েই রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে চিঠি দিয়েছি।” একাংশ রোগীকে যে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ‘রেফার’ করা হচ্ছে, তা-ও মেনে নিয়েছেন দেবাশিসবাবু। তাঁর কথায়, “বাধ্য হয়েই একাংশ রোগীকে রেফার করতে হচ্ছে।” সমস্যার কথা জানানো হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্রকেও।
পশ্চিম মেদিনীপুরের সবচেয়ে বড় মহকুমা খড়্গপুর। সব মিলিয়ে ১০টি ব্লক রয়েছে এখানে। প্রায় প্রতিদিনই নারায়ণগড়, পিংলা, ডেবরা প্রভৃতি ব্লক থেকে রোগী আসে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। ফলে, হাসপাতালের উপর রোগীর ‘চাপ’ রয়েছে। তবে চিকিৎসকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। এখানে চিকিৎসক থাকার কথা সব মিলিয়ে ৪০ জন। রয়েছেন ২৯ জন। এর মধ্যে জিডিএমও (জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার) ৭ জন। তা-ও এক জনকে অন্য হাসপাতাল থেকে পাঠানো হয়েছে। অথচ, হাসপাতালে জিডিএমও’র পদ রয়েছে ১৩টি। অর্থাৎ, ৬টি পদই শূন্য।
এই পরিস্থিতিতে এক জন ছুটি নিলেই চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয় হাসপাতালে। কখনও কখনও বহির্বিভাগও বন্ধ রাখতে হয়। সার্জারি বিভাগের একমাত্র চিকিৎসক সঞ্জীববাবু ছুটিতে চলে যাওয়ায় সমস্যা চরমে উঠেছে। হাসপাতালে মনোজিৎ মণ্ডল নামে আরও একজন সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক রয়েছেন। তবে তিনি চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত। এক সময় খড়্গপুরে ট্রমা সেন্টার চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই মতো কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ করলে সার্জেন হিসাবে মনোজিৎবাবুকে নিয়োগ করা হয়। |
মেদিনীপুর ভলেন্টারি ব্লাড ডোনার্স সোসাইটির উদ্যোগে রক্তদান শিবির হল মেদিনীপুর শহরে। সোসাইটির উদ্যোগে শুক্রবার এক শোভাযাত্রা হয়। পরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন স্বামী শ্রুতিসারানন্দ, প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রণব বসু, হিমাদ্রী দে প্রমুখ। |