বিহারের সভাপতি কে, বিবাদে মোদী-নীতীশ
বিহারের রাজ্য বিজেপি সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হল নীতীশ কুমার ও নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে। যার প্রভাব আগামী দিনে এনডিএ জোটে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বর্তমানে বিহারের বিজেপি সভাপতি সি পি ঠাকুর। ভূমিহার ওই নেতা মোদী-ঘনিষ্ঠ। তাঁর মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিহারে বিজেপির ভিত শক্ত করতে নরেন্দ্র মোদীকে দিয়ে একাধিক জনসভা করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে তিনি জানিয়েছেন, বিহারের বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে মোদীর জনপ্রয়িতা তুঙ্গে। তিনি এসে জনসভা করলে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি হবে।
বিজেপি সভাপতির এই পরিকল্পনায় বেজায় চটেছেন নীতীশ। মোদী-ঘনিষ্ঠতার কারণে ঠাকুরের সঙ্গে নীতীশের প্রথম থেকেই সুসম্পর্ক নেই। নীতীশ অনেক বেশি ভরসা করেন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুশীল মোদীকে।নিজের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মরিয়া নীতীশ প্রথম থেকেই তাঁর রাজ্যে মোদীর প্রচারে আপত্তি জানিয়ে এসেছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব চাইলেও বিহারে ভোট প্রচারে আসতে পারেননি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি জাতীয় উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকেও দুই নেতা একে অপরকে দেখে এড়িয়ে যান।
এই পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ নীতীশ ইতিমধ্যে ঠাকুরের নামে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে নালিশ জানিয়েছেন। দল জানিয়েছে, শুধু অসন্তোষ জানানোই নয়, সি পি ঠাকুর যাতে সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত না হন, সে জন্যও সক্রিয় হয়েছেন নীতীশ। সুশীল মোদীর মাধ্যমে ওই পদে এখন মঙ্গল পাণ্ডেকে বসাতে চাইছেন নীতীশ। সম্প্রতি পাণ্ডেকে বিহার বিধান পরিষদের সদস্য করেছেন তিনি। এ ছাড়াও তালিকায় নাম রয়েছে বিজেপি সাংসদ রাধামোহন সিংহেরও। বিজেপি সূত্রের খবর, নীতীশ ইতিমধ্যেই পাণ্ডের পক্ষে সওয়াল করেছেন অরুণ জেটলির কাছেও। নীতীশের ইচ্ছায় পাণ্ডের পক্ষে মুখ খুলেছেন সুশীল মোদীও। শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তিনি যুক্তি দিয়েছেন-পাণ্ডে ব্রাহ্মণ নেতা। তিনি ওই পদে এলে ব্রাহ্মণ তথা উচ্চবর্ণের কাছে বার্তা যাবে।
সি পি ঠাকুরও নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে তিনি নিজের পুনর্নির্বাচন নিশ্চিত করতে চাইছেন। সি পি ঠাকুর নেতৃত্বকে জানিয়েছেন, তাঁকে সরালে ভূমিহার সমাজের কাছে নেতিবাচক বার্তা যাবে। তা ছাড়া দলের শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য মোদীকে বিহারে আনতে চাইছেন তিনি। কারণ জেডিইউ নেতৃত্বের একাংশ আগামী লোকসভা নির্বাচনে একলা চলো নীতি নেওয়ার পক্ষে। বিজেপিকে যদি একলা লড়তে হয়, সে জন্য রাজ্যে নীতীশকে চাপে রাখতে নরেন্দ্র মোদী অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে বলে মনে করছেন ঠাকুররা।
এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ী। তিনি সি পি ঠাকুরকে পুনর্নির্বাচিত করলে নীতীশের চটার প্রবল আশঙ্কা। যার প্রভাবে ফাটল ধরতে পারে এনডিএ জোটেও। অন্য দিকে সি পি ঠাকুরকে সরালে ক্ষুব্ধ হবেন নরেন্দ্র মোদী। দু’পক্ষের এই মন কষাকষির মধ্যে গডকড়ী কী সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই এখন দেখার।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.