দূষণমুক্ত হোক মগরা স্টেশন |
মগরা-বর্ধমান মেনলাইন শাখায় হুগলির মগরা স্টেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ, জনবহুল স্টেশন। মগরা অঞ্চলে ডিগ্রি কলেজ এবং অনেক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে। বহু ছাত্র-ছাত্রী, প্রচুর রেলযাত্রী এবং নিত্যযাত্রী রোজ যাতায়াত করছেন। এ হেন রেলস্টেশন লাগোয়া রেল কোম্পানির গুডস আনলোডিং ইয়ার্ড রয়েছেযেখানে প্রচুর জিনিস ওয়াগন থেকে আনলোড হয় যেমন কয়লা, সিমেন্ট, আলু, সার, পশুখাদ্য, ভিন্ন রাজ্যের মরসুমি শস্য, সালফার, কেমিক্যাল ইত্যাদি। যা বড় বড় লরিতে ভর্তি হয়ে বিভিন্ন জায়গায়, কারখানায় পৌঁছে যায়। ওই জায়গায় আবার মগরা-কল্যাণী, মগরা-চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ড, অটোস্ট্যান্ড, রিকশাস্ট্যান্ড রয়েছে। এর ফলে ওই এলাকা যানজট, ধুলো, কয়লার গুঁড়ো, কেমিক্যাল ইত্যাদিতে সব সময় দূষিত হয়ে থাকে। বিশেষ করে সালফারের গন্ধে লোকজনের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। অনেকের মধ্যে হাঁপানির অসুখও দেখা যাচ্ছে। মগরা স্টেশনের রেলযাত্রী, ছাত্রছাত্রী এবং পথচারীদের যাতায়াতে ওই এলাকায় স্টেশন থেকে জি টি রোড অর্থাৎ কাঁটাপুকুর মোড় পর্যন্ত লোকজনের প্রচণ্ড ভিড় থাকে। তার উপর লরি, বাস, অটো, রিকশায় যানজটে প্রাণান্তকর অবস্থা হয়। পাশেই মগরা ব্লক অফিস, পঞ্চায়েত অফিস। বিডিও এবং পঞ্চায়েত প্রধান মহাশয়কে জানাই, এরূপ অবস্থা চাক্ষুস করে আর কত দিন নীরব দর্শক হয়ে থাকবেন? রেলযাত্রীরা, পথচারীরা, আশপাশের দোকানদার ও বাসিন্দারা আর কত দিন এলাকার এই দূষণ, যানজট ভোগ করবেন? বরং রেলমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করে রেলের মালপত্র খালাসের জন্য মগরা স্টেশন থেকে দূরে জিটি রোডের পাশে ব্যবস্থা করুন। পাশপাশি কাঁটাপুকুরের পাশে মেনলাইনে রেলগেটে জিটি রোডের উপর উড়াল পুলের ব্যবস্থা করা হোক। যাতে ওই এলাকায় বাস, লরি, অটো, মোটরসাইকেল, সাইকেল রিকশা ইত্যাদির যানজটের সুরাহা হয়। কারণ, মেন লাইনে অনবরত আপ এবং ডাউন ট্রেন যাতায়াত করলেও রেলগেট বেশির ভাগ সময়ই বন্ধ থাকছে। ডাউন প্ল্যাটফর্মের সামনে মালগাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলে ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওভারব্রিজ দিয়ে যেতে হয়যা বৃদ্ধ ও অসুস্থদের পক্ষে খুবই কষ্টসাধ্য। তাই ডাউন প্ল্যাটফর্মে সাবওয়ের প্রয়োজন। বহু দিন ধরে এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন এখানকারা মানুষ। আমাদের দুর্ভাগ্য, এ দিকে প্রশাসনের কোনও নজর পড়ছে না। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে সাহায্য করতে অনুরোধ করছি। এখন গতির যুগ, পরিবর্তনের যুগ। আশা করি, খুব শীঘ্রই এই সমস্যার একটা সুষ্ঠ সমাধান করা হবে।
ভূপেন্দ্রনাথ ঘোষ। হুগলি
|
পর্যটনকেন্দ্র হোক সোনামুখী |
বাঁকুড়া জেলার ছোট্ট শহর সোনামুখী। বহু প্রাচীন এই শহর। শহরের যে প্রান্তে বনাঞ্চল, তাকে ঘিরে এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। কলেজ এলাকায় এক দিকে যেমন জঙ্গল, অপর দিকে শান্ত স্নিগ্ধ গ্রাম্য পরিবেশ পর্যটকদের অবশ্যই ভাল লাগবে। বাঁকুড়া থেকে হাওড়ার মশাগ্রাম পর্যন্ত রেলপথ সম্পূর্ণ হলে হাওড়া থেকে মাত্র তিন-সাড়ে তিন ঘণ্টায়অন্য দিকে দুর্গাপুর-বিষ্ণুপুর সড়কপথে দুর্গাপুর থেকে দু’ঘণ্টায় এবং বিষ্ণুপুর থেকে মাত্র ১ ঘণ্টায় সোনামুখী পৌঁছনো যাবে। ঠাকুর হরনাথ ও মনোহরদাস বৈরাগীর পুণ্য জন্মস্থানধন্য এই শহর এক দিকে ভক্তি ও সাধনার স্থল, অপর দিকে বাউলগানের পীঠস্থান হিসাবে খ্যাত। প্রতি সন্ধ্যায় আখড়ায় আখড়ায় বসে বাউলসঙ্গীতের আসর। আর ভাদ্র-আশ্বিন মাসে মনসাপুজো উপলক্ষে বসে ঝাপান গানের আসর। এ ছাড়া উন্নত রেশম-সিল্ক এ শহরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সব মিলিয়ে পর্যটকদের আকর্ষণ করার রসদ মজুত রয়েছে।
দেবসাধন চট্টোপাধ্যায়। সোনামুখী, বাঁকুড়া।
|
জঙ্গিপুর পুরসভা অনেক দিনের পুরনো। কিন্তু জঙ্গিপুর মহাবীরতলা ৯ নং ওয়ার্ড অংশের নিকাশি ব্যবস্থা পরিকল্পনাহীন ভাবে তৈরি করা হয়েছে। শহরের বিস্তীর্ণ অংশের নোংরা এই নিকাশি নালা দিয়ে বয়ে যায়। কিন্তু এই নালাগুলি অত্যন্ত সংকীর্ণ এবং এর গভীরতাও খুব সামান্যই। ফলে সামান্য বৃষ্টির জলেই এই নিকাশি নালা উপচে রাস্তার উপর নোংরা স্তূপীকৃত হয়ে যায়। আবর্জনার উৎকট, ঝাঁঝালো দুর্গন্ধে টেকাই দায় হয়ে পড়েছে। এর জন্য পথচারীরা যেমন অতিষ্ঠ, বসবাসকারীরাও তেমনই বিব্রত। পুরসভার দৃষ্টি আকষর্ণ করেও কোনও সুরাহা হয়নিপরিবর্তে ‘ও তো ডোবা জায়গা’ গোছের কথায় উন্নাসিক মনোভাবের পরিচয় পেয়েছি। এই দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে চাই।
রমেন্দ্রনাথ দাস। মুর্শিদাবাদ
|
পাঁচ ও এক টাকার মুদ্রা-বিভ্রাট |
গত কয়েক মাস যাবৎ ৫ টাকা এবং ১ টাকার নতুন মুদ্রা বাজারে এসেছে। মুদ্রাগুলি আকারে খুবই ছোট। একেবারে পঞ্চাশ পয়সার মতো। বাজারে এগুলি ব্যবহার করতে গিয়ে খুবই অসুবিধায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। ৫০ পয়সার সঙ্গে আকারে সাদৃশ্য থাকায় প্রায়ই ভুল করে পঞ্চাশ পয়সার বদলে চলে যাচ্ছে ওই সব মুদ্রা। কর্তৃপক্ষের কাছে সবিনয় নিবেদন, এগুলোর আকার কি অন্য রকম করা যায় না? তা হলে সাধারণ মানুষকে ভুলের খেসারত দিতে হয় না।
শিশমহম্মদ শিশান। নলহাটি, বীরভূম।
|
হাওড়ার বাঁকড়ায় মুম্বই রোড ও আমতা রোডের সংযোগস্থলে শলপ। এখানে প্রচুর বাসযাত্রী ওঠানামা করেন। যাঁদের মধ্যে অনেক মহিলা ও শিশুরাও থাকে। যাত্রীদের প্রয়োজনেই এখানে একটি সুলভ শৌচাগার দরকার।
কাজি কামরুদ্দিন আহমেদ, আন্দুল।
|
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি
সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট
কলকাতা-৭০০০০১ |
|